ভোটের অঙ্কে আমি এগিয়ে
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের সমর্থন কে পাচ্ছেন তা নিয়ে ভোটারদের মনে যেমন কৌতূহলের পারদ দিন দিন বাড়ছে, তেমনি দলীয় সমর্থনের অন্যতম দাবিদার শামীম ওসমানের মনেও জমছে উদ্বেগের ঘন মেঘ। তবে দীর্ঘদিন
রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ও বহু ঘটনার নায়ক এ রাজনীতিবিদ সব উদ্বেগ জয় করার মন্ত্র জানেন। সব ধরনের দুশ্চিন্তাকে নিজের ভেতর চেপে রেখে সবার সঙ্গে মিশছেন প্রাণ খুলে।
রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ও বহু ঘটনার নায়ক এ রাজনীতিবিদ সব উদ্বেগ জয় করার মন্ত্র জানেন। সব ধরনের দুশ্চিন্তাকে নিজের ভেতর চেপে রেখে সবার সঙ্গে মিশছেন প্রাণ খুলে।
নিজেকে নির্ভার রাখতে বলছেন, দল যাকে সমর্থন দেবে তিনিই মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে তিনি যাবেন না। মিডিয়ার সঙ্গে একসময় দূরত্ব তৈরি হলেও এখন মিডিয়াবান্ধব তিনি। সাক্ষাৎকারের জন্য সময় চাইতেই এক কথায় রাজি হয়ে গেলেন শামীম ওসমান। নারায়ণগঞ্জ রাইফেলস ক্লাবে অপেক্ষা করতে বলে কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে এলেন তিনি। দীর্ঘক্ষণ আলাপ হয় তার সঙ্গে। ক্লাবের ভেতর সোফায় গা এলিয়ে দিয়ে আয়েশি ভঙ্গিতে কথা বললেন। একটির পর একটি সিগারেট ধরিয়ে দুশ্চিন্তামুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি। মেয়র নির্বাচন উপলক্ষে সমকালের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। তার সঙ্গে আলাপের উল্লেখযোগ্য অংশ তুলে ধরা হলো সমকালের পাঠকদের জন্য।
সমকাল : একসময় সাংসদ ছিলেন। আগামীতে দলীয় মনোনয়নে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তাবও পেয়েছেন। সেটা বাদ দিয়ে মেয়র পদে কেন লড়তে চাচ্ছেন?
শামীম : আমার কাছে নারায়ণগঞ্জটাই বাংলাদেশ। এখানেই বড় হয়েছি। সবকিছু নারায়ণগঞ্জকে ঘিরে। এলাকার জন্য কাজ করতে হলে মেয়র হিসেবে সবচেয়ে বেশি সুযোগ পাওয়া যাবে। মেয়র হলে এলাকার জন্য আরও বড় পরিসরে কাজ করার সুযোগ তৈরি হয়। এলাকার উন্নয়ন পরিকল্পনা, এলাকাকে ঢেলে সাজাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা, প্রাক-পরিকল্পনা সবকিছুই করতে পারেন একজন মেয়র। এ কারণে মেয়র পদটাই আমার পছন্দ। তবে দল সমর্থন দিলে লড়ব।
সমকাল : মেয়র পদ, না সাংসদ পদ_ কোনটি আপনার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ?
শামীম : যখন সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলাম তখন বয়স ছিল ৩৪ বছর। এখন আমার বয়স ৫০ বছর। শরীরে বোমার স্পিল্গন্টার থাকায় বেশিক্ষণ হাঁটতে পারি না। তাই নারায়ণগঞ্জকে নিয়েই চিন্তা করতে চাই। নানা কারণে আমার কাছে নারায়ণগঞ্জের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।
সমকাল :আপনার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ রয়েছে। পুরো দেশ সন্ত্রাসী হিসেবে আপনার নাম জানে। নির্বাচনে এটা প্রভাব ফেলবে না?
শামিম : এটা বিরোধী দল প্রভাবিত মিডিয়ার মিথ্যা প্রচারণা। আমি সন্ত্রাসী হলে গত ২৬ মাসে কারও কোনো ক্ষতি করেছি? যারা বিরোধী দল করে তাদের বিরুদ্ধে কিছু করেছি? বা যারা বোমা হামলা চালিয়েছিল তাদের অনেকেই তো এখনও বাইরে। তাদের কিছু বলেছি? সব মিথ্যা প্রচারণা। আপনি এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। দেখুন তারা আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ জানায় কি-না?
