অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি প্রকাশ করে তোপের মুখে তান-লি
প্রাপ্তবয়স্কদের একটি ব্লগে নিজেদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করে এবার নিজ সমপ্রদায়ের তোপের মুখে পড়েছেন মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরের দুই তরুণ-তরুণী। সাম্পটুয়াস ইরোটিকা ব্লগে সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইনের শিক্ষার্থী আলভিন তান (২৪) এবং তার বান্ধবী ভিভিয়ান লি (২৩) নিজেদের ঘনিষ্ঠ সময়ের চিত্র প্রকাশ করে দু’দেশে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন।
দু’দেশেই পর্নোগ্রাফি নিষিদ্ধ। এমনকি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের জন্য বিবেচিত প্লেবয় এবং পেন্ট হাউস ম্যাগাজিনের বিরুদ্ধেও সেখানে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রয়েছে। এমন দেশের বাসিন্দা হয়ে ব্লগে নিজেদের খোলামেলাভাবে উপস্থাপন করে রক্ষণশীল মূল্যবোধকে তারা চ্যালেঞ্জ করেছেন বলে এক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই ব্লগে তারা লিখেছিলেন, যৌনতা প্রকৃতিগত একটি পুনরুৎপাদন প্রক্রিয়া। এর সঙ্গে কোন ধরনের লজ্জা সম্পৃক্ত থাকা উচিত নয়। তবে এত সাহসী বক্তব্য দিলেও মঙ্গলবার তারা পারিবারিক চাপের কারণে ব্লগটি সরিয়ে ফেলতে বাধ্য হয়েছেন। ইউটিউবে দেয়া এক বক্তব্যে লি বলেছেন, পারিবারিক চাপের কারণে আমরা আসলে ব্লগটি বন্ধ করে দিয়েছি। তান বলেছেন, ব্লগিং করতে আমাদের খুব ভাল লাগে।
আমরা এটা অব্যাহত রাখবো। তবে এখন সঠিক সময় নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আমরা খুব শিগগিরই হয়তো এ ব্যাপারে আর কিছু লিখবো না। এ যুগল সম্পর্কে আপডেট জানতে ওই ব্লগে যেতে ইচ্ছুকদের তাদের নাম এবং ঠিকানা দেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। মালয়েশিয়ান মিডিয়াতে এ ব্লগের বিষয়টি প্রধান বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি সরকারের ঊর্ধ্বতন সদস্যরাও এতে নাক গলাচ্ছেন। মালয়েশিয়ার তথ্যমন্ত্রী রাইস ইয়াতিম বলেছেন, ইন্টারনেটের বিষয়বস্তুর ওপর নজর রাখার জন্য কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া অ্যাক্ট তৈরি করা হয়েছে। তবে তিনি বলেছেন, এ ব্যাপারে সিঙ্গাপুর কি ব্যবস্থা নিচ্ছে সেটা না দেখে তারা কোন ধরনের ব্যবস্থা নেবেন না। ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে তানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সমালোচকরা চাইছেন, এ তরুণ যুগলকে ইউনিভার্সিটি থেকে বহিষ্কার করা হোক। সিঙ্গাপুরের সরকারি কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেনি। তবে বেশকিছু সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটে তানের স্কলারশিপ প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য জোরালো আহ্বান জানানো হয়েছে।
No comments