পাঁচ বছরের মধ্যেই ধসে পড়বে তাজমহল!
জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার না করলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে তাজমহল ধসে পড়তে পারে। তাজমহলের সংস্কারের পক্ষে সোচ্চার একদল কর্মী এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ৩৫৮ বছরের পুরনো এ স্থাপনার ভিত্তি নড়বড়ে হয়ে গেছে এবং কয়েকটি অংশে ফাটল ধরেছে বলেও আশঙ্কা করছেন তাঁরা। বিশ্বের সপ্তাশ্চর্যগুলোর একটি তাজমহল। একইসঙ্গে অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। স্ত্রী মমতাজের স্মরণে মোঘল সম্রাট শাহজাহানের নির্মাণ করা অনন্য এ স্থাপত্যকীর্তি দেখতে প্রতিবছর প্রায় ৪০ লাখ লোক ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় শহর আগ্রায় যায়।
তবে আন্দোলনকর্মীরা জানান, তাজমহলের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা নদী দূষিত হয়ে পড়ায় ও শুকিয়ে যাওয়ায় তাজমহলের টিকে থাকার বিষয়টি হুমকির মুখে পড়েছে। শিল্পায়ন ও বন উজাড়ের বিরূপ প্রভাবও পড়েছে এর ওপর।
তাজমহলের মূল সমাধির কয়েকটি জায়গায় এবং এর চারপাশের চারটি মিনারে গত বছর কয়েকটি ফাটল ধরা পড়ে। তাজমহলের সংস্কারের দাবিতে ইতিমধ্যে ইতিহাসবিদ, পরিবেশবিদ ও রাজনীতিবিদদের সমন্বয়ে একটি আন্দোলন গড়ে উঠেছে। তাঁরা জানান, তাজমহল ধসে পড়ার মতো 'আবছা একটি সংকট' কাটানোর সময় ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে। আন্দোলনকারীদের নেতা আগ্রার এমপি রামশঙ্কর কাঠেরিয়া বলেন, 'জরুরি ভিত্তিতে এ সংকট সামলানো না হলে, আগামী দুই থেকে পাঁচ বছরের মধ্যেই তাজমহল ধসে পড়বে। বিশ্বের বিস্ময়কর এ স্থাপত্যটি উজ্জ্বলতা হারাতে শুরু করেছে। এর চারপাশের মিনারগুলোর নিচে কাঠের যে ভিত্তি আছে, পানির অভাবে সেগুলো শুকাতে শুরু করেছে। এ রকমটা চলতে থাকলে মিনারগুলোও ভেঙে পড়তে পারে। গত তিন দশকে কাউকেই তাজমহলের ভিত্তি পর্যন্ত নামার অনুমতি দেওয়া হয়নি। সবকিছু যদি ঠিকই থাকে, তাহলে এতো লুকোছাপার কী আছে?'
তাজমহল সম্পর্কে বিশ্বের অন্যতম বিশেষজ্ঞ ইতিহাসবিদ অধ্যাপক রাম নাথ বলেন, 'তাজমহল যমুনা নদীর ঠিক তীরেই অবস্থিত। কিন্তু সেই যমুনা এখন শুকিয়ে যাচ্ছে। তাজমহলের নির্মাতারা কখনই এটা আন্দাজ করেননি। নদীটি তাজমহলের স্থাপত্য পরিকল্পনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। এ নদী মরে গেলে তাজমহলও বাঁচতে পারবে না।'
শিল্পায়নের কারণে যমুনা নদী যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তেমনি নতুন রাস্তাঘাট তৈরির জন্য ব্যাপক হারে গাছকাটার ফলে দূষণও বেড়েছে। আগে গাছপালার বেষ্টনী ধূলিঝড়ের হাত থেকে তাজমহলকে রক্ষা করত। কিন্তু এখন সরাসরি ধুলোর ঝাপটা এসে তাজমহলের ওপর পড়ে। এমপি কাঠেরিয়া বলেন, 'গত কয়েক বছর ধরেই তাজমহল ধুলোর চাদরে ঢাকা পড়ছে। আর প্রতিবছরই যমুনার পানি পাঁচ ফুটের মতো করে নিচে নেমে যাচ্ছে। পুরো এলাকা পানিশূন্য হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।'
