ঢাবি হলে আটকে রেখে 'ভর্তিবাণিজ্য' অপহৃত উদ্ধার-দুই ছাত্রলীগকর্মী আটক
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তীচ্ছু এক শিক্ষার্থীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হলে আটকে রেখে এক লাখ ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করেছে ছাত্রলীগের কয়েক কর্মী। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার সংগঠনটির দুই কর্মীকে
আটক এবং অপহৃত শিক্ষার্থীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সহায়তায় হল থেকে উদ্ধার করা হয়। ছাত্রলীগের এই কর্মীরা প্রশ্নপত্র ফাঁসের জন্য বিদেশ থেকে অনেক ঘড়ি আমদানি করেছে বলে গোয়েন্দারা জানায়।
আটককৃত ছাত্রলীগকর্মীরা হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র হাবিবুর রহমান হাবিব ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক রুবেল বিশ্বাস। উদ্ধার হওয়া শিক্ষার্থীর নাম হারুন-অর-রশীদ হীরা। তার বাড়ি সাভারে। হীরা সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় এবং গত শুক্রবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেয়। বিকেলে তাকে অপহরণ করা হয়।
গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, রাতে হীরার ফোন পেয়ে তার বাবা বিষয়টি পুলিশকে জানান। গতকাল দুপুরে হাবিব ও রুবেল এসএ পরিবহনের এলিফ্যান্ট রোড শাখায় দাবি করা টাকা উত্তোলন করতে গেলে পুলিশ তাদের আটক করে। এরপর জিয়াউর রহমান হলের ২০৮ নম্বর কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয় হীরাকে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা আরো জানান, আটককৃতদের নিয়ে ওই চক্রের অন্য সদস্যদেরও আটকের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হবে। তিনি বলেন, চক্রটি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের জন্য ১৩৯টি বিশেষ ঘড়ি সম্প্রতি বিদেশ থেকে আমদানি করেছে বলেও প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. আমজাদ আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'অপহরণ করে রাখা এক ছাত্রকে উদ্ধারে পুলিশ সাহায্য চাইলে আমি তাদের নিয়ে জিয়া হলে যাই। সেখান থেকে আটক ছাত্রকে উদ্ধার করি।' তিনি আশ্বাস দেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হাবিবের বিরুদ্ধে এ ঘটনায় সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হলে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক রুবেল দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেয়। শর্ত দেওয়া হয়, পরীক্ষা শুরুর আগে একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট জমা দিতে হবে। টাকা দিলে তা ফেরত দেওয়া হবে। শুক্রবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত 'খ' অনুষদের পরীক্ষার আগে হীরাকে একটি বিশেষ ঘড়ি পরতে বলে রুবেল। বলা হয়, এই ঘড়ির মাধ্যমে তাকে প্রশ্নের উত্তর জানিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু এতে ঝুঁকি থাকায় হীরা রাজি হয়নি এবং পরীক্ষার হলে চলে যায়। পরীক্ষা শেষ হলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হীরাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আসতে বলে রুবেল। সন্ধ্যার দিকে হীরা টিএসসিতে এলে রুবেল, হাবিবসহ কয়েকজন তাকে ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হলে নিয়ে যায়।
হারুন-অর-রশীদ হীরা জানায়, '৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে ওরা আমাকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন এবং উত্তর বলে দিবে বলে গত সপ্তাহে মৌখিক চুক্তি হয়। এ জন্য তারা আমার একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট জামিন হিসেবে রাখতে বলে। কিন্তু প্রশ্নপত্র না দিয়ে পরীক্ষার আগমুহূর্তে রুবেল ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাসুদ নামের এক ছাত্র আমার সঙ্গে দেখা করে এবং একটি ঘড়ি দেয়। আমাকে বলা হয়, ওই ঘড়িতে বিশেষ ধরনের ইলেকট্রনিক রিসিভার আছে, এর সাহায্যে আমাকে মেসেজ করে উত্তর পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু এতে ঝুঁকি থাকায় আমি রাজি হইনি।'
হীরা আরো বলে, 'পরীক্ষা শেষ হলে তারা আমাকে ফোন দেয় এবং একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট নিয়ে টিএসসি যেতে বলে। টিএসসিতে এলে আমাকে ধরে নিয়ে জিয়া হলের ২০৮ নম্বর কক্ষে আটকে রাখে। তারা আমার কাছে এক লাখ ২০ হাজার টাকা দাবি করে বলে, রাতেই এসএ পরিবহনের এলিফ্যান্ট রোড শাখার মাধ্যমে বাড়ি থেকে টাকা আনতে হবে। টাকার জন্য বাড়িতে ফোন দিতে বলে হুমকি দেয়। বলে, টাকা না পাঠালে আমাকে হত্যা করা হবে। কিন্তু রাতের বেলায় এসএ পরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শনিবার সকালের মধ্যে পাঠাতে বলি।' হীরা অভিযোগ করে, রুবেল ছাড়াও ২০৮ নম্বর কক্ষে অবস্থানকারী হাবিবসহ কয়েকজন তাকে রড দিয়ে মারধর করে।
