দেশে ফিরেছেন খালেদা জিয়া-চীন সফর 'সফল ও তাৎপর্যপূর্ণ'
বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার চীন সফর 'সফল ও তাৎপর্যপূর্ণ' হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। দলটি বলেছে, দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণে চীন সহযোগিতা করার অঙ্গীকার করেছে। সাত দিনের চীন সফর শেষে গতকাল শনিবার দেশে ফেরেন খালেদা জিয়া ও তাঁর সফরসঙ্গীরা।
খালেদা জিয়া ছাড়া অন্যরা বিমানবন্দর থেকে সরাসরি চলে যান গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে। সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে যেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, সংবাদ সম্মেলনে সেগুলো তুলে ধরেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ২৮ অক্টোবর খালেদা জিয়া ভারত সফরে যাবেন। সাত দিনের এ সফরে ভারতের সরকার ও বিরোধীদলীয় নেতা এবং সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বিরোধীদলীয় নেতা।
এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, চীন সফরকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, আগামী নির্বাচন এবং সাম্প্রদায়িক হামলার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তিনি বলেন, 'অভ্যন্তরীণ বিষয়ে খালেদা জিয়া কখনো বিদেশিদের সঙ্গে কথা বলেন না। বিএনপি এই নীতিতে বিশ্বাস করে না। চীনও অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না।'
সরকারি দলের নেতাদের অভিযোগ নাকচ করে মোশাররফ বলেন, তাঁরা নালিশ করতে চীন যাননি। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বিদেশ সফরেও কখনো অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলতেন না। তিনি আরো বলেন, 'নালিশ করার মানসিকতা খালেদা জিয়া কিংবা বিএনপির নেই। এটি সরকারের অপপ্রচার।' চীন সরকারের আমন্ত্রণে তাঁরা সেখানে গিয়েছিলেন বলে তিনি জানান।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি তাদের ১৮তম সম্মেলন নিয়ে ব্যস্ত। ১ অক্টোবর তাদের ৬৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ মাসেই বাংলাদেশ ও চীনের কূটনীতিক সম্পর্কের ৩৭ বছর। তাই এ সফরের বিশেষ তাৎপর্য আছে বলে মনে করেন তিনি। তিনি জানান, গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপনে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন আগ্রহী। ক্ষমতায় গেলে কাদের এই বন্দর স্থাপনের কাজ দেওয়া হবে, জানতে চাইলে ড. মোশাররফ বলেন, যাদের দিয়ে দেশের স্বার্থ রক্ষা হবে, তাদেরই দেওয়া হবে।
বিএনপির এই নেতা জানান, চীনে বিরোধীদলীয় নেতাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় উষ্ণ সম্মান জানানো হয়েছে। চীনা ভাইস প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান ও উপপ্রধানের সঙ্গে খোলামেলা ও ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। তিনি আরো জানান, কমিউনিস্ট পার্টি ও বিএনপির মধ্যে যোগাযোগ এবং বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সফর বিনিময়ের বিষয়ে মতৈক্য হয়েছে। চীনা নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে দ্বি-পক্ষীয় সম্পর্কের বিকাশ, সহযোগিতা ও উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন ও উন্নয়নে চীন তাদের সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ বিষয়ে চীনের গণমুক্তি ফৌজের উপপ্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল পিওজিয়ানের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান সোহেল জানান, ভারত সরকারের আমন্ত্রণে আগামী ২৮ অক্টোবর এক সপ্তাহের সফরে যাচ্ছেন বিরোধীদলীয় নেতা। সফরে ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও কংগ্রেস সভানেত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন খালেদা জিয়া। আজমির শরিফেও যেতে পারেন তিনি।
