পাহাড় ছাড়তে রোহিঙ্গাদের আল্টিমেটাম দিয়েছে জেএসএস
অবৈধ বসবাস ও পাহাড়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে ৩ পার্বত্য জেলায় বসবাসরত রোহিঙ্গাদের পাহাড় ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য ১ মাসের আল্টিমেটাম দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের রামু ও চট্টগ্রামের পটিয়ায় বৌদ্ধবসতি ও বিহারে অগ্নিসংযোগ, আদিবাসীদের ভূমি দখল ও বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত করার ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে জেএসএস। সপ্তাহখানেক আগে এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে বলে ভুক্তভোগীদের কয়েকজন বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এছাড়া জেএসএস সূত্রও এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, বান্দরবানসহ অপর ২ পার্বত্য জেলায় বসবাসরত ও কাজের সন্ধানে আসা রোহিঙ্গাদের আগামী ১ মাসের মধ্যে পার্বত্য জেলা ছাড়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, বান্দরবান জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অবৈধভাবে বসবাসরত ও শ্রমিক হিসেবে নিয়োজিত রোহিঙ্গাদের বান্দরবান ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে কে রোহিঙ্গা এবং কে বাংলাদেশি, তা নিশ্চিত করছে জেএসএসের মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
এদিকে, পাহাড়ে বিভিন্ন বাগানসহ কাঠকাটা ও চাষাবাদ কাজে নিয়োজিত রোহিঙ্গা শ্রমিকদের আর কাজে ব্যবহার না করতে তাদের মালিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে পাহাড়ে কাঠ কাটা ও চাষাবাদের কাজে নিয়োজিত রোহিঙ্গা শ্রমিকরা পাহাড় থেকে নেমে এসে স্থান ত্যাগ করছেন বলে জানা গেছে।
বান্দরবান জেলা সদরের চড়ুই পাড়া এলাকায় শাক-সবজি আনতে যাওয়া ব্যবসায়ী সুবল বাংলানিউজকে জানান, বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে যে কেউ থাকতে পারবেন। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তারা এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার লক্ষ্মীচন্দ্র কার্বারি পাড়ায় বাঁশ কাটতে গিয়ে ফেরত আসা এক রোহিঙ্গা শ্রমিক মো. রমজান রোববার বিকেলে বাংলানিউজকে জানান, ৩ দিন আগে তাকেসহ মোট ১০ রোহিঙ্গা শ্রমিকদের ওই পাড়া থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তারা বান্দরবানে অবস্থান করছেন। ভয়ে বাঁশ কাটতে যেতে সাহস পাচ্ছেন না।
৩ পার্বত্য জেলায় আদিবাসীদের জুম্মদের ভূমি দখল, পাহাড়ে অস্ত্র ব্যবসা, মাদক চোরাচালান, খুন, ডাকাতি ও ইয়াবা পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে এ রোহিঙ্গারা জড়িত বলে মনে করা হয়।
বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ও আশারতলীর অরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশ করে হাজার হাজার রোহিঙ্গা বান্দরবানের ৭টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বসবাস শুরু করলেও পুলিশের অভিযানে রোহিঙ্গা আটকের সংখ্যা খুবই কম।
৩ পার্বত্য জেলার মধ্যে বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি ও রোয়াংছড়িতে রোহিঙ্গাদের অবৈধ বসবাস বেশি থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে তা রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে ছড়িয়ে পড়েছে।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান তোফায়েল আহম্মেদ ও আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম রোহিঙ্গাদের সবচেয়ে বেশি আশ্রয় দেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সহসম্পাদক জালি মং মার্মা বাংলানিউজকে জানান, রোহিঙ্গারা অবৈধভাবে এ দেশে ও পাহাড়ে কেন থাকবেন? রোহিঙ্গাদের তাদের নিজের দেশে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে আলোচনা চলছে বলে জানান তিনি।
বান্দরবান জেলার ডেসটিনি, মেরেডিয়ান, মোস্তফা, পিএইচপিসহ বিভিন্ন গ্রুপের রাবার বাগানে স্থানীয়দের চেয়ে বেশি রোহিঙ্গারা শ্রমিক হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন।
একের পর এক বান্দরবানের কর্মসংস্থান দখল করার কারণে বেকার হয়ে যাচ্ছে স্থানীয় শ্রমিকরা। রোহিঙ্গাদের শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার কারতে নিরুৎসাহিত করার জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় জেএসএস সূত্র।
অন্যদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়দের অনেকেই জেএসএসের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বাংলানিউজকে জানান, যেখানে দেশের মানুষের কর্মসংস্থান নেই, মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, সেখানে তারা কেন বাংলাদেশে থাকবেন?
