ক্যানভাসে নিজেদের স্বপ্নচারপাশের জগত অনন্য চিত্রকর্ম- বাকপ্রতিবন্ধীদের আঁকা ছবির প্রদর্শনী জাদুঘরে by মোরসালিন মিজান
বিভিন্ন বয়সী ছেলেমেয়ে। কী ফুটফুটে চেহারা! দেখলে এমনিতেই মন ভাল হয়ে যায়। তবে শুধু মুখ দেখে নয়, তাদের কাজ দেখেও একই রকম মুগ্ধ হতে হয়। দারুণ সব ছবি আঁকে তারা। সেইসব ছবি দেখার সুযোগ করে দিতে শনিবার
জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। না, অন্য কেউ নয়। শিল্পীরা নিজেরাই এর আয়োজক। আয়োজনে অংশ নিয়ে ছবি এঁকেছে রুমানুজ্জামান অনিক, সোহেল আহমেদ, নূর ইসলাম রিপন, সানজিদা হক স্বর্ণা, সঞ্জয় পোদ্দার, সুমন কর্মকার, মোস্তাফিজুর রহমান সজল, খালেদ মোশারফ মানিক, হাওয়া আক্তার, শারমিন হক লাজি, আহ্মাদুল হাসান, ফারজানা চৌধুরী, আফজালুর রহিম, শামীশ সুব্রানা ও সামিনা নাফিজ। এ শিল্পীদের অধিকাংশের কাছে খুব সহজ হয়ে ধরা দেয়নি জীবন। বাক প্রতিবন্ধী তারা। ইশারায় কথা বলে। একই ভাষায় অনেক কিছু বুঝিয়ে দিতে হয় তাদের। তবে ধারণ করার বিশেষ ক্ষমতা আছে। সেটি দেখে বিস্মিত হতে হয়। তাই কোন কাজই আটকে থাকে না। জীবন দিব্যি জয় করে চলেছে তারা। গ্যালারির দেয়ালে ঝুলানো ছবিগুলো এর প্রমাণ।
প্রদর্শনী ঘুরে দেখা যায়, ছবি আঁকতে গিয়ে নিজেদের স্বপ্নকেই এঁকেছে শিল্পীরা। ভবিষ্যতে কে কী হতে চায় তা বলার চেষ্টা করেছে। কোন ক্যানভাসে ছবি আঁকার ক্লাস। কেউ শিখছে। কেউ শেখাচ্ছে। কোনটিতে কম্পিউটারের সামনে দারুণ ব্যস্ত কিশোর। যেন বর্তমান নয় বরং আগামীকে খুঁজছে সে। কারও কারও ক্যানভাস জুড়ে তার চারপাশের জগত। তেমন একটি ছবিতে দেখা যায়, যানজটের ঢাকা। বুড়িগঙ্গার তীরে জাহাজ নির্মাণের দৃশ্যও খুঁজে পাওয়া যায় অন্য একটি ক্যানভাসে। তেলরঙে করা শিল্পকর্মটি অসাধারণ। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ছবিও এঁকেছে তারা। সিডরের ভয়াবহতার কথা এঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে। অনুমান করা যায়, শিল্পীদের কেউ প্রকৃতির এ তা-ব নিজ চোখে দেখেনি। কিন্তু কল্পনায় বহুদূর যেতে শিখেছে তারা। সেই কল্পনাই সত্যের সঙ্গে দারুণ মিলেমিশে যেতে দেখা যায় বিভিন্ন ছবিতে। একই উপায়ে মুক্তিযুদ্ধের মতো বড় বিষয়কে ছোট্ট ক্যানভাসে ধারণ করার চেষ্টা করেছে তারা। বাঙালির বিজয়ের আনন্দকে প্রকাশ করতেও এতটুকু ভুল করেনি। সব মিলিয়ে তাই খুব ব্যতিক্রমী একটি আয়োজন। এ আয়োজনে ছোটদের পাশাপাশি বড়রাও ছবি এঁকেছেন। ফলে বয়সের ব্যবধান ভুলে চমৎকার একটি যোগসূত্র এখানে আবিষ্কৃত হয়।
