এশিয়ার শেয়ারবাজারে নাড়া দিয়েছে গ্রিসের ‘না’
‘না’ ভোট দিয়ে ঋণদাতাদের কাছ থেকে কঠোর শর্তে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রস্তাব (বেইল আউট) নাকচ করে দিয়েছে ইউরোপের দেশ গ্রিস। এর প্রভাব পড়েছে এশিয়ার শেয়ারবাজারে। এশিয়ার অর্থনৈতিকভাবে প্রভাবশালী অধিকাংশ দেশের শেয়ারবাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আজ সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে এ কথা জানানো হয়।
চীনের শেয়ারবাজারে লেনদেন আট শতাংশ কমেছে। টোকিওতে ২ দশমিক ১৮ শতাংশ, সিউলে ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ, সিডনিতে ১ দশমিক ১৮ শতাংশ লেনদেন কমেছে।
ঋণসংকটে গ্রিস টালমাটাল হলেও আত্মসম্মান নিয়ে মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার পক্ষে আধুনিক সভ্যতার অন্যতম সূতিকাগার দেশটির বাসিন্দারা। বেইল আউট নিয়ে গণভোটে ‘না’ জয়ী হওয়ায় গ্রিসকে হয়তো ইউরোজোন (যেসব দেশে ইউরো প্রচলিত) থেকে বিদায় নিতে হবে।
গ্রিসে গতকাল রোববারের গণভোটে ‘না’ ভোট সুস্পষ্টভাবে জয়ী হয়। গণভোটের চূড়ান্ত ফলে দেখা যায়, ‘না’ ভোট পড়েছে ৬১ দশমিক ৩ শতাংশ। বিপরীতে ‘হ্যাঁ’ ভোট পড়েছে ৩৮ দশমিক ৭ শতাংশ। গণভোটের ফলাফলের বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইউরোপীয় নেতারা। তাঁদের প্রতিক্রিয়ায় হতাশার সঙ্গে আছে সতর্কতা। তবে শেষ পর্যন্ত নিশ্চয় গ্রিস এ সংকট থেকে উদ্ধার পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
‘না’ জয়ী হওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে, ঋণদাতাদের সঙ্গে গ্রিসের আলোচনার সব পথ শেষ। ঋণদাতাদের কাছ থেকে আর আর্থিক সহায়তা পাওয়া যাবে না। এ ছাড়া এ মাসের মধ্যে ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের (ইসিবি) ৩০০ কোটি ইউরোও ফেরত দেওয়ার তাড়াও আছে গ্রিসের। ইউরোজোন থেকে বের করে দেওয়ার যে হুমকি ইউরোপীয় নেতারা গ্রিসকে দিয়েছিল, জনগণ এটাকে পাত্তা না নিয়ে এই হুমকিকে সরাসরি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। এর পরও জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে এ সংকট থেকে গ্রিসকে বের করার উপায় খুঁজছেন ইইউ নেতারা। পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে আজ সোমবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ।
গ্রিসের এই টালমাটাল পরিস্থিতির কারণে এশিয়ার শেয়ারবাজারে সাময়িক এই প্রভাব পড়েছে বলে বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন। তবে এই পরিস্থিতি থেকে শিগগিরই উত্তরণ ঘটবে বলে আশাও তাঁদের।
গ্রিসের সংকটের কারণে এশিয়ার শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাবের বিষয়ে জাপানের টোকিওর নোমুরা সিকিউরিটিজের পুঁজিবাজার বিশ্লেষক শিনা হারুই বলেন, এ ধরনের প্রভাবের কোনো বিশেষ কারণ নেই। তবে ইউরোজোন থেকে গ্রিসকে বের হয়ে যাওয়া লাগতে পারে ভেবে এশিয়ার শেয়ারবাজার খানিকটা টালমাটাল হয়ে পড়েছে। গ্রিসের বের হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা খুব বেশি বলে তিনি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করেন। তাঁর মতে, সেই আশঙ্কা ৭০-৮০ শতাংশ। এর সঙ্গে তিনি যোগ করেন, গ্রিসের বের হয়ে যাওয়ার ঘটনা ১৯ জাতির এই জোটের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি করবে। এতে ইইউ বিরোধী আন্দোলন জোরদার হতে পারে।
