পাহাড়ে কফিচাষ ভেস্তে যাচ্ছে by মো. নিজাম উদ্দিন লাভলু
পার্বত্য চট্টগ্রামে কফিচাষের সফলতা ক্রমেই ভেস্তে যাচ্ছে। উৎপাদিত কফি প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাতকরণের সমস্যা এবং শুষ্ক মৌসুমে সেচ সুবিধা না থাকায় সম্ভাবনাময় কফির বাগানগুলো এখন ধ্বংসের পথে। অযত্ন, অবহেলায় বাগানগুলোর অনেক ফলবান গাছই মারা গেছে। জীবিত গাছগুলোও রুগ্ণ। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় ১২ কোটি টাকার মিশ্র ফলচাষ প্রকল্পের আওতায় তিন পার্বত্য জেলার ছয়টি উপজেলায় কফির বাগানগুলো সৃজন করা হয়। ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড পাহাড়ের পতিত জমিতে কফিসহ মিশ্র ফলচাষের মাধ্যমে হতদরিদ্র পরিবারকে আর্থিকভাবে সাবলম্বী করে তোলার লক্ষ্যে প্রকল্পটি গ্রহণ করে।
খাগড়াছড়ির রামগড়ে ৫০ পরিবার, মাটিরাঙ্গায় ৫০, দীঘিনালায় ১০০, বান্দরবানের থানচিতে ৫০, রুমায় ১৫০ ও রাঙামাটির সাজেকে ৫০টি পরিবারকে প্রকল্পভুক্ত করে পরিবার-পিছু এক হাজার ৩০০টি কফিগাছের চারাসহ কমলা, লিচু, আম, আনারস, কলা প্রভৃতি ফলের চারা গাছ দেওয়া হয়। সৃজিত বাগানে বসতঘর নির্মাণ এবং সার, কীটনাশক ক্রয়সহ বাগানের রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যার জন্য প্রতিটি পরিবারকে দেওয়া হয় নগদ টাকা।
রামগড়ের বড় পিলাক গ্রামের নুর হোসেন জানান, ২০০৩ সালে তিনি তাঁর আড়াই একর নিজস্ব টিলা ভূমিতে অন্যান্য ফল ছাড়াও প্রায় ৮০০টি কফির চারাগাছ রোপণ করেন। ২০০৫ সাল থেকে গাছে ফল আসে। প্রতিটি গাছে তিন-চার কেজি কফি ফল উৎপাদন হয়। নতুন ফসল হিসেবে এ কফি বাগান সৃজনে কঠোর পরিশ্রম করেন তিনি। পাহাড়ে কফিচাষে তাঁর সাফল্যের খবর সংবাদমাধ্যমে প্রচার হলে সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। প্রতিটি কফিগাছই তিনি সযত্নে পরিচর্যা করেন। ফল তোলার পর দেখে দেয় বাজারজাতকরণের সমস্যা। প্রক্রিয়াজাত করারও নেই কোনো সুবিধা। কঠোর পরিশ্রমে ফলানো কফি বিক্রি করতে না পেরে
তিনি হতাশ। ঢাকার ম্যাক ফাউন্ডেশনকে ক্রেতা হিসাবে পাওয়া গেলেও তাদের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্য মিলছে না। বর্তমানে কঙ্বাজারের এক ক্রেতা কিছু কিছু শুকনা কফি ফল কিনে নিচ্ছেন। নুর হোসেন জানান, প্রখর রৌদ্র-তাপ অসহিষ্ণু কফি গাছগুলোয় শুষ্ক মৌসুমে পর্যাপ্ত পানি সেচ অত্যাবশ্যক হওয়া সত্ত্বেও নূ্যনতম সেচ সুবিধাও নেই তাঁদের। ফলে সেচের অভাবেই বহু গাছ মারা গেছে তাঁর। খরায় গাছ বাঁচানোর জন্য সেচের ব্যবস্থা করতে তিনি প্রকল্প বাস্তবায়ন সংস্থা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ছাড়াও পার্বত্য জেলা পরিষদ ও স্থানীয় ইউএনওসহ বিভিন্ন দপ্তরে ধরনা দিয়েছেন সহযোগিতা জন্য; কিন্তু কোথাও কোনো সহায়তা পাননি। রামগড় উপজেলার তৈকর্মা ও বড় পিলাক এলকায় প্রকল্পভুক্ত মোট ৫০টি পরিবারের মাধ্যমে কফির বাগান সৃজন করা হলেও এখন বড় পিলাকের নুর হোসেন ছাড়া অধিকাংশের বাগানেই কফিগাছের অস্তিত্ব নেই। খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা ও দীঘিনালাসহ রাঙামাটি এবং বান্দরবানের প্রকল্পভুক্ত তিন উপজেলায়ও একই অবস্থা। বাগানিরা অভিযোগ করেন, প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাতকরণের সমস্যা এবং সেচ সুবিধার অভাব ছাড়াও প্রকল্প বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্তদের নূ্যনতম তদারকিও না থাকায় পাহাড়ে কফিচাষের সফলতা, সম্ভাবনা এখন ভেস্তে যাচ্ছে। প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলামের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা হলে তিনি জানান, পাহাড়ে