গ্রামের ৪০ ভাগ গ্রাহককে ঘুষ দিয়ে বিদ্যুতের সেবা পেতে হয়
গ্রামে
বিদ্যুতের সেবা পেতে গড়ে ৪০ ভাগ গ্রাহককে ঘুষ দিতে হয়। কৃষি, শিল্প,
বাণিজ্য, আবাসিক সব গ্রাহককেই এ অর্থ দিতে হয়। ডিপিডিসি ও ওজোপাডিকোতে এই
বাড়তি লেনদেনের পরিমাণ কম। ডিপিডিসিতে সেবা পেতে শতকরা ১৫ ভাগ এবং
ওজোপাডিকোতে ১০ ভাগ গ্রাহককে ঘুষ দিতে হয়।
রোববার বিজয় হলে বিদ্যুৎ ব্যবহারে গ্রাহকদের সন্তুষ্টি বিষয়ে করা এক জরিপ প্রতিবেদনে এই তথ্য দেয়া হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইনসহ বিতরণ কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পাওয়ার সেলের অধীনে বেসরকারি সংস্থা মাইডাস এই জরিপ করেছে। মাইডাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এএসএম মাসহি-উর-রহমান প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। গত বছর অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে এ জরিপ করা হয়। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি), ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পনি (ডিপিডিসি) ও নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি. (ওজোপাডিকো) এর গ্রাহক সন্তুষ্টির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এ জরিপ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রামে সেচ যন্ত্রে বিদ্যুৎ পেতে ৫০ ভাগ গ্রাহককে সরকার নির্ধারিত অর্থের চেয়ে বেশি দিতে হয়। শিল্প সংযোগ পেতে ৩৭ ভাগ, বাণিজ্যিক সংযোগের জন্য ৩৫ ভাগ এবং আবাসিকের ৩৯ শতাংশ গ্রাহককে বাড়তি অর্থ দিতে হয়। ডিপিডিসির বাড়তি অর্থ বেশি দেয়া লাগে শিল্প গ্রাহকদের। ১৭ ভাগ শিল্প গ্রাহক সরকার নির্ধারিত অর্থের চেয়ে বেশি শোধ করে। এছাড়া ১৫ ভাগ আবাসিক এবং ১৪ ভাগ বাণিজ্যিক গ্রাহক সেবা পেতে বাড়তি অর্থ দেয়। ওজোপাডিকোতে বেশি অবৈধ অর্থ দেয় বাণিজ্যিক গ্রাহকরা। ১২ শতাংশ বাণিজ্যিক গ্রাহক বাড়তি অর্থ দিয়ে সেবা নিয়ে থাকে। এছাড়া ৯ শতাংশ আবাসিক এবং ৪ শতাংশ শিল্প গ্রাহক বাড়তি বা অবৈধ অর্থ দেয়।
গ্রামের ৩২ ভাগ গ্রাহক জানিয়েছেন তারা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পান না। আর বাকি ৬৯ ভাগ পান। তবে কৃষকরা জানান, সেচ কাজে তারা শতভাগ প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ পান। ডিপিডিসির ৮৭ ভাগ গ্রাহক জানিয়েছেন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পান আর ১৩ ভাগ পান না। ওজোপাডিকোতে ৮৫ ভাগ পান, ১৫ ভাগ পান না।
উপদেষ্টা বলেন, এই জরিপ প্রমাণ করে সরকার স্বচ্ছ। এটাই জবাবদিহিতা। সরকার নিজের অর্থে এই জরিপ করিয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে সরকারই জানতে চেয়েছে সেবা কেমন দেয়া হচ্ছে। নসরুল হামিদ বলেন, সব গ্রাহককে সন্তুষ্ট করতে হবে। ৪০ ভাগ মানুষ বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। এটা যদি হয় তবে তা অনেক বেশি। তিনি বলেন, বিদ্যুতের চুরি অনেক কমেছে। চুরি কমে যাওয়ার অর্থ হলো মানুষের অবস্থানের উন্নয়ন হয়েছে।
রোববার বিজয় হলে বিদ্যুৎ ব্যবহারে গ্রাহকদের সন্তুষ্টি বিষয়ে করা এক জরিপ প্রতিবেদনে এই তথ্য দেয়া হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইনসহ বিতরণ কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পাওয়ার সেলের অধীনে বেসরকারি সংস্থা মাইডাস এই জরিপ করেছে। মাইডাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এএসএম মাসহি-উর-রহমান প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। গত বছর অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে এ জরিপ করা হয়। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি), ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পনি (ডিপিডিসি) ও নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি. (ওজোপাডিকো) এর গ্রাহক সন্তুষ্টির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এ জরিপ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রামে সেচ যন্ত্রে বিদ্যুৎ পেতে ৫০ ভাগ গ্রাহককে সরকার নির্ধারিত অর্থের চেয়ে বেশি দিতে হয়। শিল্প সংযোগ পেতে ৩৭ ভাগ, বাণিজ্যিক সংযোগের জন্য ৩৫ ভাগ এবং আবাসিকের ৩৯ শতাংশ গ্রাহককে বাড়তি অর্থ দিতে হয়। ডিপিডিসির বাড়তি অর্থ বেশি দেয়া লাগে শিল্প গ্রাহকদের। ১৭ ভাগ শিল্প গ্রাহক সরকার নির্ধারিত অর্থের চেয়ে বেশি শোধ করে। এছাড়া ১৫ ভাগ আবাসিক এবং ১৪ ভাগ বাণিজ্যিক গ্রাহক সেবা পেতে বাড়তি অর্থ দেয়। ওজোপাডিকোতে বেশি অবৈধ অর্থ দেয় বাণিজ্যিক গ্রাহকরা। ১২ শতাংশ বাণিজ্যিক গ্রাহক বাড়তি অর্থ দিয়ে সেবা নিয়ে থাকে। এছাড়া ৯ শতাংশ আবাসিক এবং ৪ শতাংশ শিল্প গ্রাহক বাড়তি বা অবৈধ অর্থ দেয়।
গ্রামের ৩২ ভাগ গ্রাহক জানিয়েছেন তারা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পান না। আর বাকি ৬৯ ভাগ পান। তবে কৃষকরা জানান, সেচ কাজে তারা শতভাগ প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ পান। ডিপিডিসির ৮৭ ভাগ গ্রাহক জানিয়েছেন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পান আর ১৩ ভাগ পান না। ওজোপাডিকোতে ৮৫ ভাগ পান, ১৫ ভাগ পান না।
উপদেষ্টা বলেন, এই জরিপ প্রমাণ করে সরকার স্বচ্ছ। এটাই জবাবদিহিতা। সরকার নিজের অর্থে এই জরিপ করিয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে সরকারই জানতে চেয়েছে সেবা কেমন দেয়া হচ্ছে। নসরুল হামিদ বলেন, সব গ্রাহককে সন্তুষ্ট করতে হবে। ৪০ ভাগ মানুষ বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। এটা যদি হয় তবে তা অনেক বেশি। তিনি বলেন, বিদ্যুতের চুরি অনেক কমেছে। চুরি কমে যাওয়ার অর্থ হলো মানুষের অবস্থানের উন্নয়ন হয়েছে।
No comments