বরিশাল সিটি করপোরেশন: পথচারীদের ফুটপাত ব্যবসায়ীদের দখলে
ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা দখল করে রেখেছেন ফুটপাত ও সড়কের একাংশ। এতে সড়ক সংকীর্ণ হয়ে নগরজুড়ে দেখা দিচ্ছে যানজট। ছবিটি বরিশাল নগরের বিভাগীয় ডাকঘরের সামনে থেকে সম্প্রতি তোলা l প্রথম আলো |
বলতে
গেলে সারা বছরই বিক্ষিপ্তভাবে সড়ক ও ফুটপাত দখল করে চলে বেচাকেনা। কিন্তু
রমজান মাসে সেই তৎপরতা বেড়ে যায় বহুগুণ। বরিশাল নগরের গুরুত্বপূর্ণ
এলাকার সব ফুটপাত ও সড়ক চলে যায় মৌসুমি ব্যবসায়ীদের দখলে।
সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের দাবি, সড়ক ও ফুটপাত দখলের বিরুদ্ধে প্রায়ই অভিযান চালানো হয়। কিন্তু অভিযান শেষে আবার তা দখল হয়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, সদর রোড, ফকিরবাড়ি রোড, জিলা স্কুল, হাসপাতাল রোডসহ বিভিন্ন স্থানে পানির লাইন স্থাপনের জন্য রাস্তা খোঁড়া হয়েছে। এর পাশেই ভ্যানগাড়িতে বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। এসব কারণে ফুটপাত ব্যবহারে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন নাগরিকেরা।
নগরের কাঠপট্টি সড়ক, চকবাজার, ফলপট্টি, জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন ভবন, প্রধান ডাকঘর, নৌবন্দর, পোর্ট রোড, বাজার রোড, স্ব-রোড, নতুন বাজার ও বাংলাবাজার এলাকার ফুটপাতের বেশির ভাগ দখল করে নিয়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। রয়েছে ভ্রাম্যমাণ কাঁচাবাজার ও আম-কাঁঠালের ভ্যান।
নগরবাসীর কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুধু ঈদ মৌসুমে নয়, গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর ফুটপাত সারা বছরই দখলে থাকে। এর বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশন কোনো ব্যবস্থা নেয় না। বাধ্য হয়ে সবাইকে রাস্তার মাঝখান দিয়ে চলতে হয়। চকবাজারে কেনাকাটা করতে আসা আমেনা মৌসুমী বললেন, ‘চকবাজারে যখনই আসবেন, দেখবেন এর ফুটপাত দখল হয়ে আছে। ভাসমান ব্যবসায়ীরা রাস্তার মধ্যে বসে পড়ে।’
হেমায়েতউদ্দিন সড়কে কথা হয় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী সুদীপ কুমার নাথের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রতিদিন এই সড়কে পণ্য নিয়ে বসেন ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা। বারণ করলেও তাঁরা শোনেন না।
জানতে চাইলে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী খান মো. নূরুল ইসলাম বলেন, সারা বছরই ফুটপাত দখলের চেষ্টা থাকে। ঈদের আগে দখল বেড়ে যায়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে প্রায়ই অভিযান চালানো হয়। তবে সকালে অভিযান চালালে বিকেলে আবারও দোকানপাট বসে যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা পরিষদের পুকুর পাড়ের কয়েকজন ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী জানান, সিটি করপোরেশন অভিযানে বের হলে তাঁরা জেলা পরিষদের সামনের সড়কে চলে যান। অভিযান শেষ হলে আবার রাস্তার ওপর চলে আসেন।
সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, নগরের আয়তন ৫৮ বর্গকিলোমিটার। ৩০টি ওয়ার্ডে মোট পাকা সড়ক ২৬৭ কিলোমিটার। এসব সড়কের পাশে ১৮৬ কিলোমিটার পাকা নালা নির্মাণ করা হয়েছে। ওই পাকা নালার মধ্যে প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকা ফুটপাত হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের দাবি, সড়ক ও ফুটপাত দখলের বিরুদ্ধে প্রায়ই অভিযান চালানো হয়। কিন্তু অভিযান শেষে আবার তা দখল হয়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, সদর রোড, ফকিরবাড়ি রোড, জিলা স্কুল, হাসপাতাল রোডসহ বিভিন্ন স্থানে পানির লাইন স্থাপনের জন্য রাস্তা খোঁড়া হয়েছে। এর পাশেই ভ্যানগাড়িতে বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। এসব কারণে ফুটপাত ব্যবহারে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন নাগরিকেরা।
নগরের কাঠপট্টি সড়ক, চকবাজার, ফলপট্টি, জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন ভবন, প্রধান ডাকঘর, নৌবন্দর, পোর্ট রোড, বাজার রোড, স্ব-রোড, নতুন বাজার ও বাংলাবাজার এলাকার ফুটপাতের বেশির ভাগ দখল করে নিয়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। রয়েছে ভ্রাম্যমাণ কাঁচাবাজার ও আম-কাঁঠালের ভ্যান।
নগরবাসীর কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুধু ঈদ মৌসুমে নয়, গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর ফুটপাত সারা বছরই দখলে থাকে। এর বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশন কোনো ব্যবস্থা নেয় না। বাধ্য হয়ে সবাইকে রাস্তার মাঝখান দিয়ে চলতে হয়। চকবাজারে কেনাকাটা করতে আসা আমেনা মৌসুমী বললেন, ‘চকবাজারে যখনই আসবেন, দেখবেন এর ফুটপাত দখল হয়ে আছে। ভাসমান ব্যবসায়ীরা রাস্তার মধ্যে বসে পড়ে।’
হেমায়েতউদ্দিন সড়কে কথা হয় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী সুদীপ কুমার নাথের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রতিদিন এই সড়কে পণ্য নিয়ে বসেন ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা। বারণ করলেও তাঁরা শোনেন না।
জানতে চাইলে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী খান মো. নূরুল ইসলাম বলেন, সারা বছরই ফুটপাত দখলের চেষ্টা থাকে। ঈদের আগে দখল বেড়ে যায়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে প্রায়ই অভিযান চালানো হয়। তবে সকালে অভিযান চালালে বিকেলে আবারও দোকানপাট বসে যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা পরিষদের পুকুর পাড়ের কয়েকজন ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী জানান, সিটি করপোরেশন অভিযানে বের হলে তাঁরা জেলা পরিষদের সামনের সড়কে চলে যান। অভিযান শেষ হলে আবার রাস্তার ওপর চলে আসেন।
সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, নগরের আয়তন ৫৮ বর্গকিলোমিটার। ৩০টি ওয়ার্ডে মোট পাকা সড়ক ২৬৭ কিলোমিটার। এসব সড়কের পাশে ১৮৬ কিলোমিটার পাকা নালা নির্মাণ করা হয়েছে। ওই পাকা নালার মধ্যে প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকা ফুটপাত হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
No comments