বিদ্যুতের দাম ছয় মাস পর ফের বাড়বে!
জ্বালানি তেল, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির পর এবার বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব বিবেচনার জন্য গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটিং কমিশন (বিইআরসি)। গতকাল বুধবার পিডিবি ও বিপিডিসি দাম বাড়ানোর প্রস্তাব বিইআরসিতে জমা দিয়েছে। প্রস্তাবে গড়ে ১০ শতাংশ করে দাম বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। ছয় মাস পরপর এই দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে সংস্থা দুটি। অব্যাহত লোকসানের কারণে এ দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে বিইআরসি সূত্র জানিয়েছে।
পিডিবির বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটিং কমিশনের সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ। তিনি বলেন, 'আমাদের কাছে পিডিবি ও বিপিডিসি গতকাল ১০ শতাংশ হারে আগামী ছয় মাস পর বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা বিষয়টি আমলে নিয়েছি।'
পিডিবি সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছর বিদ্যুতের চাহিদা ৮ থেকে ১০ শতাংশ করে বাড়ছে। বাড়তি বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে পিডিবি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ এবং ভাড়াভিত্তিকের (রেন্টাল) পাশাপাশি ব্যক্তি মালিকানাধীন (আইপিপি খাত) কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনছে। এ কারণে পিডিবির ভর্তুকির পরিমাণ বাড়ছে। গত বছর এর পরিমাণ ছিল চার হাজার কোটি টাকা, এবার বেড়ে তা সাত হাজার কোটি টাকা হতে পারে। এ কারণে বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য বাড়িয়েছে বিইআরসি।
পিডিবি সূত্রে জানা যায়, প্রথম দফায় প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম দুই টাকা ৩৭ পয়সা থেকে ১১ শতাংশ বাড়িয়ে দুই টাকা ৬৩ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। এই দাম গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছিল। এরপর দ্বিতীয় দফা বিদ্যুতের দাম বাড়ে গত ১ আগস্ট। সেবার প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম দুই টাকা ৬৩ পয়সা থেকে নির্ধারণ করা হয় দুই টাকা ৮১ পয়সা।
পিডিবির দাবি বিদ্যুৎ বিতরণে তাদের ক্ষতি হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য মতে, ২০০৯-১০ অর্থবছরে ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের গড় সরবরাহ ব্যয় ছিল দুই টাকা ৬২ পয়সা। ২০১০-১১ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় চার টাকা ১৫ পয়সা। চলতি বছর এ ব্যয় বেড়ে দাঁড়াবে ইউনিটপ্রতি চার টাকা ৮৬ পয়সা। কিন্তু পিডিবি গড়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রি করছে দুই টাকা ৮১ পয়সা দরে। এ ক্ষেত্রে পিডিবি ইউনিটপ্রতি গচ্চা দিচ্ছে দুই টাকা পাঁচ পয়সা। এ কারণে গত বছর পিডিবির ক্ষতি হয়েছে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা। আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য বিইআরসির কাছে পিডিবি বিদ্যুতের পাইকারি দাম ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে।
পিডিবি সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছর বিদ্যুতের চাহিদা ৮ থেকে ১০ শতাংশ করে বাড়ছে। বাড়তি বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে পিডিবি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ এবং ভাড়াভিত্তিকের (রেন্টাল) পাশাপাশি ব্যক্তি মালিকানাধীন (আইপিপি খাত) কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনছে। এ কারণে পিডিবির ভর্তুকির পরিমাণ বাড়ছে। গত বছর এর পরিমাণ ছিল চার হাজার কোটি টাকা, এবার বেড়ে তা সাত হাজার কোটি টাকা হতে পারে। এ কারণে বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য বাড়িয়েছে বিইআরসি।
পিডিবি সূত্রে জানা যায়, প্রথম দফায় প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম দুই টাকা ৩৭ পয়সা থেকে ১১ শতাংশ বাড়িয়ে দুই টাকা ৬৩ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। এই দাম গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছিল। এরপর দ্বিতীয় দফা বিদ্যুতের দাম বাড়ে গত ১ আগস্ট। সেবার প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম দুই টাকা ৬৩ পয়সা থেকে নির্ধারণ করা হয় দুই টাকা ৮১ পয়সা।
পিডিবির দাবি বিদ্যুৎ বিতরণে তাদের ক্ষতি হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য মতে, ২০০৯-১০ অর্থবছরে ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের গড় সরবরাহ ব্যয় ছিল দুই টাকা ৬২ পয়সা। ২০১০-১১ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় চার টাকা ১৫ পয়সা। চলতি বছর এ ব্যয় বেড়ে দাঁড়াবে ইউনিটপ্রতি চার টাকা ৮৬ পয়সা। কিন্তু পিডিবি গড়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রি করছে দুই টাকা ৮১ পয়সা দরে। এ ক্ষেত্রে পিডিবি ইউনিটপ্রতি গচ্চা দিচ্ছে দুই টাকা পাঁচ পয়সা। এ কারণে গত বছর পিডিবির ক্ষতি হয়েছে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা। আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য বিইআরসির কাছে পিডিবি বিদ্যুতের পাইকারি দাম ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে।
No comments