হামলার অভিযোগ-এসতেলেকেও আটকে দিল ইসরায়েল

গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী সুইডিশ জাহাজ এম ভি এসতেলেকে আটকে দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গাজা উপকূল থেকে ৩৫ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকতেই গতকাল শনিবার ইসরায়েলি সেনারা সেটির গতিরোধ করে। তাদের বিরুদ্ধে জাহাজে হামলার অভিযোগও পাওয়া গেছে। তবে কোনো সহিংস ঘটনা ঘটেনি।


আটকের পর ইসরায়েলি সেনারা জাহাজটিকে আশদোদ বন্দরে নিয়ে যায়। তবে ইসরায়েল দাবি করেছে, সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা লঙ্ঘন করায় এসতেলেকে আটক করা হয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ২০ জন মানবাধিকারকর্মী ও ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ইতালির নেপালস থেকে গত ৭ অক্টোবর গাজা অভিমুখে যাত্রা শুরু করে এসতেলে। ফ্রিডম ফ্লোটিলার অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনপন্থী আন্তর্জাতিক মানবাধিকারকর্মীরা এ কর্মসূচির আয়োজন করে। ইসরায়েলি অবরোধ ভেঙে গাজায় ঢোকতে চায় ফ্রিডম ফ্লোটিলার আয়োজকরা।
এসতেলে বহরের স্টকহোমভিত্তিক মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া স্ট্রান্ড গতকাল বলেন, গাজা উপকূল থেকে ৩৫ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থানের সময় জাহাজটি আটক করে ইসরায়েলি বাহিনী। 'এসতেলেতে হামলাও চালায় তারা। আমি এইমাত্র ফোনে এ তথ্য জানতে পেরেছি। একটু আগে মানবাধিকারকর্মীরা জানিয়েছিলেন সেনাবাহিনীর একটি জাহাজ তাঁদের লক্ষ্য করছে। তবে এর মাধ্যমে আসলে তাঁরা কী বোঝাতে চাচ্ছিলেন তা আমরা বুঝতে পারিনি।'
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী প্রথমে এসতেলেকে অনুসরণ করার বিষয়টি স্বীকার করেছে। তবে তারা জাহাজে হামলা বা তাতে উঠার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। যদিও জাহাজে 'অভিযানের' বিষয়টি স্বীকার করেছে তারা। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে গতকাল জানায়, 'গাজা অভিমুখে যাত্রাকারী এসতেলে জাহাজে নৌবাহিনী অভিযান চালিয়েছে। তবে কোনো সহিংস ঘটনা ঘটেনি।'
২০০৭ সালে ইসরায়েল গাজার ওপর অবরোধ আরোপ করে। এর কারণ হিসেবে তারা বলেছে, উপকূলীয় এলাকা দিয়ে অস্ত্রের চোরাচালান ঠেকাতে তারা এ ব্যবস্থা নিয়েছে।
২০১০ সালের মে মাসের শেষের দিকে 'ফ্রি গাজা মুভমেন্ট' নামের ইউরোপভিত্তিক মানবাধিকারকর্মীরা প্রথমে গাজামুখী নৌবহরের আয়োজন করেন। ওই বহরে ছয়টি জাহাজ ছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় জাহাজটি ছিল তুরস্কের। নাম এমভি ব্লু মারমারা। গাজার কাছাকাছি পেঁৗছালে এতে হামলা চালায় ইসরায়েলি কমান্ডোরা। এতে নয় তুর্কি নাগরিক মারা যান। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.