সমকাল : সন্ত্রাসী তকমাটা কী করে আপনার গায়ে লাগল?
শামীম : আমি কলেজজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ১৯৯৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লংমার্চের ঘোষণা দেন। এখানে আসার আগেই ট্রাকের জ্যামে লংমার্চ আটকে যায়। আমি তখন আমার লোকজন নিয়ে জ্যাম ছাড়াতে যাই; কিন্তু তাদের মিডিয়া বিষয়টি ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে আমাকে সন্ত্রাসী বানায়। এখন তো কাঁচপুর এলাকায় আরও বেশি জ্যাম লাগে। এর জন্যও কি আমি দায়ী?
সমকাল :এবারের নির্বাচনকে কীভাবে দেখছেন বা মূল্যায়ন করবেন?
শামীম : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থানীয় একটি নির্বাচন হলেও এর গুরুত্ব কিন্তু অপরিসীম। এ নির্বাচনের কারণে বিএনপি তাদের কর্মসূচি বাদ দিয়েছে। নির্বাচনে অনেক হিসাব আছে। তাই এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্বাচনের জন্য এটি একটি টার্নিং পয়েন্ট হতে যাচ্ছে। বিএনপি বলছে, আওয়ামী লীগ সরকার গণবিচ্ছিন্ন। আন্তর্জাতিক স্তরেও তারা এ বার্তা পেঁৗছে দিতে চাইছে। এ নির্বাচন নির্দলীয় হলেও মূলত লড়াই হবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির। বিএনপি এখন সব দিক থেকে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। এ নির্বাচনে পরাজিত হলে তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাবে। হয়তো এর পরই তারা ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দাবি জানাবে।
সমকাল : মেয়র পদে অন্য প্রার্থীদের অবস্থা কেমন?
শামীম : তৈমুর আলম খন্দকারের সঙ্গে আমাদের দলের একজনের সম্পর্ক খুব ভালো। আমি তার নাম বলব না। তারা নির্বাচনে কী করে কে জানে। আমার ওপর সাধারণ মানুষ এবং দলের নেতাকর্মীদের আস্থা আছে। অন্যদের ওপর তা নেই। তাছাড়া এটা সিটি করপোরেশন এলাকা। আমি সবার উন্নয়নের জন্য কাজ করেছি; কিন্তু তিনি (আইভির নাম উল্লেখ না করে) কাজ করেছেন একমুখী।
সমকাল : নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে কতটুকু আশাবাদী?
শামীম : আমি শতভাগ আশাবাদী। কেননা ভোটের অঙ্কে আমি অনেকটা এগিয়ে। রেললাইনের ওপারে ৯৮ হাজার ভোটার আছেন। তাদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের। সংখ্যালঘু ভোটার আছেন ৩২ হাজার। তাদের ২৫ হাজারই আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন। নদীর ওপারে আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক আছে। এছাড়া বড় ভাই নাসিম ওসমানের নির্দিষ্ট ভোটার আছেন ৫০ হাজার, মরহুম বাবার একটি ভোটব্যাংক আছে। সবমিলিয়ে আওয়ামী লীগ ও আমাদের পরিবারের যে ভোটব্যাংক আছে তা অন্য কোনো প্রার্থীর নেই। এ কারণে জয়ের ব্যাপারে আমি বেশ আশাবাদী।
সমকাল : আওয়ামী লীগ থেকে আপনাকে সমর্থন না জানিয়ে অন্য কাউকে জানালে আপনার ভূমিকা কী হবে?
শামীম : 'বিএনপি ঠেকাও' আমার লড়াই নয়। আমার লড়াই মৌলবাদের বিরুদ্ধে। মৌলবাদের বিরুদ্ধে তার অবস্থান হলে আমি তাকে সহায়তা করব।
সমকাল : মেয়র নির্বাচিত হলে এলাকার জন্য কী করবেন?
