বর্ষবরণে নিপীড়নকারীদের আটকের কথা বললেন মন্ত্রী, পুলিশের না
ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে নারী নিপীড়নের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ
করে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, নিপীড়নকারীদের
চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের কয়েকজনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাকিদেরও ধরার চেষ্টা চলছে। তাদের ধরার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে পুরস্কার
ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সংসদে প্রশ্নোত্তরপর্বে তিনি এ তথ্য জানান। মন্ত্রী
এমন তথ্য জানালেও পুলিশ জানিয়েছে এ ঘটনায় এ পর্যন্ত আটকের কোন তথ্য তাদের
কাছে নেই। ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও যুগ্ম-কমিশনার (ডিবি) মনিরুল
ইসলাম গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা
যায়নি।
এদিকে গতকাল সংসদে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখে এতো বেশি মানুষের সমাগম হয় যে, আমাদের পুলিশ নিরাপত্তা দিতে হিমশিম খায়। এই সুযোগে তারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে। নারী লাঞ্ছনার ঘটনা অবশ্যই দুঃখজনক। সেদিনের ঘটনা আমরা পুরোপুরি বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণ করেছি। পুলিশের আইজি চিহ্নিত অপরাধীদের ধরার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। যারা অপকর্ম করেছে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সে জন্য সতর্ক করা হয়েছে। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডা. মো. রুস্তম আলী ফরাজীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানবপাচারকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যানুযায়ী ইতিমধ্যে কিছু পাচারকারীকে ধরা হয়েছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত সজাগ দৃষ্টি রেখেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় মানবপাচার অনেক কমেছে। আশাকরি দ্রুত আরও কমে আসবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানবপাচার বন্ধে আইন আছে। সেই আইনে গুরুদণ্ডের ব্যবস্থাও আছে। আইন যথেষ্ট শক্তিশালী। এই আইনের সংশোধনীর প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। মানবপাচার বন্ধে কোস্টগার্ডসহ সকল বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। কক্সবাজার এলাকায় দৃঢ়ভাবে তৎপর আছে। তিনি বলেন, ঈদকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যা যা করণীয় তা করছে। আমাদের আইজির নেতৃত্বে একটি সভা হয়েছে। ঈদে যে সব সমস্যা হয়, তা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে। ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের স্বস্তি দিতে হাইওয়ে পুলিশ, মহানগর পুলিশ কাজ করছে। মহসড়কে যেন যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে না হয় সে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া, ছিনতাই ও মলম পার্টি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। স্বতন্ত্র এমপি হাজী মো. সেলিমের সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। উন্নয়নের সঙ্গে গাড়িও বাড়ছে। তবে যানজট নিয়ন্ত্রণে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। আমাদের ফ্লাইওভার নির্মাণ হচ্ছে। তাছাড়া, গাড়ি নিয়ন্ত্রণেরও নানাবিধ ব্যবস্থা নিয়েছি। গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে একটু খানি হলেও স্বস্তি পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
দুই হাজার ৩৮৫ বাংলাদেশী উদ্ধার
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জানিয়েছেন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ায় আদম পাচারকারীদের খপ্পর থেকে মোট ২ হাজার ৩৮৫ জন বাংলাদেশী নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে থাইল্যান্ড থেকে ১৩৮ জন, মালয়েশিয়া থেকে ৭৩৮ জন, ইন্দোনেশিয়া থেকে ৭৮১ জন এবং মিয়ানমার থেকে ৭২৮ জন। মন্ত্রী আরও বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সব সময়ই বিদেশে উদ্ধারকৃত বাংলাদেশী নাগরিকদের দেশে প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। সামপ্রতিক মানব পাচারের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট দূতাবাস সমন্বয়ের মাধ্যমে উদ্ধারকৃত বাংলাদেশী নাগরিকদের দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সরকারি দলের সদস্য সেলিনা বেগমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মানব পাচারের শিকার বাংলাদেশীদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ৩১৫ জন বাংলাদেশীর প্রত্যাবাসন ইতিমধ্যেই সুসম্পন্ন হয়েছে। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও মিয়ানমারে আমাদের রাষ্ট্রদূতরা সেখানে উদ্ধারকৃত বাংলাদেশী নাগরিকদের পরিচয় নির্ধারণের কাজটি ব্যক্তিগতভাবে তদারক করছেন এবং তাদের মানবিক সাহায্যের বিষয়গুলোতে খোঁজখবর রাখছেন। একইসঙ্গে ভারত মহাসাগর এলাকায় আমাদের আর কোন নাগরিক পাচারকারীদের হাতে ভাসমান বা জিম্মি অবস্থায় আছে কিনা সে বিষয়ে আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখছি।