তাজমহলকে রক্ষার জন্য যমুনা নদীতে একটি বাঁধ তৈরিতে সাত কোটি ১০ লাখ পাউন্ডের মতো লাগতে পারে বলে জানান কাঠেরিয়া। বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও পানির লাইন বসিয়েও পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায় বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা। তবে আশার কথা হচ্ছে, তাজমহলকে রক্ষার জন্য ভারত সরকার বিশেষ একটি কমিটি গঠন করেছে। কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক কর্মকর্তারা মিলিতভাবে এ ব্যাপারে কাজ করছেন।
তাজমহলের মূল সমাধির কয়েকটি জায়গায় এবং এর চারপাশের চারটি মিনারে গত বছর কয়েকটি ফাটল ধরা পড়ে। তাজমহলের সংস্কারের দাবিতে ইতিমধ্যে ইতিহাসবিদ, পরিবেশবিদ ও রাজনীতিবিদদের সমন্বয়ে একটি আন্দোলন গড়ে উঠেছে। তাঁরা জানান, তাজমহল ধসে পড়ার মতো 'আবছা একটি সংকট' কাটানোর সময় ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে। আন্দোলনকারীদের নেতা আগ্রার এমপি রামশঙ্কর কাঠেরিয়া বলেন, 'জরুরি ভিত্তিতে এ সংকট সামলানো না হলে, আগামী দুই থেকে পাঁচ বছরের মধ্যেই তাজমহল ধসে পড়বে। বিশ্বের বিস্ময়কর এ স্থাপত্যটি উজ্জ্বলতা হারাতে শুরু করেছে। এর চারপাশের মিনারগুলোর নিচে কাঠের যে ভিত্তি আছে, পানির অভাবে সেগুলো শুকাতে শুরু করেছে। এ রকমটা চলতে থাকলে মিনারগুলোও ভেঙে পড়তে পারে। গত তিন দশকে কাউকেই তাজমহলের ভিত্তি পর্যন্ত নামার অনুমতি দেওয়া হয়নি। সবকিছু যদি ঠিকই থাকে, তাহলে এতো লুকোছাপার কী আছে?'
তাজমহল সম্পর্কে বিশ্বের অন্যতম বিশেষজ্ঞ ইতিহাসবিদ অধ্যাপক রাম নাথ বলেন, 'তাজমহল যমুনা নদীর ঠিক তীরেই অবস্থিত। কিন্তু সেই যমুনা এখন শুকিয়ে যাচ্ছে। তাজমহলের নির্মাতারা কখনই এটা আন্দাজ করেননি। নদীটি তাজমহলের স্থাপত্য পরিকল্পনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। এ নদী মরে গেলে তাজমহলও বাঁচতে পারবে না।'
শিল্পায়নের কারণে যমুনা নদী যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তেমনি নতুন রাস্তাঘাট তৈরির জন্য ব্যাপক হারে গাছকাটার ফলে দূষণও বেড়েছে। আগে গাছপালার বেষ্টনী ধূলিঝড়ের হাত থেকে তাজমহলকে রক্ষা করত। কিন্তু এখন সরাসরি ধুলোর ঝাপটা এসে তাজমহলের ওপর পড়ে। এমপি কাঠেরিয়া বলেন, 'গত কয়েক বছর ধরেই তাজমহল ধুলোর চাদরে ঢাকা পড়ছে। আর প্রতিবছরই যমুনার পানি পাঁচ ফুটের মতো করে নিচে নেমে যাচ্ছে। পুরো এলাকা পানিশূন্য হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।'
তাজমহলকে রক্ষার জন্য যমুনা নদীতে একটি বাঁধ তৈরিতে সাত কোটি ১০ লাখ পাউন্ডের মতো লাগতে পারে বলে জানান কাঠেরিয়া। বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও পানির লাইন বসিয়েও পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায় বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা। তবে আশার কথা হচ্ছে, তাজমহলকে রক্ষার জন্য ভারত সরকার বিশেষ একটি কমিটি গঠন করেছে। কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক কর্মকর্তারা মিলিতভাবে এ ব্যাপারে কাজ করছেন।
No comments