‘ষাটজনের সাক্ষ্য’ এখনো প্রাসঙ্গিক
১৯৭১ সালের ২১ অক্টোবর বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্ববিবেককে জাগ্রত করতে প্রকাশিত হয় ষাটজনের সাক্ষ্য। আর এবার স্বাধীনতার ৪০ বছর পূর্তিতে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে পালিত হচ্ছে। কারণ, যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হয়েছে। চিহ্নিত কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র প্রায় চূড়ান্ত। গতকাল বুধবার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের ৪০ বছর পূর্তিতে ‘ষাটজনের সাক্ষ্য স্মরণ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার এ কথা বলেন।
ষাটজনের সাক্ষ্যয় মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি বাহিনীর অত্যাচারের প্রসঙ্গে লিখেছেন বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রের ৬০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি। তাঁদের মধ্যে আছেন মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি, মাদার তেরেসা, শীর্ষস্থানীয় সাংবাদিক মাইকেল ব্রুনসন, ক্লেয়ার হলিংওয়ার্থ, জন পিলগার, ত্রাণকর্মী জুলিয়ান ফ্রান্সিস প্রমুখ। স্মরণ অনুষ্ঠানে গতকাল উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ সাংসদ রুশনারা আলী। তিনি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ঘুরে দেখেন এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বলে গর্ববোধ করেন বলে মন্তব্য করেন।
এ কে খন্দকার বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পরপর জেনারেল ইয়াহিয়া খানকে ভুট্টো বলেছিলেন, পূর্ব পাকিস্তানকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২৫ হাজার মানুষকে হত্যা করতে হবে। ৪০ বছর আগে ষাটজনের সাক্ষ্য প্রকাশের পর বাংলাদেশের মানুষের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেছে অনেকে। এ প্রকাশনায় কীভাবে বাংলাদেশের মানুষের ওপর হত্যা, অত্যাচার, নির্যাতন চলেছে, তার বিবরণ প্রকাশ পেয়েছে। তবে সে সময় অনেক দেশ বাংলাদেশের সাহায্যে এগিয়ে এলেও অনেক গণতান্ত্রিক দেশই এগিয়ে আসেনি।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারওয়ার আলী বলেন, ‘এ বছর ২১ অক্টোবর আমরা পালন করছি একটি ভিন্ন পটভূমিতে। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নামে অভিযোগপত্র প্রায় চূড়ান্ত। আগামী নভেম্বর নাগাদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর অভিযোগপত্রও প্রকাশ করা হবে। বিচারকাজ হতে হবে নিখুঁত। কোনো অপরাধী যেন বেরিয়ে না আসেন।’
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক বলেন, অক্সফাম মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ষাটজনের সাক্ষ্য প্রকাশ করে। সে সময় তারা ব্যাপকভাবে ত্রাণকাজ চালায়। যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের প্রতি তাদের অনুরোধ ছিল, ‘বিছানা থেকে একটি কম্বল সরিয়ে তা বাঙালিদের কাছে পাঠিয়ে দাও’। অক্সফামের দেশীয় পরিচালক গ্যারেথ প্রাইস জোন্স বলেন, এ ধরনের প্রকাশনা এখনো প্রাসঙ্গিক। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ প্রায়ই দুর্যোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পূর্ব আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে মানুষ কষ্টে আছে। যাদের মুখে ভাষা নেই, তাদের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে সবার। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি জিয়াউদ্দিন তারিক আলী।
এ কে খন্দকার বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পরপর জেনারেল ইয়াহিয়া খানকে ভুট্টো বলেছিলেন, পূর্ব পাকিস্তানকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২৫ হাজার মানুষকে হত্যা করতে হবে। ৪০ বছর আগে ষাটজনের সাক্ষ্য প্রকাশের পর বাংলাদেশের মানুষের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেছে অনেকে। এ প্রকাশনায় কীভাবে বাংলাদেশের মানুষের ওপর হত্যা, অত্যাচার, নির্যাতন চলেছে, তার বিবরণ প্রকাশ পেয়েছে। তবে সে সময় অনেক দেশ বাংলাদেশের সাহায্যে এগিয়ে এলেও অনেক গণতান্ত্রিক দেশই এগিয়ে আসেনি।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারওয়ার আলী বলেন, ‘এ বছর ২১ অক্টোবর আমরা পালন করছি একটি ভিন্ন পটভূমিতে। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নামে অভিযোগপত্র প্রায় চূড়ান্ত। আগামী নভেম্বর নাগাদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর অভিযোগপত্রও প্রকাশ করা হবে। বিচারকাজ হতে হবে নিখুঁত। কোনো অপরাধী যেন বেরিয়ে না আসেন।’
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক বলেন, অক্সফাম মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ষাটজনের সাক্ষ্য প্রকাশ করে। সে সময় তারা ব্যাপকভাবে ত্রাণকাজ চালায়। যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের প্রতি তাদের অনুরোধ ছিল, ‘বিছানা থেকে একটি কম্বল সরিয়ে তা বাঙালিদের কাছে পাঠিয়ে দাও’। অক্সফামের দেশীয় পরিচালক গ্যারেথ প্রাইস জোন্স বলেন, এ ধরনের প্রকাশনা এখনো প্রাসঙ্গিক। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ প্রায়ই দুর্যোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পূর্ব আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে মানুষ কষ্টে আছে। যাদের মুখে ভাষা নেই, তাদের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে সবার। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি জিয়াউদ্দিন তারিক আলী।
No comments