মহাসপ্তমী আজ
ষষ্ঠী পূজায় চণ্ডীপাঠ, বোধন ও দেবীর অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আজ মহাসপ্তমী। গতকাল শনিবার শুরু হওয়া পাঁচদিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠান আগামী বুধবার বিজয়া মিছিল ও প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে।
ষষ্ঠীর দিনে ঢাকা সহ সারাদেশের পূজামণ্ডপগুলোতে পূজারী ও ভক্তদের সংখ্যা কম হলেও আজ (সপ্তমী) থেকে তা বাড়বে বলে জানিয়েছেন পূজা আয়োজকরা। ঢাকা মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি জানিয়েছে এবার রাজধানীতে ২০১টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্র জানিয়েছে, এবছর সারা দেশে ২৮ হাজারের বেশি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। পূজা উপলক্ষে সারা দেশে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা।রাজধানীর বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, দুর্গাপূজায় নগরী সেজেছে নতুন সাজে। বিভিন্ন মণ্ডপগুলোতে প্রতিমা স্থাপন, ডেকোরেশন, আলোকসজ্জাসহ সকল কাজ সম্পন্ন। এখন চূড়ান্ত আনুষ্ঠানিকতা। চারদিকেই সাজ সাজ রব। বিশেষ করে পুরান ঢাকার কোতোয়ালি এলাকায় গেলেই টের পাওয়া যায় পূজার আমেজ। এবার ঢাকার উল্লেখযোগ্য পূজাগুলো হচ্ছে, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন মঠ, মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দির, শাঁখারীবাজারের দুর্গাবাড়ি, প্রতিবন্ধী সংঘ, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব মাঠ, ধানমন্ডি সর্বজনীন পূজা কমিটি, কলাবাগান সর্বজনীন পূজা কমিটি, গুলশান-বনানী সর্বজনীন পূজা কমিটি, ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের জগন্নাথ হল পূজামণ্ডপ। রাজধানীর সব ক’টি পূজামণ্ডপে ষষ্ঠী পর্ব শেষে এখন চলছে মহাসপ্তমীর প্রস্তুতি। দেবীর ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ, বোধন, আমন্ত্রণ পর্ব শেষে মা দুর্গা তার সন্তানদের নিয়ে গজে চড়ে মর্ত্যে নেমে এসেছেন তার ভক্তদের ডাকে। ঢাকার রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মন্দিরের দুর্গাপূজার সমন্বয়ক স্বামী বেদময়ানন্দ মহারাজ মানবজমিনকে বলেন, গতকাল ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভের মাধ্যমে দেবীর বোধনে দেবীকে জাগানো হয়। সায়ংকালে (সন্ধ্যাবেলা) অধিবাস দিয়ে মাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আজ মহাসপ্তমীতে বিভিন্ন নদ-নদীর জল, তীর্থের মাটি দিয়ে দুর্গাদেবীর মহাস্নান হবে। পরে নবপত্রিকা ও বিভিন্ন দ্রব্যাদির মাধ্যমে মায়ের পূজা করা হবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পূজায় প্রতিটি মণ্ডপে প্রতিদিন পূজা অর্চনা, চণ্ডীপাঠ, পুষ্পাঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও ভোগ আরতি হবে। পাশাপাশি মণ্ডপগুলোতে বিভিন্ন ডেকোরেশন, চোখধাঁধানো আলোকসজ্জা, আরতি প্রতিযোগিতা, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সংগীতানুষ্ঠান ও ধর্মীয় আলোচনা সভার আয়োজন করেছে পূজা আয়োজক কমিটি।
No comments