জানা যায়, প্রদর্শনী আয়োজনে সবিশেষ ভূমিকা রেখেছেন শিল্পী সামিনা নাফিজ। একান্ত ভালবাসা থেকে এই সব শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। অনেক দিন ধরেই কাজ করছেন। প্রসঙ্গে জনকণ্ঠকে তিনি বলেন, এ কাজে অন্য রকম তৃপ্তি। প্রদর্শনীর শিল্পীরা আর দশটা মানুষের মতো স্বাভাবিক জীবন পায়নি। অনেক সীমাবদ্ধতা আছে তাদের। তাই বলে তারা গুটিয়ে থাকেনি। বরং সীমাবদ্ধতাগুলো জয় করার চেষ্টা করছে সবসময়। আঁকা ছবিগুলো তার প্রমাণ। আমি তাই তাদের কোথাও প্রতিবন্ধী হিসেবে পরিচয় দিতে চাই না। আমি চাই, কর্মই তাদের পরিচয় হোক। এ জন্য সকলের সহায়তাও কামনা করেন তিনি।
প্রদর্শনী ঘুরে দেখা যায়, ছবি আঁকতে গিয়ে নিজেদের স্বপ্নকেই এঁকেছে শিল্পীরা। ভবিষ্যতে কে কী হতে চায় তা বলার চেষ্টা করেছে। কোন ক্যানভাসে ছবি আঁকার ক্লাস। কেউ শিখছে। কেউ শেখাচ্ছে। কোনটিতে কম্পিউটারের সামনে দারুণ ব্যস্ত কিশোর। যেন বর্তমান নয় বরং আগামীকে খুঁজছে সে। কারও কারও ক্যানভাস জুড়ে তার চারপাশের জগত। তেমন একটি ছবিতে দেখা যায়, যানজটের ঢাকা। বুড়িগঙ্গার তীরে জাহাজ নির্মাণের দৃশ্যও খুঁজে পাওয়া যায় অন্য একটি ক্যানভাসে। তেলরঙে করা শিল্পকর্মটি অসাধারণ। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ছবিও এঁকেছে তারা। সিডরের ভয়াবহতার কথা এঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে। অনুমান করা যায়, শিল্পীদের কেউ প্রকৃতির এ তা-ব নিজ চোখে দেখেনি। কিন্তু কল্পনায় বহুদূর যেতে শিখেছে তারা। সেই কল্পনাই সত্যের সঙ্গে দারুণ মিলেমিশে যেতে দেখা যায় বিভিন্ন ছবিতে। একই উপায়ে মুক্তিযুদ্ধের মতো বড় বিষয়কে ছোট্ট ক্যানভাসে ধারণ করার চেষ্টা করেছে তারা। বাঙালির বিজয়ের আনন্দকে প্রকাশ করতেও এতটুকু ভুল করেনি। সব মিলিয়ে তাই খুব ব্যতিক্রমী একটি আয়োজন। এ আয়োজনে ছোটদের পাশাপাশি বড়রাও ছবি এঁকেছেন। ফলে বয়সের ব্যবধান ভুলে চমৎকার একটি যোগসূত্র এখানে আবিষ্কৃত হয়।
জানা যায়, প্রদর্শনী আয়োজনে সবিশেষ ভূমিকা রেখেছেন শিল্পী সামিনা নাফিজ। একান্ত ভালবাসা থেকে এই সব শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। অনেক দিন ধরেই কাজ করছেন। প্রসঙ্গে জনকণ্ঠকে তিনি বলেন, এ কাজে অন্য রকম তৃপ্তি। প্রদর্শনীর শিল্পীরা আর দশটা মানুষের মতো স্বাভাবিক জীবন পায়নি। অনেক সীমাবদ্ধতা আছে তাদের। তাই বলে তারা গুটিয়ে থাকেনি। বরং সীমাবদ্ধতাগুলো জয় করার চেষ্টা করছে সবসময়। আঁকা ছবিগুলো তার প্রমাণ। আমি তাই তাদের কোথাও প্রতিবন্ধী হিসেবে পরিচয় দিতে চাই না। আমি চাই, কর্মই তাদের পরিচয় হোক। এ জন্য সকলের সহায়তাও কামনা করেন তিনি।
No comments