মেয়েদের শিক্ষায় নেপালেরও পেছনে পাকিস্তান
মেয়েশিশুদের শিক্ষার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের অবস্থা বড়ই নাজুক। শিক্ষার পক্ষে কথা বলতে গিয়ে সেখানে মালালা ইউসুফজাইয়ের মতো কিশোরীদের হামলার শিকার হতে হয়। তার পরও টনক নড়েনি পাকিস্তান সরকারের।
দরিদ্র মেয়েশিশুদের শিক্ষার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের উন্নতি মোটেও আশাব্যঞ্জক নয়। এ ক্ষেত্রে তাদের অগ্রগতি প্রতিবেশী দেশ ভারত ও নেপালের অর্ধেক এবং বাংলাদেশের এক-চতুর্থাংশের সমান। এডুকেশন ফর অল গ্লোবাল মনিটরিংয়ের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো গত বৃহস্পতিবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিশুশিক্ষার অগ্রগতি নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। মেয়েশিশুদের শিক্ষার ক্ষেত্রে দুরবস্থার দিক দিয়ে ১৬টি দেশের মধ্যে পাকিস্তানের অবস্থান দ্বিতীয়। 'পুটিং এডুকেশন টু ওয়ার্ক' শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রায় ৫১ লাখ শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। এর মধ্যে ৬৩ শতাংশ মেয়েশিশু। প্রাথমিক পর্বের শিক্ষা থেকে ঝরে পড়া শিশুর দুই-তৃতীয়াংশই মেয়েশিশু। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় পাকিস্তানের মেয়েশিশুরা শিক্ষার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি বাধার সম্মুখীন হয়।
পাকিস্তান মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যয় করে। আগে প্রাথমিক শিক্ষায় ব্যয়ের হার ছিল ২ দশমিক ৬ শতাংশ। বিশ্বের মাত্র ৯টি নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ত আয়ের দেশ শিক্ষায় এ হারে ব্যয় করে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জেন্ডার, দারিদ্র্য, অঞ্চল ও নৃতাত্তি্বক গোষ্ঠী_এসব বিষয় পাকিস্তানের শিক্ষা কর্মসূচিকে প্রভাবিত করেছে। পাকিস্তানের মেয়েশিশুদের শিক্ষার অগ্রগতির ধারা খুবই ধীর। ৭৮ থেকে ৬২ শতাংশ মেয়েশিশুই প্রাথমিক স্কুল থেকেই ঝরে পড়ে। ভারতে এ হার ৬৬ থেকে ৩০ শতাংশ। নেপালে এ হার ৫২ থেকে ২২ শতাংশের মধ্যে।
গ্লোবাল মনিটরিং প্রতিবেদনের পরিচালক পাউলিন রোজ বলেন, ১৯৯৯ সালের পর থেকে বিশ্বের সব দেশের সরকার যখন সব শিশুর শিক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করছে, সেখানে পাকিস্তান এদিকে তেমন গুরুত্বই দিচ্ছে না। শিশুশিক্ষার ক্ষেত্রে দিন দিন তাদের অবস্থার অবনতি ঘটছে। 'সব শিশুর জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হলে অবশ্যই সব মেয়েশিশুকে স্কুলে পাঠাতে হবে।' সূত্র : ডন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিশুশিক্ষার অগ্রগতি নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। মেয়েশিশুদের শিক্ষার ক্ষেত্রে দুরবস্থার দিক দিয়ে ১৬টি দেশের মধ্যে পাকিস্তানের অবস্থান দ্বিতীয়। 'পুটিং এডুকেশন টু ওয়ার্ক' শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রায় ৫১ লাখ শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। এর মধ্যে ৬৩ শতাংশ মেয়েশিশু। প্রাথমিক পর্বের শিক্ষা থেকে ঝরে পড়া শিশুর দুই-তৃতীয়াংশই মেয়েশিশু। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় পাকিস্তানের মেয়েশিশুরা শিক্ষার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি বাধার সম্মুখীন হয়।
পাকিস্তান মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যয় করে। আগে প্রাথমিক শিক্ষায় ব্যয়ের হার ছিল ২ দশমিক ৬ শতাংশ। বিশ্বের মাত্র ৯টি নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ত আয়ের দেশ শিক্ষায় এ হারে ব্যয় করে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জেন্ডার, দারিদ্র্য, অঞ্চল ও নৃতাত্তি্বক গোষ্ঠী_এসব বিষয় পাকিস্তানের শিক্ষা কর্মসূচিকে প্রভাবিত করেছে। পাকিস্তানের মেয়েশিশুদের শিক্ষার অগ্রগতির ধারা খুবই ধীর। ৭৮ থেকে ৬২ শতাংশ মেয়েশিশুই প্রাথমিক স্কুল থেকেই ঝরে পড়ে। ভারতে এ হার ৬৬ থেকে ৩০ শতাংশ। নেপালে এ হার ৫২ থেকে ২২ শতাংশের মধ্যে।
গ্লোবাল মনিটরিং প্রতিবেদনের পরিচালক পাউলিন রোজ বলেন, ১৯৯৯ সালের পর থেকে বিশ্বের সব দেশের সরকার যখন সব শিশুর শিক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করছে, সেখানে পাকিস্তান এদিকে তেমন গুরুত্বই দিচ্ছে না। শিশুশিক্ষার ক্ষেত্রে দিন দিন তাদের অবস্থার অবনতি ঘটছে। 'সব শিশুর জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হলে অবশ্যই সব মেয়েশিশুকে স্কুলে পাঠাতে হবে।' সূত্র : ডন।
No comments