শামীম : উন্নয়ন করতে চাইলে অনেকভাবে করা যায়। পরিকল্পনা ও লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও ভালো করতে হবে। প্রয়োজনে পিপিপির ভিত্তিতে রেললাইন স্থাপন করে দ্রুত ও আরামদায়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করতে হবে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জের যেসব এলাকায় জলাবদ্ধতা সমস্যা রয়েছে সেখানে ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। যেসব জলাশয় দখল হয়েছে, বিকল্প কর্মসংস্থানের মাধ্যমে সেসব জলাশয় উদ্ধার করতে হবে।
সমকাল :এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন?
শামীম : একসময় শহরটি সন্ত্রাসকবলিত ছিল। এখন সে সমস্যা নেই। মানুষ নিরাপদে বসবাস করতে পারছে। থানায় মামলার সংখ্যাও অনেক কমে গেছে। বাংলাদেশের বাকি ৬৩ জেলার সঙ্গে তুলনা করলে দেখবেন বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো।
সমকাল : সমকালকে এতটা সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
শামীম : আপনাকে এবং পাঠকদেরও ধন্যবাদ।
সমকাল : একসময় সাংসদ ছিলেন। আগামীতে দলীয় মনোনয়নে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তাবও পেয়েছেন। সেটা বাদ দিয়ে মেয়র পদে কেন লড়তে চাচ্ছেন?
শামীম : আমার কাছে নারায়ণগঞ্জটাই বাংলাদেশ। এখানেই বড় হয়েছি। সবকিছু নারায়ণগঞ্জকে ঘিরে। এলাকার জন্য কাজ করতে হলে মেয়র হিসেবে সবচেয়ে বেশি সুযোগ পাওয়া যাবে। মেয়র হলে এলাকার জন্য আরও বড় পরিসরে কাজ করার সুযোগ তৈরি হয়। এলাকার উন্নয়ন পরিকল্পনা, এলাকাকে ঢেলে সাজাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা, প্রাক-পরিকল্পনা সবকিছুই করতে পারেন একজন মেয়র। এ কারণে মেয়র পদটাই আমার পছন্দ। তবে দল সমর্থন দিলে লড়ব।
সমকাল : মেয়র পদ, না সাংসদ পদ_ কোনটি আপনার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ?
শামীম : যখন সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলাম তখন বয়স ছিল ৩৪ বছর। এখন আমার বয়স ৫০ বছর। শরীরে বোমার স্পিল্গন্টার থাকায় বেশিক্ষণ হাঁটতে পারি না। তাই নারায়ণগঞ্জকে নিয়েই চিন্তা করতে চাই। নানা কারণে আমার কাছে নারায়ণগঞ্জের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।
সমকাল :আপনার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ রয়েছে। পুরো দেশ সন্ত্রাসী হিসেবে আপনার নাম জানে। নির্বাচনে এটা প্রভাব ফেলবে না?
শামিম : এটা বিরোধী দল প্রভাবিত মিডিয়ার মিথ্যা প্রচারণা। আমি সন্ত্রাসী হলে গত ২৬ মাসে কারও কোনো ক্ষতি করেছি? যারা বিরোধী দল করে তাদের বিরুদ্ধে কিছু করেছি? বা যারা বোমা হামলা চালিয়েছিল তাদের অনেকেই তো এখনও বাইরে। তাদের কিছু বলেছি? সব মিথ্যা প্রচারণা। আপনি এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। দেখুন তারা আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ জানায় কি-না?
সমকাল : সন্ত্রাসী তকমাটা কী করে আপনার গায়ে লাগল?
শামীম : আমি কলেজজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ১৯৯৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লংমার্চের ঘোষণা দেন। এখানে আসার আগেই ট্রাকের জ্যামে লংমার্চ আটকে যায়। আমি তখন আমার লোকজন নিয়ে জ্যাম ছাড়াতে যাই; কিন্তু তাদের মিডিয়া বিষয়টি ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে আমাকে সন্ত্রাসী বানায়। এখন তো কাঁচপুর এলাকায় আরও বেশি জ্যাম লাগে। এর জন্যও কি আমি দায়ী?
সমকাল :এবারের নির্বাচনকে কীভাবে দেখছেন বা মূল্যায়ন করবেন?
