বৈরুতে ভয়াবহ হামলা-গোয়েন্দাপ্রধানসহ নিহত ৮ অভিযোগ সিরিয়ার দিকে
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে গত শুক্রবারের ভয়াবহ বোমা হামলার পর ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র ধীরে ধীরে ফুটে উঠছে। হামলায় লেবাননের শীর্ষস্থানীয় এক গোয়েন্দা কর্মকর্তাসহ আটজন মারা যায়। এতে আহত হয় শতাধিক।
২০০৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরির হত্যাকাণ্ডের পর এ ঘটনাকে সবচেয়ে নৃশংস বিবেচনা করা হচ্ছে।
গতকালও দেশজুড়ে পরিস্থিতি থমথমে ছিল। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো হামলার ঘটনায় প্রতিবেশী দেশ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারকে দায়ী করেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তারা হিজবুল্লাহ নেতৃত্বাধীন লেবানিজ সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছে।
গতকাল শনিবার পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে কী নেই, সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলেনি সিরিয়া। যদিও 'সন্ত্রাসমূলক ও কাপুরুষোচিত' ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে হামলার নিন্দা জানিয়েছে তারা। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানও হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
বৈরুতের খ্রিস্টান প্রধান আশরাফিয়েহ এলাকায় গত শুক্রবার ওই হামলা হয়। খ্রিস্টানপন্থী দল কাতায়েবের কার্যালয়ের প্রায় ২০০ মিটার দূরে সাসিন স্কয়ারে বিকেলে শক্তিশালী একটি গাড়িবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। শিক্ষার্থী ও কর্মজীবীরা ওই সময় বাড়ি ফিরছিলেন। বোমার আঘাতে পার্শ্ববর্তী দুটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক ধ্বংস হয়ে যায়। কাছের ভবনগুলোর বারান্দা ও জানালার কাঁচ উড়ে যায়। ধসে পড়া ইট-পাথরের আঘাতে নিচে রাখা গাড়িগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিস্ফোরণে নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে লেবাননের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান জেনারেল উইসসাম আল হাসানও রয়েছেন। হাসান সুনি্নপন্থী বিরোধীদলীয় নেতা ও রফিক হারিরির ছেলে সাদ হারিরির ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদ সরকারের কঠোর সমালোচকও ছিলেন হাসান। শিয়াপন্থী হিজবুল্লাহ ও সিরিয়ার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি তদন্তও পরিচালনা করেন তিনি।
হামলার পর লেবাননের এক টেলিভিশন চ্যানেলকে সাদ হারিরি বলেন, 'লেবাননের নিরাপত্তার নিশ্চয়তাদানকারী উইসসামের মৃত্যুর জন্য আমরা আসাদ সরকারকে দায়ী করছি। সিরীয় সরকার রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে পারদর্শী।' রফিক হারিরি হত্যার পেছনেও সিরিয়ার হাত রয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়। যদিও এর স্বপক্ষে আজও শক্ত কোনো প্রমাণ হাজির করা যায়নি। সাদ হারিরিসহ বিরোধী রাজনীতিবিদরা অবিলম্বে লেবানন সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছেন।
বোমা হামলার বিষয়ে লেবাননের মন্ত্রী পরিষদ গতকাল শনিবার সকালে জরুরি বৈঠক করে। প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতির কার্যালয় থেকে গতকাল জানানো হয়, 'নৃশংস এ হামলার প্রকৃতি ও ক্ষয়ক্ষতি দেখে প্রধানমন্ত্রী মর্মাহত।'
সিরিয়ার তথ্যমন্ত্রী ওমরান আল জোহবি বৈরুতের বিস্ফোরণকে 'সন্ত্রাসমূলক ও কাপুরুষোচিত হামলা' হিসেবে উল্লেখ করেন। হামলার বিষয়ে সংশ্লিষ্টতা নিয়ে অভিযোগ ওঠলেও তিনি এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন কঠোর ভাষায় বৈরুত হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। 'কোনো একটি মহল লেবাননকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে' বলে উল্লেখ করেন তিনি। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী আকবর সালেহিও বোমা হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
গতকালও দেশজুড়ে পরিস্থিতি থমথমে ছিল। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো হামলার ঘটনায় প্রতিবেশী দেশ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারকে দায়ী করেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তারা হিজবুল্লাহ নেতৃত্বাধীন লেবানিজ সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছে।
গতকাল শনিবার পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে কী নেই, সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলেনি সিরিয়া। যদিও 'সন্ত্রাসমূলক ও কাপুরুষোচিত' ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে হামলার নিন্দা জানিয়েছে তারা। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানও হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
বৈরুতের খ্রিস্টান প্রধান আশরাফিয়েহ এলাকায় গত শুক্রবার ওই হামলা হয়। খ্রিস্টানপন্থী দল কাতায়েবের কার্যালয়ের প্রায় ২০০ মিটার দূরে সাসিন স্কয়ারে বিকেলে শক্তিশালী একটি গাড়িবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। শিক্ষার্থী ও কর্মজীবীরা ওই সময় বাড়ি ফিরছিলেন। বোমার আঘাতে পার্শ্ববর্তী দুটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক ধ্বংস হয়ে যায়। কাছের ভবনগুলোর বারান্দা ও জানালার কাঁচ উড়ে যায়। ধসে পড়া ইট-পাথরের আঘাতে নিচে রাখা গাড়িগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিস্ফোরণে নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে লেবাননের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান জেনারেল উইসসাম আল হাসানও রয়েছেন। হাসান সুনি্নপন্থী বিরোধীদলীয় নেতা ও রফিক হারিরির ছেলে সাদ হারিরির ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদ সরকারের কঠোর সমালোচকও ছিলেন হাসান। শিয়াপন্থী হিজবুল্লাহ ও সিরিয়ার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি তদন্তও পরিচালনা করেন তিনি।
হামলার পর লেবাননের এক টেলিভিশন চ্যানেলকে সাদ হারিরি বলেন, 'লেবাননের নিরাপত্তার নিশ্চয়তাদানকারী উইসসামের মৃত্যুর জন্য আমরা আসাদ সরকারকে দায়ী করছি। সিরীয় সরকার রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে পারদর্শী।' রফিক হারিরি হত্যার পেছনেও সিরিয়ার হাত রয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়। যদিও এর স্বপক্ষে আজও শক্ত কোনো প্রমাণ হাজির করা যায়নি। সাদ হারিরিসহ বিরোধী রাজনীতিবিদরা অবিলম্বে লেবানন সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছেন।
বোমা হামলার বিষয়ে লেবাননের মন্ত্রী পরিষদ গতকাল শনিবার সকালে জরুরি বৈঠক করে। প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতির কার্যালয় থেকে গতকাল জানানো হয়, 'নৃশংস এ হামলার প্রকৃতি ও ক্ষয়ক্ষতি দেখে প্রধানমন্ত্রী মর্মাহত।'
সিরিয়ার তথ্যমন্ত্রী ওমরান আল জোহবি বৈরুতের বিস্ফোরণকে 'সন্ত্রাসমূলক ও কাপুরুষোচিত হামলা' হিসেবে উল্লেখ করেন। হামলার বিষয়ে সংশ্লিষ্টতা নিয়ে অভিযোগ ওঠলেও তিনি এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন কঠোর ভাষায় বৈরুত হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। 'কোনো একটি মহল লেবাননকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে' বলে উল্লেখ করেন তিনি। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী আকবর সালেহিও বোমা হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments