ঈদ মৌসুমে ছিনতাই-চাঁদাবাজি: আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও তৎপর হতে হবে
ঈদ উৎসব যতই এগিয়ে আসছে, তার সঙ্গে তাল মেলাতেই যেন বাড়ছে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি। সরাসরি অস্ত্র ঠেকিয়ে তো বটেই, এর বাইরে অভিনব পদ্ধতিতে ছিনতাই-রাহাজানি চলছে। ঈদে বিপুল কেনাকাটার পাশাপাশি যানবাহনে চলাচল অনেক বেড়ে যাওয়ায় সড়ক-মহাসড়ক ও জনপরিসরে নিরাপত্তার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। রাজধানীসহ সারা দেশে তাই পুলিশি টহল ও নজরদারি জোরদার করা দরকার।
সাধারণভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ কর্তৃপক্ষ ‘দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতেই পারে’ বলে দায় সারতে চায়। কিংবা তারা হয়তো বলবে, ‘আমরা তো আর বসে নেই’। তারা হয়তো দণ্ডায়মান আছে, কিন্তু সাধারণ মানুষকে ঘরে-বাইরে নিরাপদ রাখার মতো পরিবেশ বজায় রাখার জন্য আন্তরিকতা প্রয়োজন। এর অর্থ হলো, অপরাধীরা অপরাধ করার আগেই আগাম ব্যবস্থা নিয়ে রাখা। চিহ্নিত সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী নেটওয়ার্ককে কোণঠাসা করতে হলে যে আপসহীনতা দরকার, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে তার ঘাটতি রয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এসব বাহিনীর সদস্যরা যতটা উৎসাহী, জননিরাপত্তার বেলায় সেটি দেখা যায় না। অপরাধীমাত্রই আইনের চোখে শাস্তিযোগ্য, এই দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি বিশ্বস্ত না হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
লক্ষ করা গেছে, যেখানেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ত্বরিত তৎপর হয়েছেন, সেখানেই অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। অথচ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাঁরা আসেন ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর এবং খুব কম ক্ষেত্রেই তাঁদের হাত অপরাধীর নাগাল পায়। তবে এও সত্য যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একার পক্ষেও ছিনতাই, রাহাজানি, ডাকাতি দমন করা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সামাজিক প্রতিরোধও প্রয়োজন। অপরাধ দমনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও ভূমিকা নিতে পারেন। অপরাধীদের প্রতি সব ধরনের রাজনৈতিক প্রশ্রয় বন্ধ করতে হবে। ঈদের আগে সড়ক ও মার্কেটগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।
ঈদ নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে এখনই সচেষ্ট হতে হবে।
সাধারণভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ কর্তৃপক্ষ ‘দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতেই পারে’ বলে দায় সারতে চায়। কিংবা তারা হয়তো বলবে, ‘আমরা তো আর বসে নেই’। তারা হয়তো দণ্ডায়মান আছে, কিন্তু সাধারণ মানুষকে ঘরে-বাইরে নিরাপদ রাখার মতো পরিবেশ বজায় রাখার জন্য আন্তরিকতা প্রয়োজন। এর অর্থ হলো, অপরাধীরা অপরাধ করার আগেই আগাম ব্যবস্থা নিয়ে রাখা। চিহ্নিত সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী নেটওয়ার্ককে কোণঠাসা করতে হলে যে আপসহীনতা দরকার, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে তার ঘাটতি রয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এসব বাহিনীর সদস্যরা যতটা উৎসাহী, জননিরাপত্তার বেলায় সেটি দেখা যায় না। অপরাধীমাত্রই আইনের চোখে শাস্তিযোগ্য, এই দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি বিশ্বস্ত না হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
লক্ষ করা গেছে, যেখানেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ত্বরিত তৎপর হয়েছেন, সেখানেই অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। অথচ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাঁরা আসেন ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর এবং খুব কম ক্ষেত্রেই তাঁদের হাত অপরাধীর নাগাল পায়। তবে এও সত্য যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একার পক্ষেও ছিনতাই, রাহাজানি, ডাকাতি দমন করা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সামাজিক প্রতিরোধও প্রয়োজন। অপরাধ দমনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও ভূমিকা নিতে পারেন। অপরাধীদের প্রতি সব ধরনের রাজনৈতিক প্রশ্রয় বন্ধ করতে হবে। ঈদের আগে সড়ক ও মার্কেটগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।
ঈদ নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে এখনই সচেষ্ট হতে হবে।
No comments