এদিকে গতকাল সংসদে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখে এতো বেশি মানুষের সমাগম হয় যে, আমাদের পুলিশ নিরাপত্তা দিতে হিমশিম খায়। এই সুযোগে তারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে। নারী লাঞ্ছনার ঘটনা অবশ্যই দুঃখজনক। সেদিনের ঘটনা আমরা পুরোপুরি বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণ করেছি। পুলিশের আইজি চিহ্নিত অপরাধীদের ধরার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। যারা অপকর্ম করেছে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সে জন্য সতর্ক করা হয়েছে। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডা. মো. রুস্তম আলী ফরাজীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানবপাচারকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যানুযায়ী ইতিমধ্যে কিছু পাচারকারীকে ধরা হয়েছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত সজাগ দৃষ্টি রেখেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় মানবপাচার অনেক কমেছে। আশাকরি দ্রুত আরও কমে আসবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানবপাচার বন্ধে আইন আছে। সেই আইনে গুরুদণ্ডের ব্যবস্থাও আছে। আইন যথেষ্ট শক্তিশালী। এই আইনের সংশোধনীর প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। মানবপাচার বন্ধে কোস্টগার্ডসহ সকল বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। কক্সবাজার এলাকায় দৃঢ়ভাবে তৎপর আছে। তিনি বলেন, ঈদকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যা যা করণীয় তা করছে। আমাদের আইজির নেতৃত্বে একটি সভা হয়েছে। ঈদে যে সব সমস্যা হয়, তা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে। ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের স্বস্তি দিতে হাইওয়ে পুলিশ, মহানগর পুলিশ কাজ করছে। মহসড়কে যেন যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে না হয় সে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া, ছিনতাই ও মলম পার্টি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। স্বতন্ত্র এমপি হাজী মো. সেলিমের সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। উন্নয়নের সঙ্গে গাড়িও বাড়ছে। তবে যানজট নিয়ন্ত্রণে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। আমাদের ফ্লাইওভার নির্মাণ হচ্ছে। তাছাড়া, গাড়ি নিয়ন্ত্রণেরও নানাবিধ ব্যবস্থা নিয়েছি। গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে একটু খানি হলেও স্বস্তি পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
দুই হাজার ৩৮৫ বাংলাদেশী উদ্ধার
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জানিয়েছেন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ায় আদম পাচারকারীদের খপ্পর থেকে মোট ২ হাজার ৩৮৫ জন বাংলাদেশী নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে থাইল্যান্ড থেকে ১৩৮ জন, মালয়েশিয়া থেকে ৭৩৮ জন, ইন্দোনেশিয়া থেকে ৭৮১ জন এবং মিয়ানমার থেকে ৭২৮ জন। মন্ত্রী আরও বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সব সময়ই বিদেশে উদ্ধারকৃত বাংলাদেশী নাগরিকদের দেশে প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। সামপ্রতিক মানব পাচারের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট দূতাবাস সমন্বয়ের মাধ্যমে উদ্ধারকৃত বাংলাদেশী নাগরিকদের দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সরকারি দলের সদস্য সেলিনা বেগমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মানব পাচারের শিকার বাংলাদেশীদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ৩১৫ জন বাংলাদেশীর প্রত্যাবাসন ইতিমধ্যেই সুসম্পন্ন হয়েছে। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও মিয়ানমারে আমাদের রাষ্ট্রদূতরা সেখানে উদ্ধারকৃত বাংলাদেশী নাগরিকদের পরিচয় নির্ধারণের কাজটি ব্যক্তিগতভাবে তদারক করছেন এবং তাদের মানবিক সাহায্যের বিষয়গুলোতে খোঁজখবর রাখছেন। একইসঙ্গে ভারত মহাসাগর এলাকায় আমাদের আর কোন নাগরিক পাচারকারীদের হাতে ভাসমান বা জিম্মি অবস্থায় আছে কিনা সে বিষয়ে আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখছি।
No comments