এ ব্যাপারে জেএসএসের বান্দরবান জেলা সাধারণ সম্পাদক ক্যা বা মং মার্মা বাংলানিউজকে বলেন, “কাঠ কাটার ও রাস্তার কাজ করতে যাওয়া ঠিকাদারদের বলেছি, তারা যেন এলাকার লোকদের (বাংলাদেশি) ব্যবহার করে, বাইরের রোহিঙ্গাদের নয়।”
অপরদিকে, স্থানীয়রা মনে করছেন, পাহাড়ে রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করলে হয়ত পাহাড়ের কোনো আঞ্চলিক সংগঠনকে রোহিঙ্গাদের বের করে দেওয়ার এ উদ্যোগ গ্রহণ করার প্রয়োজন হতো না।
স্থানীয় সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, বান্দরবান জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অবৈধভাবে বসবাসরত ও শ্রমিক হিসেবে নিয়োজিত রোহিঙ্গাদের বান্দরবান ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে কে রোহিঙ্গা এবং কে বাংলাদেশি, তা নিশ্চিত করছে জেএসএসের মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
এদিকে, পাহাড়ে বিভিন্ন বাগানসহ কাঠকাটা ও চাষাবাদ কাজে নিয়োজিত রোহিঙ্গা শ্রমিকদের আর কাজে ব্যবহার না করতে তাদের মালিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে পাহাড়ে কাঠ কাটা ও চাষাবাদের কাজে নিয়োজিত রোহিঙ্গা শ্রমিকরা পাহাড় থেকে নেমে এসে স্থান ত্যাগ করছেন বলে জানা গেছে।
বান্দরবান জেলা সদরের চড়ুই পাড়া এলাকায় শাক-সবজি আনতে যাওয়া ব্যবসায়ী সুবল বাংলানিউজকে জানান, বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে যে কেউ থাকতে পারবেন। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তারা এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার লক্ষ্মীচন্দ্র কার্বারি পাড়ায় বাঁশ কাটতে গিয়ে ফেরত আসা এক রোহিঙ্গা শ্রমিক মো. রমজান রোববার বিকেলে বাংলানিউজকে জানান, ৩ দিন আগে তাকেসহ মোট ১০ রোহিঙ্গা শ্রমিকদের ওই পাড়া থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তারা বান্দরবানে অবস্থান করছেন। ভয়ে বাঁশ কাটতে যেতে সাহস পাচ্ছেন না।
৩ পার্বত্য জেলায় আদিবাসীদের জুম্মদের ভূমি দখল, পাহাড়ে অস্ত্র ব্যবসা, মাদক চোরাচালান, খুন, ডাকাতি ও ইয়াবা পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে এ রোহিঙ্গারা জড়িত বলে মনে করা হয়।
বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ও আশারতলীর অরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশ করে হাজার হাজার রোহিঙ্গা বান্দরবানের ৭টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বসবাস শুরু করলেও পুলিশের অভিযানে রোহিঙ্গা আটকের সংখ্যা খুবই কম।
৩ পার্বত্য জেলার মধ্যে বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি ও রোয়াংছড়িতে রোহিঙ্গাদের অবৈধ বসবাস বেশি থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে তা রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে ছড়িয়ে পড়েছে।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান তোফায়েল আহম্মেদ ও আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম রোহিঙ্গাদের সবচেয়ে বেশি আশ্রয় দেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সহসম্পাদক জালি মং মার্মা বাংলানিউজকে জানান, রোহিঙ্গারা অবৈধভাবে এ দেশে ও পাহাড়ে কেন থাকবেন? রোহিঙ্গাদের তাদের নিজের দেশে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে আলোচনা চলছে বলে জানান তিনি।
বান্দরবান জেলার ডেসটিনি, মেরেডিয়ান, মোস্তফা, পিএইচপিসহ বিভিন্ন গ্রুপের রাবার বাগানে স্থানীয়দের চেয়ে বেশি রোহিঙ্গারা শ্রমিক হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন।
একের পর এক বান্দরবানের কর্মসংস্থান দখল করার কারণে বেকার হয়ে যাচ্ছে স্থানীয় শ্রমিকরা। রোহিঙ্গাদের শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার কারতে নিরুৎসাহিত করার জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় জেএসএস সূত্র।
অন্যদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়দের অনেকেই জেএসএসের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বাংলানিউজকে জানান, যেখানে দেশের মানুষের কর্মসংস্থান নেই, মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, সেখানে তারা কেন বাংলাদেশে থাকবেন?
এ ব্যাপারে জেএসএসের বান্দরবান জেলা সাধারণ সম্পাদক ক্যা বা মং মার্মা বাংলানিউজকে বলেন, “কাঠ কাটার ও রাস্তার কাজ করতে যাওয়া ঠিকাদারদের বলেছি, তারা যেন এলাকার লোকদের (বাংলাদেশি) ব্যবহার করে, বাইরের রোহিঙ্গাদের নয়।”
অপরদিকে, স্থানীয়রা মনে করছেন, পাহাড়ে রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করলে হয়ত পাহাড়ের কোনো আঞ্চলিক সংগঠনকে রোহিঙ্গাদের বের করে দেওয়ার এ উদ্যোগ গ্রহণ করার প্রয়োজন হতো না।
No comments