এমবিবিএসের প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টাঃ ২০ লাখ টাকায় রফা হয় শুভেচ্ছা কোচিংয়ের সঙ্গে
মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করার জন্য শুভেচ্ছা কোচিং সেন্টারের মালিক আবদুল মান্নানের সঙ্গে ২০ লাখ টাকায় রফা হয়েছিল ছাপাখানার শ্রমিক শাহেনশাহ ঠাকুরের। দরদাম ঠিক করার বৈঠকে স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর ব্যবস্থাপক ফাইজুর রহমানও ছিলেন। তিনি শাহেনশাহের মামা। গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার শাহেনশাহ ঠাকুর এসব তথ্য দিয়েছেন। তাঁর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে প্রশ্নের ক্রেতা মান্নানের নাম আসার পর গত মঙ্গলবার ভোরে শুভেচ্ছা কোচিংয়ের মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবি কর্মকর্তারা জানান, মান্নান শারীরিকভাবে অসুস্থ। তিনি ডায়াবেটিস ও হূদেরাগে ভুগছেন। তাই আদালতে তাঁর সুস্থতা সাপেক্ষে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হয়েছিল। আদালত তাঁকে কারা হেফাজতে পাঠিয়েছেন।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর মহাখালীর সরকারি প্রেস থেকে অন্তর্বাসের নিচে একটি প্রশ্নপত্র নিয়ে বের হওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন শাহেনশাহ ঠাকুর। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে ওই ছাপাখানার ব্যবস্থাপক তাঁর মামা ফাইজুর রহমান (৪৭) ও কারিগর এস এম আলমগীরকে (৩৯) গ্রেপ্তার করে ডিবি। এঁরা বর্তমানে কারাগারে আছেন। সর্বশেষ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ডিবি গ্রেপ্তার করেছে শুভেচ্ছা কোচিং সেন্টারের মালিক মান্নানকে। ঘটনার সঙ্গে আরও কয়েকজন কোচিং ব্যবসায়ী জড়িত বলে জানতে পেরেছে ডিবি।
ডিবির উপকমিশনার (উত্তর) মাহাবুবর রহমান বলেন, প্রশ্নের কপি হাতে পৌঁছে দিতে পারলে শাহেনশাহকে ২০ লাখ টাকা দিতে চেয়েছিলেন মান্নান। তবে শাহেনশাহ জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, তিনি মান্নানের কাছে প্রশ্নের দাম চেয়েছিলেন ১৫ লাখ টাকা। তখন মান্নান বলেন, ১৫ লাখ টাকা নয়, এক কপি প্রশ্ন এনে দিলে শাহেনশাহকে ২০ লাখ টাকা দেওয়া হবে।
উপকমিশনার (উত্তর) বলেন, মান্নানের ফার্মগেটের দপ্তরে বসেই মুখোমুখি কথাবার্তা হয়। শাহেনশাহর মামা ছাপাখানার ব্যবস্থাপক ফাইজুরও তখন উপস্থিত ছিলেন। মূলত ফাইজুরই এই লেনদেন চূড়ান্ত করেন। এ ঘটনার সঙ্গে আরও কয়েকজনের যোগসাজশ রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
উপকমিশনার বলেন, শাহেনশাহকে স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর ছাপাখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজে ঢুকিয়েছিলেন ফাইজুর। ফাইজুর এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করছেন তাঁরা। ফাইজুরের ব্যক্তিগত সম্পদ ও পূর্ব বৃত্তান্তের বিস্তারিত খবর নেওয়া হচ্ছে।
ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে শাহেনশাহ বলেছেন, এই টাকা নিয়ে তাঁর ইতালিতে কাজ করতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। তিনি বলেন, মেডিকেল ও ডেন্টালে ভর্তির জন্য শুভেচ্ছা কোচিং সেন্টার দীর্ঘদিন ধরে ‘শতভাগ সাফল্যের গ্যারান্টি’ দিয়ে ব্যবসা করে আসছে। দেখা গেছে, প্রায় প্রতিবছরই মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার ঠিক আগে বিদেশে চলে যান মান্নান। ওই সময় বিদেশ যাওয়ার কথা তিনি স্বীকারও করেছেন। তাঁর এই বিদেশযাত্রার আসল রহস্য কী, তা তদন্ত হচ্ছে।
ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, আরও অনেক কোচিং সেন্টার শতভাগ সাফল্যের নিশ্চয়তা দিচ্ছে। তারা আসলে কিসের ভিত্তিতে এই নিশ্চয়তা দিচ্ছে, এই বিষয়গুলোও তদন্ত করবে ডিবি।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে ভুয়া প্রশ্নপত্র বিক্রির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, ব্যাংক কর্মকর্তা, কোচিং সেন্টারের পরিচালকসহ মোট ২১ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁরাও বর্তমানে কারা হেফাজতে আছেন।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর মহাখালীর সরকারি প্রেস থেকে অন্তর্বাসের নিচে একটি প্রশ্নপত্র নিয়ে বের হওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন শাহেনশাহ ঠাকুর। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে ওই ছাপাখানার ব্যবস্থাপক তাঁর মামা ফাইজুর রহমান (৪৭) ও কারিগর এস এম আলমগীরকে (৩৯) গ্রেপ্তার করে ডিবি। এঁরা বর্তমানে কারাগারে আছেন। সর্বশেষ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ডিবি গ্রেপ্তার করেছে শুভেচ্ছা কোচিং সেন্টারের মালিক মান্নানকে। ঘটনার সঙ্গে আরও কয়েকজন কোচিং ব্যবসায়ী জড়িত বলে জানতে পেরেছে ডিবি।
ডিবির উপকমিশনার (উত্তর) মাহাবুবর রহমান বলেন, প্রশ্নের কপি হাতে পৌঁছে দিতে পারলে শাহেনশাহকে ২০ লাখ টাকা দিতে চেয়েছিলেন মান্নান। তবে শাহেনশাহ জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, তিনি মান্নানের কাছে প্রশ্নের দাম চেয়েছিলেন ১৫ লাখ টাকা। তখন মান্নান বলেন, ১৫ লাখ টাকা নয়, এক কপি প্রশ্ন এনে দিলে শাহেনশাহকে ২০ লাখ টাকা দেওয়া হবে।
উপকমিশনার (উত্তর) বলেন, মান্নানের ফার্মগেটের দপ্তরে বসেই মুখোমুখি কথাবার্তা হয়। শাহেনশাহর মামা ছাপাখানার ব্যবস্থাপক ফাইজুরও তখন উপস্থিত ছিলেন। মূলত ফাইজুরই এই লেনদেন চূড়ান্ত করেন। এ ঘটনার সঙ্গে আরও কয়েকজনের যোগসাজশ রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
উপকমিশনার বলেন, শাহেনশাহকে স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর ছাপাখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজে ঢুকিয়েছিলেন ফাইজুর। ফাইজুর এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করছেন তাঁরা। ফাইজুরের ব্যক্তিগত সম্পদ ও পূর্ব বৃত্তান্তের বিস্তারিত খবর নেওয়া হচ্ছে।
ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে শাহেনশাহ বলেছেন, এই টাকা নিয়ে তাঁর ইতালিতে কাজ করতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। তিনি বলেন, মেডিকেল ও ডেন্টালে ভর্তির জন্য শুভেচ্ছা কোচিং সেন্টার দীর্ঘদিন ধরে ‘শতভাগ সাফল্যের গ্যারান্টি’ দিয়ে ব্যবসা করে আসছে। দেখা গেছে, প্রায় প্রতিবছরই মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার ঠিক আগে বিদেশে চলে যান মান্নান। ওই সময় বিদেশ যাওয়ার কথা তিনি স্বীকারও করেছেন। তাঁর এই বিদেশযাত্রার আসল রহস্য কী, তা তদন্ত হচ্ছে।
ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, আরও অনেক কোচিং সেন্টার শতভাগ সাফল্যের নিশ্চয়তা দিচ্ছে। তারা আসলে কিসের ভিত্তিতে এই নিশ্চয়তা দিচ্ছে, এই বিষয়গুলোও তদন্ত করবে ডিবি।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে ভুয়া প্রশ্নপত্র বিক্রির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, ব্যাংক কর্মকর্তা, কোচিং সেন্টারের পরিচালকসহ মোট ২১ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁরাও বর্তমানে কারা হেফাজতে আছেন।
No comments