চীন সফর শেষে শুক্রবার রাতে থাইল্যান্ডে যান খালেদা জিয়া। থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে রওনা হয়ে তিনি গতকাল দুপুর সোয়া ১২টার দিকে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে নামেন। সেখানে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, রফিকুল ইসলাম মিয়া, নজরুল ইসলাম খান, আব্দুল্লাহ আল নোমান, সাদেক হোসেন খোকা, ফজলুর রহমান পটলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে সাত দিনের সফরে ১৫ অক্টোবর বেইজিং যান খালেদা জিয়া। তাঁর সফরসঙ্গী ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, সেলিমা রহমান, শমসের মবিন চৌধুরী, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, মারুফ কামাল খান, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, একান্ত সচিব সালেহ আহমেদ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ২৮ অক্টোবর খালেদা জিয়া ভারত সফরে যাবেন। সাত দিনের এ সফরে ভারতের সরকার ও বিরোধীদলীয় নেতা এবং সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বিরোধীদলীয় নেতা।
এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, চীন সফরকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, আগামী নির্বাচন এবং সাম্প্রদায়িক হামলার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তিনি বলেন, 'অভ্যন্তরীণ বিষয়ে খালেদা জিয়া কখনো বিদেশিদের সঙ্গে কথা বলেন না। বিএনপি এই নীতিতে বিশ্বাস করে না। চীনও অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না।'
সরকারি দলের নেতাদের অভিযোগ নাকচ করে মোশাররফ বলেন, তাঁরা নালিশ করতে চীন যাননি। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বিদেশ সফরেও কখনো অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলতেন না। তিনি আরো বলেন, 'নালিশ করার মানসিকতা খালেদা জিয়া কিংবা বিএনপির নেই। এটি সরকারের অপপ্রচার।' চীন সরকারের আমন্ত্রণে তাঁরা সেখানে গিয়েছিলেন বলে তিনি জানান।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি তাদের ১৮তম সম্মেলন নিয়ে ব্যস্ত। ১ অক্টোবর তাদের ৬৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ মাসেই বাংলাদেশ ও চীনের কূটনীতিক সম্পর্কের ৩৭ বছর। তাই এ সফরের বিশেষ তাৎপর্য আছে বলে মনে করেন তিনি। তিনি জানান, গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপনে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন আগ্রহী। ক্ষমতায় গেলে কাদের এই বন্দর স্থাপনের কাজ দেওয়া হবে, জানতে চাইলে ড. মোশাররফ বলেন, যাদের দিয়ে দেশের স্বার্থ রক্ষা হবে, তাদেরই দেওয়া হবে।
বিএনপির এই নেতা জানান, চীনে বিরোধীদলীয় নেতাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় উষ্ণ সম্মান জানানো হয়েছে। চীনা ভাইস প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান ও উপপ্রধানের সঙ্গে খোলামেলা ও ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। তিনি আরো জানান, কমিউনিস্ট পার্টি ও বিএনপির মধ্যে যোগাযোগ এবং বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সফর বিনিময়ের বিষয়ে মতৈক্য হয়েছে। চীনা নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে দ্বি-পক্ষীয় সম্পর্কের বিকাশ, সহযোগিতা ও উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন ও উন্নয়নে চীন তাদের সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ বিষয়ে চীনের গণমুক্তি ফৌজের উপপ্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল পিওজিয়ানের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান সোহেল জানান, ভারত সরকারের আমন্ত্রণে আগামী ২৮ অক্টোবর এক সপ্তাহের সফরে যাচ্ছেন বিরোধীদলীয় নেতা। সফরে ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও কংগ্রেস সভানেত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন খালেদা জিয়া। আজমির শরিফেও যেতে পারেন তিনি।
চীন সফর শেষে শুক্রবার রাতে থাইল্যান্ডে যান খালেদা জিয়া। থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে রওনা হয়ে তিনি গতকাল দুপুর সোয়া ১২টার দিকে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে নামেন। সেখানে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, রফিকুল ইসলাম মিয়া, নজরুল ইসলাম খান, আব্দুল্লাহ আল নোমান, সাদেক হোসেন খোকা, ফজলুর রহমান পটলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে সাত দিনের সফরে ১৫ অক্টোবর বেইজিং যান খালেদা জিয়া। তাঁর সফরসঙ্গী ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, সেলিমা রহমান, শমসের মবিন চৌধুরী, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, মারুফ কামাল খান, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, একান্ত সচিব সালেহ আহমেদ প্রমুখ।
No comments