সংসদে অনির্ধারিত আলোচনা: ‘একুশের গানের রচয়িতাকে তওবা করতে হবে’
স্বতন্ত্র
সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজী মহান একুশের গানের রচয়িতার বিরুদ্ধে ধর্ম
অবমাননার অভিযোগ তুলেছেন। গতকাল সোমবার সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ
নিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের একটি অনুষ্ঠানে ধর্ম বিষয়ে বিতর্কিত
মন্তব্য করায় তাঁকে তওবা করে আবার মুসলমান হতে হবে।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন চলাকালে এ সময় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।
৩ জুলাই জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনে এক অনুষ্ঠানে একুশের গানের রচয়িতা আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বক্তব্যের বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
রুস্তম আলী বলেন, মহান একুশের গানের রচয়িতার এ বক্তব্যে সরকারের কোনো দায় নেই। এটা সবাই মানবে। কিন্তু তাঁকে তওবা করার জন্য অনুরোধ করতে হবে। সত্যিকার মুসলমান হওয়ার জন্য তাঁকে তওবা করতে হবে।
গাফ্ফার চৌধুরীর এ বক্তব্যে দেশে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বিএনপি এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে। ইসলামী দলগুলো গাফ্ফার চৌধুরীর নাগরিকত্ব বাতিল করে তাঁকে দেশে প্রবেশ করতে না দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
নিউইয়র্ক থেকে ইব্রাহীম চৌধুরী জানান, প্রবীণ সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী বলেছেন, তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। মৌলবাদী এবং জামায়াত চক্র এ নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে।
গত শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ বাংলাদেশ মিশনে বাংলাদেশের অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে দীর্ঘ বক্তব্য দেন গাফ্ফার চৌধুরী। তাঁর বক্তব্যে তিনি ভাষা ও সংস্কৃতির বিবর্তন নিয়ে কথা বলেন। মুসলমান ধর্মের বিভিন্ন নাম এবং পোশাক-পরিচ্ছদে ধর্মীয় সংস্কৃতির প্রভাব, বিবর্তন এবং বিস্তার নিয়ে নিজস্ব অভিমত এবং উদাহরণ তুলে ধরেন। পরদিন সংবাদমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়।
লন্ডনপ্রবাসী সাংবাদিক গাফ্ফার চৌধুরী বর্তমানে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন। গত রোববার তাঁকে নিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থকেরা দুটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেও প্রতিবাদের মুখে বাতিল হয়ে যায়। কুইন্সের তাজমহল পার্টি হলে আলোচনা সভার আয়োজন করা হলেও নিরাপত্তার জন্য বাতিল করা হয়। সন্ধ্যায়ও একটি সভা বাতিল হয়ে যায়। অনুষ্ঠান শুরুর আগেই বিপুলসংখ্যক প্রবাসী জমায়েত হয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।
রোববার রাতে নিউইয়র্কের টাইম টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গাফ্ফার চৌধুরী বলেন, তাঁর বক্তব্য নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে এবং ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। নিজেকে ধর্মপ্রাণ মানুষ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একাডেমিক দিক থেকে তিনি মুসলমানের নাম এবং এর অতীত বাস্তবতা নিয়ে আলোচনা করেছেন, ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু বলেননি।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন চলাকালে এ সময় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।
৩ জুলাই জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনে এক অনুষ্ঠানে একুশের গানের রচয়িতা আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বক্তব্যের বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
রুস্তম আলী বলেন, মহান একুশের গানের রচয়িতার এ বক্তব্যে সরকারের কোনো দায় নেই। এটা সবাই মানবে। কিন্তু তাঁকে তওবা করার জন্য অনুরোধ করতে হবে। সত্যিকার মুসলমান হওয়ার জন্য তাঁকে তওবা করতে হবে।
গাফ্ফার চৌধুরীর এ বক্তব্যে দেশে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বিএনপি এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে। ইসলামী দলগুলো গাফ্ফার চৌধুরীর নাগরিকত্ব বাতিল করে তাঁকে দেশে প্রবেশ করতে না দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
নিউইয়র্ক থেকে ইব্রাহীম চৌধুরী জানান, প্রবীণ সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী বলেছেন, তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। মৌলবাদী এবং জামায়াত চক্র এ নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে।
গত শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ বাংলাদেশ মিশনে বাংলাদেশের অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে দীর্ঘ বক্তব্য দেন গাফ্ফার চৌধুরী। তাঁর বক্তব্যে তিনি ভাষা ও সংস্কৃতির বিবর্তন নিয়ে কথা বলেন। মুসলমান ধর্মের বিভিন্ন নাম এবং পোশাক-পরিচ্ছদে ধর্মীয় সংস্কৃতির প্রভাব, বিবর্তন এবং বিস্তার নিয়ে নিজস্ব অভিমত এবং উদাহরণ তুলে ধরেন। পরদিন সংবাদমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়।
লন্ডনপ্রবাসী সাংবাদিক গাফ্ফার চৌধুরী বর্তমানে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন। গত রোববার তাঁকে নিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থকেরা দুটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেও প্রতিবাদের মুখে বাতিল হয়ে যায়। কুইন্সের তাজমহল পার্টি হলে আলোচনা সভার আয়োজন করা হলেও নিরাপত্তার জন্য বাতিল করা হয়। সন্ধ্যায়ও একটি সভা বাতিল হয়ে যায়। অনুষ্ঠান শুরুর আগেই বিপুলসংখ্যক প্রবাসী জমায়েত হয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।
রোববার রাতে নিউইয়র্কের টাইম টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গাফ্ফার চৌধুরী বলেন, তাঁর বক্তব্য নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে এবং ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। নিজেকে ধর্মপ্রাণ মানুষ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একাডেমিক দিক থেকে তিনি মুসলমানের নাম এবং এর অতীত বাস্তবতা নিয়ে আলোচনা করেছেন, ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু বলেননি।
No comments