ছাত্রলীগের গাড়ি ভাঙচুর: রেস্তোরাঁয় ‘ফাউ’ খেতে গিয়ে পিটুনি
‘ফাউ’ খেতে গিয়ে গতকাল মারধরের শিকার হন তিতুমীর কলেজের ছাত্রলীগের দুই কর্মী। এর জের ধরে তাঁদের তাণ্ডব প্রতিরোধে রাস্তায় নামেন ব্যবসায়ীরা। কলেজের সামনে পুলিশি পাহারা (ইনসেটে) l ছবি: প্রথম আলো |
রেস্তোরাঁয়
‘ফাউ’ খেয়ে মারধরের শিকার হওয়ার পর তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের
নেতা-কর্মীরা রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। ভাঙচুরের প্রতিবাদে স্থানীয়
হকার ও দোকানিরাও রাস্তায় নামেন। গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে এ
ঘটনায় দেখা দেয় যানজট।
কলেজের পাশে একটি ভবনে লাগানো নিরাপত্তা ক্যামেরায় ধরা পড়ে ভাঙচুরের কিছু দৃশ্য। এতে দেখা গেছে, মহাখালীর তিতুমীর কলেজের ফটক দিয়ে মিছিল নিয়ে ৪০-৫০ জন তরুণ লাঠিসোঁটা হাতে হুড়মুড় করে রাস্তায় নেমে এলেন। এসেই তাঁরা রাস্তার পাশে থাকা দুটি প্রাইভেট কারে লাঠির আঘাত করা শুরু করলেন। ভেঙে ফেলা হলো গাড়ি দুটির সব কাচ। একটি গাড়ির চালককেও গাড়ি থেকে নামানোর জন্য টানাটানি করেন তাঁরা। পথচলতি কয়েকজনকে মারতেও উদ্যত হয় তরুণের দল।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, গতকাল দুপুরে কলেজের কাছে বৈশাখী রেস্তোরাঁয় খেতে যান সানি ও সোহাগ নামের তিতুমীর কলেজের ছাত্রলীগের দুই কর্মী। খাওয়া শেষে বিল নিয়ে রেস্তোরাঁর লোকজনের সঙ্গে তাঁদের বিবাদ শুরু হয়। এ সময় শ্রমিক লীগের স্থানীয় এক নেতার কয়েকজন অনুসারীও রেস্তোরাঁয় ছিলেন। বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে শ্রমিক লীগের নেতার অনুসারীরা ছাত্রলীগের দুজনকে মারধর শুরু করেন, অন্যরাও যোগ দেন। পরে এ দুজন কলেজে চলে যান।
রেস্তোরাঁর এক কর্মীর অভিযোগ, কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীরা প্রায়ই খেয়ে বিল না দিয়ে চলে যান। গতকাল সোহাগ ও সানি দুপুরে খেয়ে বিল না দিয়ে চলে যেতে উদ্যত হন। বিল চাইলে তাঁরা উল্টো শাসান, রেস্তোরাঁর কর্মীদের মারধর ও ভাঙচুরেরও হুমকি দেন। বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে তাঁদের মারধর করা হয় বলে স্বীকার করেন রেস্তোরাঁর ওই কর্মী।
এর জের ধরে দুপুরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মহাখালীর আমতলী থেকে গুলশান-১ নম্বর পর্যন্ত সড়কটিতে পথচলতি ও পার্ক করে রাখা যানবাহনগুলোতে এলোপাতাড়ি ভাঙচুর চালান। তাঁরা অন্তত ২০টি যানবাহন ভাঙচুর করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। পরে পুলিশ এসে লাঠিপেটা করে এবং রাবার বুলেট ছুড়ে তাঁদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। এরপর আবার স্থানীয় শ্রমিক লীগের এক নেতার অনুসারী লোকজন রাস্তায় নামেন। পুলিশ তাঁদেরও সরিয়ে দেয়। প্রায় আধা ঘণ্টা ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। আশপাশের এলাকায় সৃষ্টি হয় যানজট। সন্ধ্যায়ও রাস্তাটিতে প্রচুর কাচ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মিরাজুল ইসলাম পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, কলেজের বাইরের কিছু বখাটে ক্যাম্পাসের বাইরে সব সময় ছাত্রদের নানাভাবে নিপীড়ন করে। ছাত্রদের মারধর করে পকেটের টাকাপয়সা রেখে দেয়। গতকালও কয়েকজন সানি-সোহাগকে মারধর করে, টাকা কেড়ে নেয়। ছাত্ররা সেটার প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নেমেছিলেন। এর জন্য মহানগর শ্রমিক লীগের নেতা দেলোয়ার হোসেনের অনুসারীদের দায়ী করেন মিরাজুল।