কফিচাষ মূলত পরীক্ষামূলকভাবেই শুরু করা হয়। প্রকল্পের প্রথমপর্যায়ে সফলতা অর্জনের পাশাপাশি সমস্যাগুলোও চিহ্নিত করা হয়েছে। দ্বিতীয়পর্যায়ে এসব সমস্যা নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, ২০০৭-০৮ অর্থবছরে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তা ২০১২-১৩ অর্থ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়নের জন্য ২৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকার বাজেট পেশ করা হলেও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে পাঁচ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
রামগড়ের বড় পিলাক গ্রামের নুর হোসেন জানান, ২০০৩ সালে তিনি তাঁর আড়াই একর নিজস্ব টিলা ভূমিতে অন্যান্য ফল ছাড়াও প্রায় ৮০০টি কফির চারাগাছ রোপণ করেন। ২০০৫ সাল থেকে গাছে ফল আসে। প্রতিটি গাছে তিন-চার কেজি কফি ফল উৎপাদন হয়। নতুন ফসল হিসেবে এ কফি বাগান সৃজনে কঠোর পরিশ্রম করেন তিনি। পাহাড়ে কফিচাষে তাঁর সাফল্যের খবর সংবাদমাধ্যমে প্রচার হলে সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। প্রতিটি কফিগাছই তিনি সযত্নে পরিচর্যা করেন। ফল তোলার পর দেখে দেয় বাজারজাতকরণের সমস্যা। প্রক্রিয়াজাত করারও নেই কোনো সুবিধা। কঠোর পরিশ্রমে ফলানো কফি বিক্রি করতে না পেরে
তিনি হতাশ। ঢাকার ম্যাক ফাউন্ডেশনকে ক্রেতা হিসাবে পাওয়া গেলেও তাদের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্য মিলছে না। বর্তমানে কঙ্বাজারের এক ক্রেতা কিছু কিছু শুকনা কফি ফল কিনে নিচ্ছেন। নুর হোসেন জানান, প্রখর রৌদ্র-তাপ অসহিষ্ণু কফি গাছগুলোয় শুষ্ক মৌসুমে পর্যাপ্ত পানি সেচ অত্যাবশ্যক হওয়া সত্ত্বেও নূ্যনতম সেচ সুবিধাও নেই তাঁদের। ফলে সেচের অভাবেই বহু গাছ মারা গেছে তাঁর। খরায় গাছ বাঁচানোর জন্য সেচের ব্যবস্থা করতে তিনি প্রকল্প বাস্তবায়ন সংস্থা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ছাড়াও পার্বত্য জেলা পরিষদ ও স্থানীয় ইউএনওসহ বিভিন্ন দপ্তরে ধরনা দিয়েছেন সহযোগিতা জন্য; কিন্তু কোথাও কোনো সহায়তা পাননি। রামগড় উপজেলার তৈকর্মা ও বড় পিলাক এলকায় প্রকল্পভুক্ত মোট ৫০টি পরিবারের মাধ্যমে কফির বাগান সৃজন করা হলেও এখন বড় পিলাকের নুর হোসেন ছাড়া অধিকাংশের বাগানেই কফিগাছের অস্তিত্ব নেই। খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা ও দীঘিনালাসহ রাঙামাটি এবং বান্দরবানের প্রকল্পভুক্ত তিন উপজেলায়ও একই অবস্থা। বাগানিরা অভিযোগ করেন, প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাতকরণের সমস্যা এবং সেচ সুবিধার অভাব ছাড়াও প্রকল্প বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্তদের নূ্যনতম তদারকিও না থাকায় পাহাড়ে কফিচাষের সফলতা, সম্ভাবনা এখন ভেস্তে যাচ্ছে। প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলামের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা হলে তিনি জানান, পাহাড়ে কফিচাষ মূলত পরীক্ষামূলকভাবেই শুরু করা হয়। প্রকল্পের প্রথমপর্যায়ে সফলতা অর্জনের পাশাপাশি সমস্যাগুলোও চিহ্নিত করা হয়েছে। দ্বিতীয়পর্যায়ে এসব সমস্যা নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, ২০০৭-০৮ অর্থবছরে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তা ২০১২-১৩ অর্থ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়নের জন্য ২৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকার বাজেট পেশ করা হলেও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে পাঁচ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
No comments