এফবিআই’র অভিযোগ অস্বীকার করলেন নাফিস
নিউ ইয়র্কের ফেডারেল ব্যাংক ভবন বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনার অভিযোগে গ্রেফতার কাজী রেজওয়ানুল আহসান নাফিস তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। শনিবার আমেরিকার স্থানীয় আইনজীবীর কাছে নাফিস জানিয়েছেন এফবিআই যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব নিউ ইয়র্ক’র সহকারী ফেডারেল ডিফেন্ডার হেইডি ই সিজারি নাফিসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার বক্তব্য শোনেন। নাফিস ব্র্রুকলিন মেট্রোপলিটন ডিটেনশন সেন্টারে বন্দি আছেন।
ওই আইনজীবী নাফিসের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তার সম্পর্কে নাফিসের বাবার কাছে একটি ইমেইল বার্তা পাঠিয়েছেন। এতে তিনি জানিয়েছেন নাফিস সুস্থ আছেন। একই সঙ্গে নাফিস তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকারের কথাও পরিবারকে জানান ওই মার্কিন আইনজীবী।
এদিকে নাফিসের সঙ্গে একান্তে কথা বলতে চেয়েছে বাংলাদেশ মিশন। মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয় কনস্যুলার প্রবেশাধিকার মঞ্জুর করার পর বাংলাদেশী কর্মকর্তারা রেজওয়ানুলের সঙ্গে একান্তে দেখা করতে পারবেন।
শুক্রবার শুক্রবার বিচার বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত একরামুল কাদের জানিয়েছেন, মিশনের পক্ষ থেকে নাফিসের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছি। নাফিস যদি আমাদের কাছে আইনগত সহায়তা প্রার্থনা করে তাহলে তা দেয়া হবে।
এদিকে, মার্কিন বিচার বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, রেজওয়ানুলের গ্রেফতার ঘটনায় বাংলাদেশী আমেরিকানদের বিরূপ দৃষ্টিতে দেখার কোনো কারণ নেই। এ ঘটনা এখনো তদন্ত পর্যায়ে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দেয়া পূর্ণ নাগরিক মানবিক ও আইনগত সুবিধা নাফিসের বেলায়ও প্রযোজ্য বলে মার্কিন আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় থেকে নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার মার্কিন ফেডারেল ব্যাংক ভবন বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে নাফিসকে গ্রেফতার করে সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই।
ব্রুকলিন ফেডারেল কোর্টে নাফিসের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে শিক্ষা ভিসায় আমেরিকায় যায় নাফিস। আল-কায়েদা নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এ যুবক সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য বিশ্বস্ত লোক খোঁজা শুরু করার পর গত জুলাইয়ে এফবিআই-এর নজরে পড়েন।
বুধবার আমেরিকার বিচার বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়, কাজী মোহাম্মদ রেজওয়ানুল আহসান নাফিস (২১) নামের ওই বাংলাদেশীর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্রের ব্যবহার ও জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদাকে সহযোগিতা করার অভিযোগ আনা হয়। দোষী সাব্যস্ত হলে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
এফবিআই’র দাবি-স্থানীয় সময় বুধবার সকালে (বাংলাদেশে বুধবার সন্ধ্যা) মানহাটনে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের সামনে ‘বিস্ফোরকভর্তি’ ভ্যান দাঁড় করিয়ে নাফিস পাশের মিলেনিয়াম হিল্টন হোটেলে যায়। সেখান থেকে ভ্যানে রেখে আসা সেলফোনে বার বার কল দিতে থাকে এক হাজার পাউন্ড (৪৫৪ কেজি) বিস্ফোরকে বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য। কিন্তু ভ্যানে সত্যিকারের বিস্ফোরক না থাকায় সেটি আর ফাটেনি।
পুলিশ বলছে, নাফিস এফবিআই-এর পাতা ফাঁদে পা দেয়। তার ওপর জুলাই মাস থেকে নজর রাখা হয়েছিল। ভ্যানটি চালিয়ে আসার সময় তার পাশে ছিল এফবিআই-এর একজন কর্মকর্তা। নাফিস চিনতে পারেনি।
