রংপুরে সক্রিয় নারী ছিনতাইকারীচক্র পূজামণ্ডপ থেকে আটক ৩
রংপুরে ভাসমান নারী প্রতারক ও ছিনতাইকারীচক্র এখন বেশ তৎপর। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে রংপুরে এসে কৌশলে ও প্রতারণার মাধ্যমে তারা সাধারণ নারীদের গলার হারসহ জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিচ্ছে। সমপ্রতি এমন বেশ কিছু নারী প্রতারক ও ছিনতাইকারীকে জনগণ হাতেনাতে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। তাদের বেশির ভাগই জেলার বাইরে থেকে আসা। গত ঈদের রাতে নগরীর গোল্ডেন টাওয়ার শপিং কমপ্লেঙ্রে দুটি সোনার দোকান থেকে যে ৮০ ভরি সোনা চুরি যায়, সেই চুরির সঙ্গে জড়িতদের বাড়ি গাজীপুরে। সবশেষ ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার রাতে নগরীর প্রাণকেন্দ্র প্রেসক্লাবের সামনে রঙ্গপুর ধর্মসভা পূজামণ্ডপে।
মঙ্গলবার শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রতিমা দেখার সময় সাত-আটজনের নারী ছিনতাইকারীচক্র দেবী রানী সরকার নামের এক বৃদ্ধার গলা থেকে সোনার চেইন ছিনতাই করার সময় হাতেনাতে আটক হয়েছে তিনজন। ওই বৃদ্ধার পুত্রবধূ পুরবী সরকার ও মেয়ে চন্দনা সরকার জানান, রাত ৮টায় তাঁরা ধর্মসভা পূজামণ্ডপে প্রতিমা দেখতে এলে কয়েকজন নারী তাদের ঘিরে ফেলে এবং নিজেদের মধ্যে জটলা করে তারা দেবী রানীর গলার চেইনটি খুলে নেয়। তাৎক্ষণিক তাঁরা ওই ছিনতাইকারীদের আটক করে মন্দিরে দায়িত্বরত পুলিশে সোপর্দ করেন। তাদের সঙ্গে আরো তিন-চারজন ছিল। তারা ধরা পড়ার পরই অন্যরা কৌশলে পালিয়ে যায়।
আটককৃতরা হচ্ছে নাজমা খাতুন (২১), স্বামী মরণ মিয়া; বানেছা খাতুন (২০), স্বামী মোশারফ হোসেন ও বিউটি বেগম (৩২), স্বামী আবদুল কাদের। তাদের প্রকৃত ঠিকানা ব্রাক্ষণবাড়িয়া হলেও তারা একেক সময় একেক ঠিকানার কথা বলছে। তারা এখন জেলহাজতে।
আটককৃতরা হচ্ছে নাজমা খাতুন (২১), স্বামী মরণ মিয়া; বানেছা খাতুন (২০), স্বামী মোশারফ হোসেন ও বিউটি বেগম (৩২), স্বামী আবদুল কাদের। তাদের প্রকৃত ঠিকানা ব্রাক্ষণবাড়িয়া হলেও তারা একেক সময় একেক ঠিকানার কথা বলছে। তারা এখন জেলহাজতে।
No comments