জিয়া হল সূত্রে জানা যায়, ছাত্রলীগের জিয়া হল শাখার নেতা মোতাহের হোসেন প্রিন্সের অনুসারী হাবিব। প্রিন্স ও তার গ্রুপের হাবিব, মনজু, রাজু, হাসিব, আবদুর রহিমের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির বিচ্ছিন্ন অভিযোগও রয়েছে। শুক্রবার রাতে প্রিন্স, মনজুসহ কয়েকজন ২০৮ নম্বর কক্ষে অবস্থান করছিল বলেও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রের দাবি।
আটককৃত ছাত্রলীগকর্মীরা হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র হাবিবুর রহমান হাবিব ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক রুবেল বিশ্বাস। উদ্ধার হওয়া শিক্ষার্থীর নাম হারুন-অর-রশীদ হীরা। তার বাড়ি সাভারে। হীরা সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় এবং গত শুক্রবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেয়। বিকেলে তাকে অপহরণ করা হয়।
গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, রাতে হীরার ফোন পেয়ে তার বাবা বিষয়টি পুলিশকে জানান। গতকাল দুপুরে হাবিব ও রুবেল এসএ পরিবহনের এলিফ্যান্ট রোড শাখায় দাবি করা টাকা উত্তোলন করতে গেলে পুলিশ তাদের আটক করে। এরপর জিয়াউর রহমান হলের ২০৮ নম্বর কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয় হীরাকে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা আরো জানান, আটককৃতদের নিয়ে ওই চক্রের অন্য সদস্যদেরও আটকের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হবে। তিনি বলেন, চক্রটি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের জন্য ১৩৯টি বিশেষ ঘড়ি সম্প্রতি বিদেশ থেকে আমদানি করেছে বলেও প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. আমজাদ আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'অপহরণ করে রাখা এক ছাত্রকে উদ্ধারে পুলিশ সাহায্য চাইলে আমি তাদের নিয়ে জিয়া হলে যাই। সেখান থেকে আটক ছাত্রকে উদ্ধার করি।' তিনি আশ্বাস দেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হাবিবের বিরুদ্ধে এ ঘটনায় সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হলে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক রুবেল দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেয়। শর্ত দেওয়া হয়, পরীক্ষা শুরুর আগে একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট জমা দিতে হবে। টাকা দিলে তা ফেরত দেওয়া হবে। শুক্রবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত 'খ' অনুষদের পরীক্ষার আগে হীরাকে একটি বিশেষ ঘড়ি পরতে বলে রুবেল। বলা হয়, এই ঘড়ির মাধ্যমে তাকে প্রশ্নের উত্তর জানিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু এতে ঝুঁকি থাকায় হীরা রাজি হয়নি এবং পরীক্ষার হলে চলে যায়। পরীক্ষা শেষ হলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হীরাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আসতে বলে রুবেল। সন্ধ্যার দিকে হীরা টিএসসিতে এলে রুবেল, হাবিবসহ কয়েকজন তাকে ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হলে নিয়ে যায়।
হারুন-অর-রশীদ হীরা জানায়, '৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে ওরা আমাকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন এবং উত্তর বলে দিবে বলে গত সপ্তাহে মৌখিক চুক্তি হয়। এ জন্য তারা আমার একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট জামিন হিসেবে রাখতে বলে। কিন্তু প্রশ্নপত্র না দিয়ে পরীক্ষার আগমুহূর্তে রুবেল ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাসুদ নামের এক ছাত্র আমার সঙ্গে দেখা করে এবং একটি ঘড়ি দেয়। আমাকে বলা হয়, ওই ঘড়িতে বিশেষ ধরনের ইলেকট্রনিক রিসিভার আছে, এর সাহায্যে আমাকে মেসেজ করে উত্তর পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু এতে ঝুঁকি থাকায় আমি রাজি হইনি।'
হীরা আরো বলে, 'পরীক্ষা শেষ হলে তারা আমাকে ফোন দেয় এবং একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট নিয়ে টিএসসি যেতে বলে। টিএসসিতে এলে আমাকে ধরে নিয়ে জিয়া হলের ২০৮ নম্বর কক্ষে আটকে রাখে। তারা আমার কাছে এক লাখ ২০ হাজার টাকা দাবি করে বলে, রাতেই এসএ পরিবহনের এলিফ্যান্ট রোড শাখার মাধ্যমে বাড়ি থেকে টাকা আনতে হবে। টাকার জন্য বাড়িতে ফোন দিতে বলে হুমকি দেয়। বলে, টাকা না পাঠালে আমাকে হত্যা করা হবে। কিন্তু রাতের বেলায় এসএ পরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শনিবার সকালের মধ্যে পাঠাতে বলি।' হীরা অভিযোগ করে, রুবেল ছাড়াও ২০৮ নম্বর কক্ষে অবস্থানকারী হাবিবসহ কয়েকজন তাকে রড দিয়ে মারধর করে।
জিয়া হল সূত্রে জানা যায়, ছাত্রলীগের জিয়া হল শাখার নেতা মোতাহের হোসেন প্রিন্সের অনুসারী হাবিব। প্রিন্স ও তার গ্রুপের হাবিব, মনজু, রাজু, হাসিব, আবদুর রহিমের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির বিচ্ছিন্ন অভিযোগও রয়েছে। শুক্রবার রাতে প্রিন্স, মনজুসহ কয়েকজন ২০৮ নম্বর কক্ষে অবস্থান করছিল বলেও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রের দাবি।
No comments