নাগরিকত্ব নিশ্চিত-নাফিসের সঙ্গে একান্তে কথা বলতে চেয়েছে মিশন
যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলাচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া কাজী মোহাম্মদ রেজওয়ানুল আহসান নাফিস যে বাংলাদেশেরই নাগরিক, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে প্রাপ্য সব ধরনের সহযোগিতাই তাঁকে দেওয়া হবে।
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ দূতাবাস নাফিসের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য 'কনস্যুলার অ্যাকসেস' চেয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাষ্ট্রদূত বা দূতাবাসের কোনো কর্মকর্তার আটক বা গ্রেপ্তার হওয়া দেশি নাগরিকের সঙ্গে একান্তে কথা বলার সুযোগ রয়েছে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, নাফিস ইস্যুতে গত শুক্রবার রাত ১১টায় (যুক্তরাষ্ট্র সময় শুক্রবার দুপুর ১টায়) ওয়াশিংটনে বিচার মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদেরসহ অন্য কর্মকর্তারা। জানা গেছে, ওই বৈঠকে বাংলাদেশ মিশনের কূটনীতিকদের কাছে নাফিসের পাসপোর্টের (AA3810051) কপি দেওয়া হয়। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে আনা প্রাথমিক অভিযোগপত্রের কপিও তাঁদের দেখানো হয়েছে। বৈঠকে ব্যক্তি নাফিসের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি যেন বিদ্বেষমূলক মনোভাব দেখানো না হয়- বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সে অনুরোধ জানানো হয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের বৈঠক প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা নাফিসের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছি। তিনি যদি আমাদের কাছে আইনগত সহায়তা চান, তাহলে তাঁকে তা দেওয়া হবে।' নাফিসের বাংলাদেশি জাতীয়তা নিশ্চিত করে রাষ্ট্রদূত বলেন, 'নাফিসের পাসপোর্টের কপি আমাদের দেওয়া হয়েছে। আমরা নিশ্চিত হয়েছি, তিনি বাংলাদেশেরই নাগরিক। তাই তাঁর নাগরিক অধিকারের মধ্যে যতটা প্রাপ্য, ততটা সহায়তা দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। আমরা বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের উপসহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্রুস সোয়ার্টজকে জানিয়েছি।'
আকরামুল কাদের বলেন, 'বিচারে যদি প্রমাণ হয় যে নাফিস সত্যিকার অর্থেই যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলা করতে চেয়েছিলেন, তাহলে আমরা তাঁর যে শাস্তি হবে, তা মেনে নেব।' আকরামুল জানান, নাফিসের কারণে বাংলাদেশি-আমেরিকানদের বিরূপ দৃষ্টিতে দেখার কোনো কারণ নেই বলে বিচার বিভাগ ও পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তারা তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন। উল্লেখ্য, গত বুধবার সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ফেডারেল রিজার্ভ ভবন উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে এফবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হন বাংলাদেশি তরুণ নাফিস। এরপর গত শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের বলেন, নাফিসের নাগরিকত্ব কী পর্যায়ে আছে- বাংলাদেশ তা জানার চেষ্টা করছে।
আইনজীবী নিয়োগ দিল যুক্তরাষ্ট্র : গতকাল রাতে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র ও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের আনুষ্ঠানিক বৈঠকের কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্রুস সি সুয়ার্টজ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদেরকে নাফিসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পর্কে অবহিত করেছেন এবং বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার নাফিসের জন্য একজন আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, নাফিস ইস্যুতে গত শুক্রবার রাত ১১টায় (যুক্তরাষ্ট্র সময় শুক্রবার দুপুর ১টায়) ওয়াশিংটনে বিচার মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদেরসহ অন্য কর্মকর্তারা। জানা গেছে, ওই বৈঠকে বাংলাদেশ মিশনের কূটনীতিকদের কাছে নাফিসের পাসপোর্টের (AA3810051) কপি দেওয়া হয়। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে আনা প্রাথমিক অভিযোগপত্রের কপিও তাঁদের দেখানো হয়েছে। বৈঠকে ব্যক্তি নাফিসের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি যেন বিদ্বেষমূলক মনোভাব দেখানো না হয়- বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সে অনুরোধ জানানো হয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের বৈঠক প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা নাফিসের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছি। তিনি যদি আমাদের কাছে আইনগত সহায়তা চান, তাহলে তাঁকে তা দেওয়া হবে।' নাফিসের বাংলাদেশি জাতীয়তা নিশ্চিত করে রাষ্ট্রদূত বলেন, 'নাফিসের পাসপোর্টের কপি আমাদের দেওয়া হয়েছে। আমরা নিশ্চিত হয়েছি, তিনি বাংলাদেশেরই নাগরিক। তাই তাঁর নাগরিক অধিকারের মধ্যে যতটা প্রাপ্য, ততটা সহায়তা দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। আমরা বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের উপসহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্রুস সোয়ার্টজকে জানিয়েছি।'
আকরামুল কাদের বলেন, 'বিচারে যদি প্রমাণ হয় যে নাফিস সত্যিকার অর্থেই যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলা করতে চেয়েছিলেন, তাহলে আমরা তাঁর যে শাস্তি হবে, তা মেনে নেব।' আকরামুল জানান, নাফিসের কারণে বাংলাদেশি-আমেরিকানদের বিরূপ দৃষ্টিতে দেখার কোনো কারণ নেই বলে বিচার বিভাগ ও পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তারা তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন। উল্লেখ্য, গত বুধবার সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ফেডারেল রিজার্ভ ভবন উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে এফবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হন বাংলাদেশি তরুণ নাফিস। এরপর গত শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের বলেন, নাফিসের নাগরিকত্ব কী পর্যায়ে আছে- বাংলাদেশ তা জানার চেষ্টা করছে।
আইনজীবী নিয়োগ দিল যুক্তরাষ্ট্র : গতকাল রাতে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র ও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের আনুষ্ঠানিক বৈঠকের কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্রুস সি সুয়ার্টজ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদেরকে নাফিসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পর্কে অবহিত করেছেন এবং বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার নাফিসের জন্য একজন আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছে।
No comments