চীনের শেয়ারবাজারে লেনদেন আট শতাংশ কমেছে। টোকিওতে ২ দশমিক ১৮ শতাংশ, সিউলে ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ, সিডনিতে ১ দশমিক ১৮ শতাংশ লেনদেন কমেছে।
ঋণসংকটে গ্রিস টালমাটাল হলেও আত্মসম্মান নিয়ে মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার পক্ষে আধুনিক সভ্যতার অন্যতম সূতিকাগার দেশটির বাসিন্দারা। বেইল আউট নিয়ে গণভোটে ‘না’ জয়ী হওয়ায় গ্রিসকে হয়তো ইউরোজোন (যেসব দেশে ইউরো প্রচলিত) থেকে বিদায় নিতে হবে।
গ্রিসে গতকাল রোববারের গণভোটে ‘না’ ভোট সুস্পষ্টভাবে জয়ী হয়। গণভোটের চূড়ান্ত ফলে দেখা যায়, ‘না’ ভোট পড়েছে ৬১ দশমিক ৩ শতাংশ। বিপরীতে ‘হ্যাঁ’ ভোট পড়েছে ৩৮ দশমিক ৭ শতাংশ। গণভোটের ফলাফলের বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইউরোপীয় নেতারা। তাঁদের প্রতিক্রিয়ায় হতাশার সঙ্গে আছে সতর্কতা। তবে শেষ পর্যন্ত নিশ্চয় গ্রিস এ সংকট থেকে উদ্ধার পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
‘না’ জয়ী হওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে, ঋণদাতাদের সঙ্গে গ্রিসের আলোচনার সব পথ শেষ। ঋণদাতাদের কাছ থেকে আর আর্থিক সহায়তা পাওয়া যাবে না। এ ছাড়া এ মাসের মধ্যে ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের (ইসিবি) ৩০০ কোটি ইউরোও ফেরত দেওয়ার তাড়াও আছে গ্রিসের। ইউরোজোন থেকে বের করে দেওয়ার যে হুমকি ইউরোপীয় নেতারা গ্রিসকে দিয়েছিল, জনগণ এটাকে পাত্তা না নিয়ে এই হুমকিকে সরাসরি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। এর পরও জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে এ সংকট থেকে গ্রিসকে বের করার উপায় খুঁজছেন ইইউ নেতারা। পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে আজ সোমবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ।
গ্রিসের এই টালমাটাল পরিস্থিতির কারণে এশিয়ার শেয়ারবাজারে সাময়িক এই প্রভাব পড়েছে বলে বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন। তবে এই পরিস্থিতি থেকে শিগগিরই উত্তরণ ঘটবে বলে আশাও তাঁদের।
গ্রিসের সংকটের কারণে এশিয়ার শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাবের বিষয়ে জাপানের টোকিওর নোমুরা সিকিউরিটিজের পুঁজিবাজার বিশ্লেষক শিনা হারুই বলেন, এ ধরনের প্রভাবের কোনো বিশেষ কারণ নেই। তবে ইউরোজোন থেকে গ্রিসকে বের হয়ে যাওয়া লাগতে পারে ভেবে এশিয়ার শেয়ারবাজার খানিকটা টালমাটাল হয়ে পড়েছে। গ্রিসের বের হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা খুব বেশি বলে তিনি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করেন। তাঁর মতে, সেই আশঙ্কা ৭০-৮০ শতাংশ। এর সঙ্গে তিনি যোগ করেন, গ্রিসের বের হয়ে যাওয়ার ঘটনা ১৯ জাতির এই জোটের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি করবে। এতে ইইউ বিরোধী আন্দোলন জোরদার হতে পারে।
No comments