‘পলাতক’ সাংসদ সংসদে, হাজিরা খাতায় সই
আমানুর রহমান খান |
টাঙ্গাইল-৪
(ঘাটাইল) আসন থেকে নির্বাচিত সাংসদ আমানুর রহমান খান (রানা) পুলিশের কাছে
পলাতক। টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার সন্দেহভাজন
হিসেবে পুলিশ তাঁকে খুঁজছে। তাঁকে ধরতে টাঙ্গাইল ও ঢাকায় পুলিশ কয়েক দফা
অভিযান চালায় বলে দাবিও করেছিল।
‘পলাতক’ এই সাংসদ গত রোববার সংসদে হাজির হয়ে সদস্যপদ রক্ষার জন্য হাজিরা খাতায় সই করে চলে যান। সংসদে হাজির হওয়ার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন জাতীয় সংসদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সাংসদ আমানুরের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর ঘনিষ্ঠ এক আওয়ামী লীগ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সম্প্রতি উচ্চ আদালতে সাংসদ আমানুর একটি আবেদন করেন। সেখানে তিনি ‘পুলিশি হয়রানি’ থেকে রক্ষা পেতে আদালতের আদেশ চেয়েছিলেন। কিন্তু আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার হতে পারেন, এ আশঙ্কায় আর যাননি।
সংসদ সচিবালয় থেকে জানা গছে, আমানুর টানা ৬৫ কার্যদিবস সংসদে অনুপস্থিত ছিলেন। আইন অনুযায়ী টানা ৯০ কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকলে সদস্যপদ বাতিল হয়ে যায়।
জানতে চাইলে জাতীয় সংসদের হুইপ আতিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গত রোববার সাংসদ আমানুরের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়নি। তিনি বলেন, পুলিশের কাছে পলাতক হলেও তাঁকে ধরিয়ে দেওয়ার কাজ সংসদ করবে এমনটা নয়। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে যদি আগেই বিষয়টি সংসদকে জানানো হতো বা স্পিকারের দৃষ্টিতে আনা হতো, তাহলে স্পিকার এ ব্যাপারে করণীয় নির্ধারণ করতে পারতেন।
টাঙ্গাইলের প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। এ হত্যা ঘটনার সঙ্গে সাংসদ আমানুর সরাসরি জড়িত বলে তারা জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছে। হত্যাকাণ্ডের সময় সাংসদ ও তাঁর ভাই পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান (মুক্তি) উপস্থিত ছিলেন বলে আসামিরা জানিয়েছে। এ ছাড়া হত্যার পরিকল্পনায় আমানুরের আরও দুই ভাই টাঙ্গাইলের ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান (কাকন) ও সানিয়াত খান (বাপ্পা) যুক্ত ছিলেন বলে আসামিরা উল্লেখ করেছে। এই স্বীকারোক্তির খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে চার ভাই পলাতক। গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বরের পর থেকে আমানুরকে আর সংসদে দেখা যায়নি।
টাঙ্গাইল পুলিশের একটি সূত্র বলেছে, আমানুর ও তাঁর ভাই সহিদুল ঢাকায় আছেন বলে তারা জেনেছে। তবে ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করছেন, এ জন্য কয়েকবার চেষ্টা করেও তাঁদের ধরা যায়নি। তবে অপর দুই ভাই জাহিদুর ও সানিয়াত সম্ভবত দেশে নেই।
ফারুক হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গত সোমবার সাংসদ আমানুর উচ্চ আদালতে যাচ্ছেন, এমন খবরের ভিত্তিতে তাঁরা হাইকোর্ট এলাকায় নজরদারি বাড়ান। সম্ভবত পুলিশের উপস্থিতি টের পাওয়ায় আমানুর আর আদালতে যাননি।
‘পলাতক’ এই সাংসদ গত রোববার সংসদে হাজির হয়ে সদস্যপদ রক্ষার জন্য হাজিরা খাতায় সই করে চলে যান। সংসদে হাজির হওয়ার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন জাতীয় সংসদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সাংসদ আমানুরের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর ঘনিষ্ঠ এক আওয়ামী লীগ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সম্প্রতি উচ্চ আদালতে সাংসদ আমানুর একটি আবেদন করেন। সেখানে তিনি ‘পুলিশি হয়রানি’ থেকে রক্ষা পেতে আদালতের আদেশ চেয়েছিলেন। কিন্তু আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার হতে পারেন, এ আশঙ্কায় আর যাননি।
সংসদ সচিবালয় থেকে জানা গছে, আমানুর টানা ৬৫ কার্যদিবস সংসদে অনুপস্থিত ছিলেন। আইন অনুযায়ী টানা ৯০ কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকলে সদস্যপদ বাতিল হয়ে যায়।
জানতে চাইলে জাতীয় সংসদের হুইপ আতিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গত রোববার সাংসদ আমানুরের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়নি। তিনি বলেন, পুলিশের কাছে পলাতক হলেও তাঁকে ধরিয়ে দেওয়ার কাজ সংসদ করবে এমনটা নয়। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে যদি আগেই বিষয়টি সংসদকে জানানো হতো বা স্পিকারের দৃষ্টিতে আনা হতো, তাহলে স্পিকার এ ব্যাপারে করণীয় নির্ধারণ করতে পারতেন।
টাঙ্গাইলের প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। এ হত্যা ঘটনার সঙ্গে সাংসদ আমানুর সরাসরি জড়িত বলে তারা জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছে। হত্যাকাণ্ডের সময় সাংসদ ও তাঁর ভাই পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান (মুক্তি) উপস্থিত ছিলেন বলে আসামিরা জানিয়েছে। এ ছাড়া হত্যার পরিকল্পনায় আমানুরের আরও দুই ভাই টাঙ্গাইলের ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান (কাকন) ও সানিয়াত খান (বাপ্পা) যুক্ত ছিলেন বলে আসামিরা উল্লেখ করেছে। এই স্বীকারোক্তির খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে চার ভাই পলাতক। গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বরের পর থেকে আমানুরকে আর সংসদে দেখা যায়নি।
টাঙ্গাইল পুলিশের একটি সূত্র বলেছে, আমানুর ও তাঁর ভাই সহিদুল ঢাকায় আছেন বলে তারা জেনেছে। তবে ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করছেন, এ জন্য কয়েকবার চেষ্টা করেও তাঁদের ধরা যায়নি। তবে অপর দুই ভাই জাহিদুর ও সানিয়াত সম্ভবত দেশে নেই।
ফারুক হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গত সোমবার সাংসদ আমানুর উচ্চ আদালতে যাচ্ছেন, এমন খবরের ভিত্তিতে তাঁরা হাইকোর্ট এলাকায় নজরদারি বাড়ান। সম্ভবত পুলিশের উপস্থিতি টের পাওয়ায় আমানুর আর আদালতে যাননি।
No comments