মিরসরাইয়ের কান্না শুনে ছুটে এলেন মার্ক-ফিলিপ
মিরসরাই ট্র্যাজেডির কান্না দেশের সীমানা ছাড়িয়ে ছুঁয়ে গেছে বহির্বিশ্বের মানুষকেও। মিরসরাইয়ের শোকার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের কষ্টে শামিল হতে তাই ছুটে এসেছেন মার্ক ও ফিলিপ নামের দুই বিদেশি যুবক। আবু তোরাব এলাকায় গিয়ে তাঁরা ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন শোকার্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। আরো কয়েক দিন সেখানে অবস্থান করে তাঁরা শোকার্তদের মানসিক শক্তি অর্জনে সহায়তা করবেন।
মানুষের জীবনে রঙের প্রভাব কেমন_এ বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে কাজ করছেন ইংরেজ মনোবিশ্লেষক মার্ক। ফিলিপ একজন উচ্চাঙ্গ সংগীতশিল্পী।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় মিরসরাই সদরে আলাপচারিতার সময় মার্ক ও ফিলিপ কালের কণ্ঠকে বলেন, মিরসরাই ট্র্যাজেডির ঘটনায় তাঁরা তখন থেকেই মর্মাহত। গণমাধ্যমে তাঁরা খবরটি পান। এর পরই সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশে আসার। কারণ তাঁরা বুঝতে পেরেছেন, এমন অকাল মৃত্যু স্বজনদের কতটা অসহায় করে তুলতে পারে। তাই তাঁরা পাশে দাঁড়িয়ে সমবেদনা জানাতে ছুটে এসেছেন।
মার্ক ওয়েন্টওয়ার্থের দেশ ইংল্যান্ড ও ফিলিপ দ্য মুরার দেশ পর্তুগাল। তবে তাঁরা একসঙ্গে ডায়নামিক হার্ট প্রজেক্ট নামের এক সংগঠন গড়ে তোলেন। এর আওতায় বেশ কয়েক বছর ধরে তাঁরা স্থানীয়ভাবে সেবামূলক কাজ করেন। এরপর গত বছর তাঁরা নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে কাজ করেছেন অনাথ শিশুদের নিয়ে। দেশের বাইরে তাঁদের দ্বিতীয় কর্মসূচি বাংলাদেশের মিরসরাই ট্র্যাজেডির শোকার্তদের পাশে দাঁড়ানো।
এক প্রশ্নের জবাবে মার্ক বলেন, 'ঘটনার পর থেকেই সিদ্ধান্ত নিই, যে করেই হোক বাংলাদেশে নিহত শিশুদের শোকার্ত স্বজনদের পাশে দাঁড়াব। তাদের কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে মানসিক স্বস্তি দিতে চেষ্টা করব।'
বন্ধু-সহপাঠী, আত্মীয়-পরিজন এবং নিজ কমিউনিটির মানুষদের কাছ থেকে অর্থের জোগান নিয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন মার্ক ও ফিলিপ। ফিলিপ বলেন, 'আগামী ১২ অক্টোবর স্বদেশে ফিরে যাব। এ সময় পর্যন্ত যে অর্থ ব্যয় হচ্ছে, এর সবটুকুই নিজেদের এবং অন্যদের কাছ থেকে পাওয়া সহায়তা। অস্ট্রেলিয়া ও সাইবেরিয়া থেকেও কিছু বন্ধু সহায়তা করেছেন। আমাদের কাজে উদ্বুদ্ধ হয়ে নেপালের মানুষ আবারও সেই দেশে যেতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।'
গতকাল সকালে মিরসরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে স্থানীয়ভাবে রয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের একদল শিক্ষার্থী, স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা অপ্কা, ইপসা, এওয়াক, মমতা, ঘাসফুল এবং এইউডিসির কর্মকর্তা ও কর্মীরা। আবু তোরাব এলাকায় গতকাল দুপুর থেকেই তাঁদের কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁরা মিরসরাইয়ে অবস্থান করবেন। এ সময় তাঁরা ট্র্যাজেডিতে নিহতদের অভিভাবক, সহপাঠী, শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মনোবৈকল্যের প্রভাব থেকে মুক্ত করতে নানাভাবে কাজ করবেন।
মিরসরাই ট্র্যাজেডির স্মৃতিবাহী সেই ডোবার পাশে তাঁরা নীরবে বসে ছিলেন কিছুক্ষণ। সেই অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে তাঁরা বলেন, 'কী করে এমন দুর্ঘটনাটি ঘটল, তা কোনোভাবেই মেলাতে পারছিলাম না। সেখানে গিয়ে সেদিনের দুর্ঘটনার কথা ফের স্মরণ হয়ে গেল।'
নেপালে যুদ্ধ চলাকালে যেসব শিশু পথশিশু হয়েছে এবং বিভিন্ন সময় মা-বাবা সন্তানদের ফেলে রেখে চলে গেছেন, ওই সব এতিম শিশুকে নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন কাঠমাণ্ডুতে। সেখানকার পরিস্থিতি থেকেও মিরসরাইয়ের আবু তোরাবের দৃশ্যপট আলাদা বলে উল্লেখ করেন তাঁরা। আজ দিনভর গ্রুপভিত্তিক বাড়ি বাড়ি গিয়ে শোকাহত অভিভাবকদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার কথা রয়েছে তাঁদের।