নাফিসের বিরুদ্ধে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নাফিস আমেরিকার অর্থনীতি তছনছ করার চেষ্টা করেছিল। এজন্য প্রথমে আমেরিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনো ব্যক্তিকে হত্যা করা ও পরে রিজার্ভ ব্যাংক, নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ ও বাল্টিমোরে সেনাবাহিনীর স্থাপনায় বোমা হামলার পরিকল্পনা করে।
এদিকে নাফিসের সঙ্গে একান্তে কথা বলতে চেয়েছে বাংলাদেশ মিশন। মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয় কনস্যুলার প্রবেশাধিকার মঞ্জুর করার পর বাংলাদেশী কর্মকর্তারা রেজওয়ানুলের সঙ্গে একান্তে দেখা করতে পারবেন।
শুক্রবার শুক্রবার বিচার বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত একরামুল কাদের জানিয়েছেন, মিশনের পক্ষ থেকে নাফিসের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছি। নাফিস যদি আমাদের কাছে আইনগত সহায়তা প্রার্থনা করে তাহলে তা দেয়া হবে।
এদিকে, মার্কিন বিচার বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, রেজওয়ানুলের গ্রেফতার ঘটনায় বাংলাদেশী আমেরিকানদের বিরূপ দৃষ্টিতে দেখার কোনো কারণ নেই। এ ঘটনা এখনো তদন্ত পর্যায়ে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দেয়া পূর্ণ নাগরিক মানবিক ও আইনগত সুবিধা নাফিসের বেলায়ও প্রযোজ্য বলে মার্কিন আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় থেকে নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার মার্কিন ফেডারেল ব্যাংক ভবন বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে নাফিসকে গ্রেফতার করে সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই।
ব্রুকলিন ফেডারেল কোর্টে নাফিসের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে শিক্ষা ভিসায় আমেরিকায় যায় নাফিস। আল-কায়েদা নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এ যুবক সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য বিশ্বস্ত লোক খোঁজা শুরু করার পর গত জুলাইয়ে এফবিআই-এর নজরে পড়েন।
বুধবার আমেরিকার বিচার বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়, কাজী মোহাম্মদ রেজওয়ানুল আহসান নাফিস (২১) নামের ওই বাংলাদেশীর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্রের ব্যবহার ও জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদাকে সহযোগিতা করার অভিযোগ আনা হয়। দোষী সাব্যস্ত হলে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
এফবিআই’র দাবি-স্থানীয় সময় বুধবার সকালে (বাংলাদেশে বুধবার সন্ধ্যা) মানহাটনে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের সামনে ‘বিস্ফোরকভর্তি’ ভ্যান দাঁড় করিয়ে নাফিস পাশের মিলেনিয়াম হিল্টন হোটেলে যায়। সেখান থেকে ভ্যানে রেখে আসা সেলফোনে বার বার কল দিতে থাকে এক হাজার পাউন্ড (৪৫৪ কেজি) বিস্ফোরকে বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য। কিন্তু ভ্যানে সত্যিকারের বিস্ফোরক না থাকায় সেটি আর ফাটেনি।
পুলিশ বলছে, নাফিস এফবিআই-এর পাতা ফাঁদে পা দেয়। তার ওপর জুলাই মাস থেকে নজর রাখা হয়েছিল। ভ্যানটি চালিয়ে আসার সময় তার পাশে ছিল এফবিআই-এর একজন কর্মকর্তা। নাফিস চিনতে পারেনি।
নাফিসের বিরুদ্ধে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নাফিস আমেরিকার অর্থনীতি তছনছ করার চেষ্টা করেছিল। এজন্য প্রথমে আমেরিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনো ব্যক্তিকে হত্যা করা ও পরে রিজার্ভ ব্যাংক, নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ ও বাল্টিমোরে সেনাবাহিনীর স্থাপনায় বোমা হামলার পরিকল্পনা করে।
No comments