‘রাজনীতিবিদদের মতো কথা বলা পুলিশের দায়িত্ব নয়’ -ড. আসাদুজ্জামান রিপন
বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি প্রশ্ন রেখে বলেছে, পুলিশ বাহিনী কী শুধু আওয়ামী
লীগের। পুলিশ বাহিনী তাদের ভাবমূর্তির স্বার্থে সংবেদনশীল এবং সংযম
প্রদর্শন করবেন বলে প্রত্যাশা দলটির। তাছাড়া, রাজনীতিবিদদের মতো কথা বলা
পুলিশের দায়িত্ব নয় বলে মনে করে বিএনপি।
সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন দলটির মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে দায়িত্বশীল বক্তব্য দিতে পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) একে এম শহীদুল হকের দেয়া বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এ কথা বলেন রিপন।
শহিদুল হকের পরামর্শকে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।
শনিবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির এক ইফতার মাহফিলে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে বলেন ‘পুলিশই আমাদের আন্দোলনের সময় পেট্রলবোমা মেরেছে। শুধু বোমা নয়, বাসে আগুনও দিয়েছে তারা।
এর প্রতিবাদ করে রোববার এক অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার বক্তব্যকে ‘দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক। বিএনপি চেয়ারপার্সনকে বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রে আরও দায়িত্বশীল হওয়ারও পরামর্শ দেন পুলিশের আইজি।
পুলিশ প্রধান হিসেবে একজন দায়িত্বশীল নাগরিকের মতো বক্তব্য দিতে শহীদুল হকের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রিপন বলেন, একজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও রাজনৈতিক দলের প্রধানকে লক্ষ্য করে পুলিশ প্রধানের এই ধরনের বক্তব্য শোভন নয়। নাশকতার জন্য বিএনপি প্রধান সব পুলিশকে দায়ী করেননি। তিনি বলেছেন, কিছু কিছু সদস্য এই কাজ করেছে। একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে নিশ্চয়ই এর পক্ষে তার পর্যবেক্ষণ ও প্রমাণ আছে। তার বক্তব্যের বিপরীতে কোনো বক্তব্য থাকলে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে যিনি আছেন বা প্রধানমন্ত্রী বলতে পারতেন। তাহলে বুঝতাম বিষয়টি রাজনৈতিক বাদানুবাদ। কিন্তু আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রধানের দেয়া বক্তব্য দৃষ্টিকটু।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রধানকে এই ধরনের রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থেকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়ে রিপন বলেন, এ কথা বলে তিনি কি ইঙ্গিত করেছেন জানি না। তবে আমাদের দলের অবস্থান হচ্ছে, আন্দোলনের সময়ে সৃষ্ট নাশকতার সঙ্গে বিএনপির কোনো নেতাকর্মীর সংশ্লিষ্টতা নেই। এটি বিএনপি প্রধান অনেক আগেই স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন।
রিপন বলেন, পুলিশ প্রধানের কাছ থেকে যখন এই ধরনের বক্তব্য আসে, তখন স্বাভাবিকভাবে তদন্ত প্রক্রিয়া প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। বাহিনীর অন্য সদস্যরা প্রধানের মনোভাবে প্রভাবিত হয়ে চাকরি বাঁচানোর স্বার্থে তাদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন কঠিন হয়ে পড়ে।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আমরা প্রত্যাশা করি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রধানের দায়িত্বে যারা আছেন, তাদের রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে কথা বলা উচিত নয়। এতে বাহিনীর অধস্তনরা ওই দলের প্রতি আরও বিরূপ মনোভাবাপন্ন হয়। তখন গণতান্ত্রিক স্পেস তো দূরের কথা, লাইফ স্পেসও সংকটাপন্ন হয়ে যায়। আমরা আতঙ্কিত হয়ে যাই।
সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন দলটির মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে দায়িত্বশীল বক্তব্য দিতে পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) একে এম শহীদুল হকের দেয়া বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এ কথা বলেন রিপন।
শহিদুল হকের পরামর্শকে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।
শনিবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির এক ইফতার মাহফিলে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে বলেন ‘পুলিশই আমাদের আন্দোলনের সময় পেট্রলবোমা মেরেছে। শুধু বোমা নয়, বাসে আগুনও দিয়েছে তারা।
এর প্রতিবাদ করে রোববার এক অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার বক্তব্যকে ‘দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক। বিএনপি চেয়ারপার্সনকে বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রে আরও দায়িত্বশীল হওয়ারও পরামর্শ দেন পুলিশের আইজি।
পুলিশ প্রধান হিসেবে একজন দায়িত্বশীল নাগরিকের মতো বক্তব্য দিতে শহীদুল হকের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রিপন বলেন, একজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও রাজনৈতিক দলের প্রধানকে লক্ষ্য করে পুলিশ প্রধানের এই ধরনের বক্তব্য শোভন নয়। নাশকতার জন্য বিএনপি প্রধান সব পুলিশকে দায়ী করেননি। তিনি বলেছেন, কিছু কিছু সদস্য এই কাজ করেছে। একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে নিশ্চয়ই এর পক্ষে তার পর্যবেক্ষণ ও প্রমাণ আছে। তার বক্তব্যের বিপরীতে কোনো বক্তব্য থাকলে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে যিনি আছেন বা প্রধানমন্ত্রী বলতে পারতেন। তাহলে বুঝতাম বিষয়টি রাজনৈতিক বাদানুবাদ। কিন্তু আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রধানের দেয়া বক্তব্য দৃষ্টিকটু।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রধানকে এই ধরনের রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থেকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়ে রিপন বলেন, এ কথা বলে তিনি কি ইঙ্গিত করেছেন জানি না। তবে আমাদের দলের অবস্থান হচ্ছে, আন্দোলনের সময়ে সৃষ্ট নাশকতার সঙ্গে বিএনপির কোনো নেতাকর্মীর সংশ্লিষ্টতা নেই। এটি বিএনপি প্রধান অনেক আগেই স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন।
রিপন বলেন, পুলিশ প্রধানের কাছ থেকে যখন এই ধরনের বক্তব্য আসে, তখন স্বাভাবিকভাবে তদন্ত প্রক্রিয়া প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। বাহিনীর অন্য সদস্যরা প্রধানের মনোভাবে প্রভাবিত হয়ে চাকরি বাঁচানোর স্বার্থে তাদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন কঠিন হয়ে পড়ে।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আমরা প্রত্যাশা করি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রধানের দায়িত্বে যারা আছেন, তাদের রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে কথা বলা উচিত নয়। এতে বাহিনীর অধস্তনরা ওই দলের প্রতি আরও বিরূপ মনোভাবাপন্ন হয়। তখন গণতান্ত্রিক স্পেস তো দূরের কথা, লাইফ স্পেসও সংকটাপন্ন হয়ে যায়। আমরা আতঙ্কিত হয়ে যাই।
No comments