সাতজনকে চিহ্নিত করেছে ডিবি
লেখক
ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যায় সরাসরি জড়িত ছিল, এমন সাতজনকে চিহ্নিত করা
হয়েছে বলে দাবি করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এসব সন্দেহভাজনের
ছবি ও আংশিক পরিচয়ও মিলেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মনিরুল ইসলাম গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, শনাক্ত করা সাতজনই অভিজিৎ হত্যায় সরাসরি অংশ নিয়েছিল। এরা সবাই শিক্ষিত। এদের মধ্যে একজন সম্প্রতি পাস করা চিকিৎসক। সবাই সদ্য নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য বলে তাঁরা তথ্য পেয়েছেন। তিনি বলেন, সাতজনের ছবি এবং প্রাথমিক পরিচয়ের কিছু সূত্র (কারও ডাকনাম বা ছদ্মনাম ও পেশা) তাঁরা পেয়েছেন। সেই সূত্রগুলো ধরে এই ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মনিরুল ইসলাম জানান, এসব ছবিসহ কিছু উপকরণ শনাক্ত করার জন্য ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদকে দেখাতে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছে।
মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎকে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তাঁর স্ত্রী রাফিদা আহমেদও আহত হন। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী এই দম্পতি ওই সময় বইমেলা থেকে ফিরছিলেন।
ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর ‘আনসার বাংলা সেভেন’ নামে এক টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে অভিজিৎ হত্যার দায় স্বীকার করা হয়। প্রায় দেড় মাস পর গত ২ মে আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখার (একিউআইএস) প্রধান অসিম উমরের নামে ইন্টারনেটে প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় দাবি করা হয়, একিউআইএসের সদস্যরাই অভিজিৎকে হত্যা করেছে। ওই ভিডিওতে বাংলাদেশি ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এ কে এম শফিকুল ইসলাম ও করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শাকিল আউজকেও হত্যার দাবি করা হয়। অবশ্য ওই ভিডিও ও টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ছড়ানো বার্তার সত্যতার বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
তবে ঘটনার পর থেকেই তদন্তকারী সংস্থা ঢাকার ডিবির কর্মকর্তারা বলে আসছেন, তাঁরা প্রাথমিকভাবে যেসব তথ্য পাচ্ছেন, তাতে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রতিই তাঁদের মূল সন্দেহ।
মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারকে হত্যার পর তাঁরা আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানতে পারেন। রাজীব হত্যায় জড়িত ব্যক্তিরা সবাই ছিল আনসারুল্লাহর সদস্য। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া সাতজনই আদালতে জবানবন্দি দিয়ে দোষ স্বীকার করে।
ব্লগার রাজীব হত্যার পর গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর সাভারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আশরাফুল আলম ও ১৫ নভেম্বর রাজশাহীর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শফিউল ইসলামকে একই কায়দায় খুন করা হয়। এরপর গত ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় অভিজিৎ, মার্চে ওয়াশিকুর রহমান ও মে মাসে সিলেটে অন্তত বিজয় দাশকে হত্যা করা হয়। এসব হত্যার ঘটনায়ও আনসারুল্লাহ প্রধান সন্দেহভাজন।
রাজীব হত্যার পর বাকি এসব হত্যার কোনোটিরই এখন পর্যন্ত কূলকিনারা করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যদিও অভিজিৎ হত্যা মামলায় ২ মার্চ রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে শফিউর রহমান ফারাবী নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাঁর বিরুদ্ধে ফেসবুকে অভিজিৎকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আছে। তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্যও মেলেনি বলে তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মনিরুল ইসলাম গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, শনাক্ত করা সাতজনই অভিজিৎ হত্যায় সরাসরি অংশ নিয়েছিল। এরা সবাই শিক্ষিত। এদের মধ্যে একজন সম্প্রতি পাস করা চিকিৎসক। সবাই সদ্য নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য বলে তাঁরা তথ্য পেয়েছেন। তিনি বলেন, সাতজনের ছবি এবং প্রাথমিক পরিচয়ের কিছু সূত্র (কারও ডাকনাম বা ছদ্মনাম ও পেশা) তাঁরা পেয়েছেন। সেই সূত্রগুলো ধরে এই ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মনিরুল ইসলাম জানান, এসব ছবিসহ কিছু উপকরণ শনাক্ত করার জন্য ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদকে দেখাতে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছে।
মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎকে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তাঁর স্ত্রী রাফিদা আহমেদও আহত হন। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী এই দম্পতি ওই সময় বইমেলা থেকে ফিরছিলেন।
ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর ‘আনসার বাংলা সেভেন’ নামে এক টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে অভিজিৎ হত্যার দায় স্বীকার করা হয়। প্রায় দেড় মাস পর গত ২ মে আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখার (একিউআইএস) প্রধান অসিম উমরের নামে ইন্টারনেটে প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় দাবি করা হয়, একিউআইএসের সদস্যরাই অভিজিৎকে হত্যা করেছে। ওই ভিডিওতে বাংলাদেশি ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এ কে এম শফিকুল ইসলাম ও করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শাকিল আউজকেও হত্যার দাবি করা হয়। অবশ্য ওই ভিডিও ও টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ছড়ানো বার্তার সত্যতার বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
তবে ঘটনার পর থেকেই তদন্তকারী সংস্থা ঢাকার ডিবির কর্মকর্তারা বলে আসছেন, তাঁরা প্রাথমিকভাবে যেসব তথ্য পাচ্ছেন, তাতে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রতিই তাঁদের মূল সন্দেহ।
মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারকে হত্যার পর তাঁরা আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানতে পারেন। রাজীব হত্যায় জড়িত ব্যক্তিরা সবাই ছিল আনসারুল্লাহর সদস্য। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া সাতজনই আদালতে জবানবন্দি দিয়ে দোষ স্বীকার করে।
ব্লগার রাজীব হত্যার পর গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর সাভারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আশরাফুল আলম ও ১৫ নভেম্বর রাজশাহীর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শফিউল ইসলামকে একই কায়দায় খুন করা হয়। এরপর গত ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় অভিজিৎ, মার্চে ওয়াশিকুর রহমান ও মে মাসে সিলেটে অন্তত বিজয় দাশকে হত্যা করা হয়। এসব হত্যার ঘটনায়ও আনসারুল্লাহ প্রধান সন্দেহভাজন।
রাজীব হত্যার পর বাকি এসব হত্যার কোনোটিরই এখন পর্যন্ত কূলকিনারা করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যদিও অভিজিৎ হত্যা মামলায় ২ মার্চ রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে শফিউর রহমান ফারাবী নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাঁর বিরুদ্ধে ফেসবুকে অভিজিৎকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আছে। তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্যও মেলেনি বলে তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়।
No comments