মঞ্চে শেষবার জ্বলে ওঠার 'সাধনায়' ওবামা-রমনি

ফ্লোরিডার লেন বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামীকাল সোমবার তৃতীয় ও শেষ প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে মুখোমুখি হবেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও রিপাবলিকান প্রার্থী মিট রমনি। অনেকটা 'ভাগ্যনির্ধারণী' এ বিতর্কের প্রস্তুতি হিসেবে গতকাল শনিবার থেকে 'ঘরবন্দি' রয়েছেন দুই প্রতিদ্বন্দ্বী।


তবে আগের দিন শুক্রবার জনসভার মঞ্চে পরস্পরকে বাক্যবাণে ঘায়েল করতে এতটুকু কসুর করেননি তাঁরা। রমনির 'স্ববিরোধী' কথাবার্তাকে 'রমনেসিয়া' উপসর্গ বলেন ওবামা। বিপরীতে রমনি ওবামার প্রচারণাকে 'তুচ্ছ কথানির্ভর' বলে অভিহিত করেন।
গতকাল থেকে ওয়াশিংটনের ক্যাম্প ডেভিডে অবস্থান করছেন ডেমোক্র্যাট ওবামা। অন্যদিকে বিতর্ক ভেন্যুর কাছাকাছি থিতু হয়ে শেষবারের মতো নিজেকে ঝালিয়ে নিচ্ছেন ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর রমনি। চূড়ান্ত এ বিতর্কের মূল বিষয় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি।
মঙ্গলবারের দ্বিতীয় বিতর্কে রমনিকে নাস্তানাবুদ করার পর ওবামার 'বিজয়ী' মেজাজের পরিচয় পাওয়া যায় শুক্রবার তাঁর নির্বাচনী বক্তৃতায়। ওয়াশিংটনের বাইরে একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত সমাবেশে ওমাবা কথার তীব্র শ্লেষে বিদ্ধ করেন রক্ষণশীল রমনিকে। ফ্লোরিডার ডেটোনা বিচে আয়োজিত জনসভায় রমনিও পাল্টা জবাবে ওবামাকে এতটুকু ছেড়ে কথা বলেননি। এদিন জরিপকারী সংস্থা গ্যালাপও তাদের সর্বশেষ জরিপে জানায়, দ্বিতীয় বিতর্কে জিতেছেন ওবামা।
রমনির দেওয়া সামপ্রতিক বক্তব্যের অসংলগ্নতাকে ইঙ্গিত করে ওমাবা বলেন, তিনি 'রমনেসিয়ায়' ভুগছেন। 'জনাব চরম রক্ষণশীল (রমনি) আপনাদের বোঝাতে চান, গত বছর তিনি যা যা বলেছেন তা ছিল চরম বালখিল্য।' নিজের বক্তব্যের সপক্ষে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ওবামা বলেন, "আমি আসলে বোঝাতে চাইছি, তিনি একই ব্যাপারে আজ এ কথা বলছেন তো কাল আরেক কথা। তিনি এই যে পরস্পরবিরোধী কথাবার্তা বলছেন, এ অবস্থাকে চিহ্নিত করে এমন একটি নাম আমরা খুঁজে পেয়েছি। আমরা মনে করি, ব্যাপারটিকে 'রমনেসিয়া' বলা যায়।"
ওবামার এ কথার জবাবে রমনি বলেন, 'ডেমোক্র্যাটরা তুচ্ছ কথার খেলায় মেতেছে। তাদের সামনে কোনো এজেন্ডা নেই। আমেরিকার জন্য এজেন্ডা নেই। দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য এজেন্ডা নেই।' তিনি বলেন, 'আমেরিকা একটি বড় দেশ। এ দেশের যেমন প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে, তেমনি তা পূরণে বড় বড় চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করতে হবে। কিন্তু তারা এসব বাদ দিয়ে তুচ্ছ থেকে তুচ্ছতর বিষয়ে কথা বলছে।' সূত্র : এএফপি, পিটিআই।

শপথ ২১ জানুয়ারি
সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা সত্ত্বেও নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠান এক দিন পিছিয়ে যাবে এবার। আগামী ২০ জানুয়ারি রবিবার পড়ায় পরদিন সোমবার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট শপথ নেবেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এ নিয়ে সাতবার শপথের দিন রবিবার পড়ল। শেষবার ১৯৮৫ সালে রোনাল্ড রিগ্যানের দ্বিতীয় মেয়াদে শপথের দিন রবিবার পড়েছিল।
এদিকে আবার ২১ জানুয়ারি পালিত হবে মার্টিন লুথার কিং (জুনিয়র) দিবস। এ নিয়ে দেশটির ইতিহাসে দুইবার প্রেসিডেন্টের শপথের দিনে জাতীয় ছুটি পড়ছে। প্রথমবার ১৯৯৭ সালে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের দ্বিতীয় মেয়াদের শপথের দিনে মার্টিন লুথার কিং দিবস ছিল।

No comments

Powered by Blogger.