শামীম : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থানীয় একটি নির্বাচন হলেও এর গুরুত্ব কিন্তু অপরিসীম। এ নির্বাচনের কারণে বিএনপি তাদের কর্মসূচি বাদ দিয়েছে। নির্বাচনে অনেক হিসাব আছে। তাই এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্বাচনের জন্য এটি একটি টার্নিং পয়েন্ট হতে যাচ্ছে। বিএনপি বলছে, আওয়ামী লীগ সরকার গণবিচ্ছিন্ন। আন্তর্জাতিক স্তরেও তারা এ বার্তা পেঁৗছে দিতে চাইছে। এ নির্বাচন নির্দলীয় হলেও মূলত লড়াই হবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির। বিএনপি এখন সব দিক থেকে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। এ নির্বাচনে পরাজিত হলে তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাবে। হয়তো এর পরই তারা ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দাবি জানাবে।
সমকাল : মেয়র পদে অন্য প্রার্থীদের অবস্থা কেমন?
শামীম : তৈমুর আলম খন্দকারের সঙ্গে আমাদের দলের একজনের সম্পর্ক খুব ভালো। আমি তার নাম বলব না। তারা নির্বাচনে কী করে কে জানে। আমার ওপর সাধারণ মানুষ এবং দলের নেতাকর্মীদের আস্থা আছে। অন্যদের ওপর তা নেই। তাছাড়া এটা সিটি করপোরেশন এলাকা। আমি সবার উন্নয়নের জন্য কাজ করেছি; কিন্তু তিনি (আইভির নাম উল্লেখ না করে) কাজ করেছেন একমুখী।
সমকাল : নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে কতটুকু আশাবাদী?
শামীম : আমি শতভাগ আশাবাদী। কেননা ভোটের অঙ্কে আমি অনেকটা এগিয়ে। রেললাইনের ওপারে ৯৮ হাজার ভোটার আছেন। তাদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের। সংখ্যালঘু ভোটার আছেন ৩২ হাজার। তাদের ২৫ হাজারই আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন। নদীর ওপারে আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক আছে। এছাড়া বড় ভাই নাসিম ওসমানের নির্দিষ্ট ভোটার আছেন ৫০ হাজার, মরহুম বাবার একটি ভোটব্যাংক আছে। সবমিলিয়ে আওয়ামী লীগ ও আমাদের পরিবারের যে ভোটব্যাংক আছে তা অন্য কোনো প্রার্থীর নেই। এ কারণে জয়ের ব্যাপারে আমি বেশ আশাবাদী।
সমকাল : আওয়ামী লীগ থেকে আপনাকে সমর্থন না জানিয়ে অন্য কাউকে জানালে আপনার ভূমিকা কী হবে?
শামীম : 'বিএনপি ঠেকাও' আমার লড়াই নয়। আমার লড়াই মৌলবাদের বিরুদ্ধে। মৌলবাদের বিরুদ্ধে তার অবস্থান হলে আমি তাকে সহায়তা করব।
সমকাল : মেয়র নির্বাচিত হলে এলাকার জন্য কী করবেন?
শামীম : উন্নয়ন করতে চাইলে অনেকভাবে করা যায়। পরিকল্পনা ও লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও ভালো করতে হবে। প্রয়োজনে পিপিপির ভিত্তিতে রেললাইন স্থাপন করে দ্রুত ও আরামদায়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করতে হবে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জের যেসব এলাকায় জলাবদ্ধতা সমস্যা রয়েছে সেখানে ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। যেসব জলাশয় দখল হয়েছে, বিকল্প কর্মসংস্থানের মাধ্যমে সেসব জলাশয় উদ্ধার করতে হবে।
সমকাল :এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন?
শামীম : একসময় শহরটি সন্ত্রাসকবলিত ছিল। এখন সে সমস্যা নেই। মানুষ নিরাপদে বসবাস করতে পারছে। থানায় মামলার সংখ্যাও অনেক কমে গেছে। বাংলাদেশের বাকি ৬৩ জেলার সঙ্গে তুলনা করলে দেখবেন বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো।
সমকাল : সমকালকে এতটা সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
শামীম : আপনাকে এবং পাঠকদেরও ধন্যবাদ।
No comments