গত চার দিন ধরে চট্টগ্রামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী, স্থানীয় নানা এনজিও সংস্থার কর্মকর্তাসহ ২৫ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন মার্ক ও ফিলিপ। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরাও আবু তোরাবে এসব কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় মিরসরাই সদরে আলাপচারিতার সময় মার্ক ও ফিলিপ কালের কণ্ঠকে বলেন, মিরসরাই ট্র্যাজেডির ঘটনায় তাঁরা তখন থেকেই মর্মাহত। গণমাধ্যমে তাঁরা খবরটি পান। এর পরই সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশে আসার। কারণ তাঁরা বুঝতে পেরেছেন, এমন অকাল মৃত্যু স্বজনদের কতটা অসহায় করে তুলতে পারে। তাই তাঁরা পাশে দাঁড়িয়ে সমবেদনা জানাতে ছুটে এসেছেন।
মার্ক ওয়েন্টওয়ার্থের দেশ ইংল্যান্ড ও ফিলিপ দ্য মুরার দেশ পর্তুগাল। তবে তাঁরা একসঙ্গে ডায়নামিক হার্ট প্রজেক্ট নামের এক সংগঠন গড়ে তোলেন। এর আওতায় বেশ কয়েক বছর ধরে তাঁরা স্থানীয়ভাবে সেবামূলক কাজ করেন। এরপর গত বছর তাঁরা নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে কাজ করেছেন অনাথ শিশুদের নিয়ে। দেশের বাইরে তাঁদের দ্বিতীয় কর্মসূচি বাংলাদেশের মিরসরাই ট্র্যাজেডির শোকার্তদের পাশে দাঁড়ানো।
এক প্রশ্নের জবাবে মার্ক বলেন, 'ঘটনার পর থেকেই সিদ্ধান্ত নিই, যে করেই হোক বাংলাদেশে নিহত শিশুদের শোকার্ত স্বজনদের পাশে দাঁড়াব। তাদের কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে মানসিক স্বস্তি দিতে চেষ্টা করব।'
বন্ধু-সহপাঠী, আত্মীয়-পরিজন এবং নিজ কমিউনিটির মানুষদের কাছ থেকে অর্থের জোগান নিয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন মার্ক ও ফিলিপ। ফিলিপ বলেন, 'আগামী ১২ অক্টোবর স্বদেশে ফিরে যাব। এ সময় পর্যন্ত যে অর্থ ব্যয় হচ্ছে, এর সবটুকুই নিজেদের এবং অন্যদের কাছ থেকে পাওয়া সহায়তা। অস্ট্রেলিয়া ও সাইবেরিয়া থেকেও কিছু বন্ধু সহায়তা করেছেন। আমাদের কাজে উদ্বুদ্ধ হয়ে নেপালের মানুষ আবারও সেই দেশে যেতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।'
গতকাল সকালে মিরসরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে স্থানীয়ভাবে রয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের একদল শিক্ষার্থী, স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা অপ্কা, ইপসা, এওয়াক, মমতা, ঘাসফুল এবং এইউডিসির কর্মকর্তা ও কর্মীরা। আবু তোরাব এলাকায় গতকাল দুপুর থেকেই তাঁদের কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁরা মিরসরাইয়ে অবস্থান করবেন। এ সময় তাঁরা ট্র্যাজেডিতে নিহতদের অভিভাবক, সহপাঠী, শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মনোবৈকল্যের প্রভাব থেকে মুক্ত করতে নানাভাবে কাজ করবেন।
মিরসরাই ট্র্যাজেডির স্মৃতিবাহী সেই ডোবার পাশে তাঁরা নীরবে বসে ছিলেন কিছুক্ষণ। সেই অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে তাঁরা বলেন, 'কী করে এমন দুর্ঘটনাটি ঘটল, তা কোনোভাবেই মেলাতে পারছিলাম না। সেখানে গিয়ে সেদিনের দুর্ঘটনার কথা ফের স্মরণ হয়ে গেল।'
নেপালে যুদ্ধ চলাকালে যেসব শিশু পথশিশু হয়েছে এবং বিভিন্ন সময় মা-বাবা সন্তানদের ফেলে রেখে চলে গেছেন, ওই সব এতিম শিশুকে নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন কাঠমাণ্ডুতে। সেখানকার পরিস্থিতি থেকেও মিরসরাইয়ের আবু তোরাবের দৃশ্যপট আলাদা বলে উল্লেখ করেন তাঁরা। আজ দিনভর গ্রুপভিত্তিক বাড়ি বাড়ি গিয়ে শোকাহত অভিভাবকদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার কথা রয়েছে তাঁদের।
গত চার দিন ধরে চট্টগ্রামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী, স্থানীয় নানা এনজিও সংস্থার কর্মকর্তাসহ ২৫ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন মার্ক ও ফিলিপ। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরাও আবু তোরাবে এসব কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন।
No comments