বইয়ের ভারে শিশুদের মেরুদণ্ড বাঁকা হয়ে যাচ্ছে: সংসদে নূরজাহান
স্কুলের
ব্যাগটা অত্যন্ত ভারী। আমরা কি আর বইতে পারি/ এ ও কি একটা শাস্তি নয়, কষ্ট
হয়, কষ্ট হয়। আমার কষ্ট বুঝতে চাও, দোহাই পড়ার চাপ কমাও/কষ্ট হয়। এটা নিছক
কোন গান নয়, এক নিরেট বাস্তবতা। সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি নূরজাহান বেগম
রোববার জাতীয় সংসদে কার্যপ্রণালী বিধির ৭১ বিধি অনুসারে জরুরি
জনগুরুপ্তপূর্ণ বিষয়ে আনা নোটিশে এমন মন্তব্য করেন।
নোটিশে নূরজাহান বেগম বলেন, বাংলাদেশের স্কুল পড়ুয়া শিশুরা ঠিক কত বেশি বোঝা বয়ে বয়ে অসুখ বাধিয়ে ফেলছে তার কোন পরিসংখ্যান নেই। তবে পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি দেখে বলা যায়, সবার অসচেতনতায় প্রতিদিন বাংলাদেশের শিশুরা একটু একটু করে গুরুতর শারীরিক ক্ষতির দিকে এগুচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন শিশুর ব্যাগের ওজন নিজের ওজনের ১০ শতাংশের কম হতে হবে। অথচ শিশুদের ব্যাগের ওজন কারো ৪ কেজি, ৬ কেজি বা সাড়ে ৭ কেজি পর্যন্ত দেখা যায়।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে কোন ক্লাসের শিশুরা কত ওজনের ব্যাগ বহন করবে, সে ব্যাপারে কোন নির্দেশনা নেই। যেমন কোন শিশু বোর্ড নির্ধারিত ৩টি বই থাকলেও শিশুকে বহন করতে হয় ১২টি বই। এরপর রয়েছে ৮টি খাতা, গাইড বুক, টিফিন বক্স ও পানির বোতল। সব মিলিয়ে ব্যাগের ওজন দাড়ায় কমপক্ষে ৬ কেজি। যা একজন শিশুর পক্ষে নিয়মিত বহন করা কষ্টসাধ্য এবং ঝুঁকিপূর্ণ। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ঢাকা শিশু হাসপাতালে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু চিকিৎসা সেবা নিতে এসে বলেছে তাদের পিঠের ব্যাথা, সোজা হয়ে দাঁড়াতে না পারার কষ্ট, মেরুদণ্ড ব্যাথা ইত্যাদির কথা। এর কারণ হিসেবে তাদের বহন করা স্কুল ব্যাগের ওজনকেই বেশি দায়ী করা হচ্ছে।
জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিশুদের জন্য এত ভারী ব্যাগ বহন করা কঠিন। আমরা প্রধানমন্ত্রী এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এ বিষয়ে বহু আলোচনা করেছি, যাতে শিশুদের কম বই নিয়ে স্কুলে নিয়ে আসা যায়। এ জন্য আমরা ই-বুক তৈরি করছি। এটা তৈরি হয়ে গেলে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এবার দিতে না পারলেও আগামীতে দিতে পারবো। তিনি বলেন, এবারে আমরা হাইস্কুল লেভেলে প্রায় ৬৫১ পৃষ্ঠার বই কমিয়ে দিয়েছি। তিনি বলেন, আমরা ওয়ান, টু ও থ্রি ক্লাশের জন্য তিনটি বই নির্ধারিত করে দিয়েছি। এই তিনটি বইয়ের ওজন তো এক কেজির কম। যে শিশুটি তিনটি বই নিয়ে যাবে, সে কেন বারোটা বই নিয়ে যাবে। তার গার্জিয়ানরা কি করেন?
নোটিশে নূরজাহান বেগম বলেন, বাংলাদেশের স্কুল পড়ুয়া শিশুরা ঠিক কত বেশি বোঝা বয়ে বয়ে অসুখ বাধিয়ে ফেলছে তার কোন পরিসংখ্যান নেই। তবে পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি দেখে বলা যায়, সবার অসচেতনতায় প্রতিদিন বাংলাদেশের শিশুরা একটু একটু করে গুরুতর শারীরিক ক্ষতির দিকে এগুচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন শিশুর ব্যাগের ওজন নিজের ওজনের ১০ শতাংশের কম হতে হবে। অথচ শিশুদের ব্যাগের ওজন কারো ৪ কেজি, ৬ কেজি বা সাড়ে ৭ কেজি পর্যন্ত দেখা যায়।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে কোন ক্লাসের শিশুরা কত ওজনের ব্যাগ বহন করবে, সে ব্যাপারে কোন নির্দেশনা নেই। যেমন কোন শিশু বোর্ড নির্ধারিত ৩টি বই থাকলেও শিশুকে বহন করতে হয় ১২টি বই। এরপর রয়েছে ৮টি খাতা, গাইড বুক, টিফিন বক্স ও পানির বোতল। সব মিলিয়ে ব্যাগের ওজন দাড়ায় কমপক্ষে ৬ কেজি। যা একজন শিশুর পক্ষে নিয়মিত বহন করা কষ্টসাধ্য এবং ঝুঁকিপূর্ণ। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ঢাকা শিশু হাসপাতালে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু চিকিৎসা সেবা নিতে এসে বলেছে তাদের পিঠের ব্যাথা, সোজা হয়ে দাঁড়াতে না পারার কষ্ট, মেরুদণ্ড ব্যাথা ইত্যাদির কথা। এর কারণ হিসেবে তাদের বহন করা স্কুল ব্যাগের ওজনকেই বেশি দায়ী করা হচ্ছে।
জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিশুদের জন্য এত ভারী ব্যাগ বহন করা কঠিন। আমরা প্রধানমন্ত্রী এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এ বিষয়ে বহু আলোচনা করেছি, যাতে শিশুদের কম বই নিয়ে স্কুলে নিয়ে আসা যায়। এ জন্য আমরা ই-বুক তৈরি করছি। এটা তৈরি হয়ে গেলে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এবার দিতে না পারলেও আগামীতে দিতে পারবো। তিনি বলেন, এবারে আমরা হাইস্কুল লেভেলে প্রায় ৬৫১ পৃষ্ঠার বই কমিয়ে দিয়েছি। তিনি বলেন, আমরা ওয়ান, টু ও থ্রি ক্লাশের জন্য তিনটি বই নির্ধারিত করে দিয়েছি। এই তিনটি বইয়ের ওজন তো এক কেজির কম। যে শিশুটি তিনটি বই নিয়ে যাবে, সে কেন বারোটা বই নিয়ে যাবে। তার গার্জিয়ানরা কি করেন?
No comments