এ ব্যাপারে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও দেলোয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। জানতে চাইলে পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মোশতাক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, তিতুমীরের দুই ছাত্র একটি রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে তাঁদের মধ্যে সমস্যা হয়। এরপর তিতুমীরের ছেলেরা ক্ষোভে রাস্তায় নামেন। তাঁদের বুঝিয়ে কলেজের ভেতরে ঢোকানোর পরে আবার স্থানীয়রা রাস্তায় বিক্ষোভ করেন। পরে তাঁদেরও রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় স্থানীয় দুটি ছেলে কলেজের ভেতরে ঢুকলে তাঁদের মারধর করেন ছাত্ররা।
কলেজের পাশে একটি ভবনে লাগানো নিরাপত্তা ক্যামেরায় ধরা পড়ে ভাঙচুরের কিছু দৃশ্য। এতে দেখা গেছে, মহাখালীর তিতুমীর কলেজের ফটক দিয়ে মিছিল নিয়ে ৪০-৫০ জন তরুণ লাঠিসোঁটা হাতে হুড়মুড় করে রাস্তায় নেমে এলেন। এসেই তাঁরা রাস্তার পাশে থাকা দুটি প্রাইভেট কারে লাঠির আঘাত করা শুরু করলেন। ভেঙে ফেলা হলো গাড়ি দুটির সব কাচ। একটি গাড়ির চালককেও গাড়ি থেকে নামানোর জন্য টানাটানি করেন তাঁরা। পথচলতি কয়েকজনকে মারতেও উদ্যত হয় তরুণের দল।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, গতকাল দুপুরে কলেজের কাছে বৈশাখী রেস্তোরাঁয় খেতে যান সানি ও সোহাগ নামের তিতুমীর কলেজের ছাত্রলীগের দুই কর্মী। খাওয়া শেষে বিল নিয়ে রেস্তোরাঁর লোকজনের সঙ্গে তাঁদের বিবাদ শুরু হয়। এ সময় শ্রমিক লীগের স্থানীয় এক নেতার কয়েকজন অনুসারীও রেস্তোরাঁয় ছিলেন। বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে শ্রমিক লীগের নেতার অনুসারীরা ছাত্রলীগের দুজনকে মারধর শুরু করেন, অন্যরাও যোগ দেন। পরে এ দুজন কলেজে চলে যান।
রেস্তোরাঁর এক কর্মীর অভিযোগ, কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীরা প্রায়ই খেয়ে বিল না দিয়ে চলে যান। গতকাল সোহাগ ও সানি দুপুরে খেয়ে বিল না দিয়ে চলে যেতে উদ্যত হন। বিল চাইলে তাঁরা উল্টো শাসান, রেস্তোরাঁর কর্মীদের মারধর ও ভাঙচুরেরও হুমকি দেন। বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে তাঁদের মারধর করা হয় বলে স্বীকার করেন রেস্তোরাঁর ওই কর্মী।
এর জের ধরে দুপুরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মহাখালীর আমতলী থেকে গুলশান-১ নম্বর পর্যন্ত সড়কটিতে পথচলতি ও পার্ক করে রাখা যানবাহনগুলোতে এলোপাতাড়ি ভাঙচুর চালান। তাঁরা অন্তত ২০টি যানবাহন ভাঙচুর করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। পরে পুলিশ এসে লাঠিপেটা করে এবং রাবার বুলেট ছুড়ে তাঁদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। এরপর আবার স্থানীয় শ্রমিক লীগের এক নেতার অনুসারী লোকজন রাস্তায় নামেন। পুলিশ তাঁদেরও সরিয়ে দেয়। প্রায় আধা ঘণ্টা ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। আশপাশের এলাকায় সৃষ্টি হয় যানজট। সন্ধ্যায়ও রাস্তাটিতে প্রচুর কাচ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মিরাজুল ইসলাম পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, কলেজের বাইরের কিছু বখাটে ক্যাম্পাসের বাইরে সব সময় ছাত্রদের নানাভাবে নিপীড়ন করে। ছাত্রদের মারধর করে পকেটের টাকাপয়সা রেখে দেয়। গতকালও কয়েকজন সানি-সোহাগকে মারধর করে, টাকা কেড়ে নেয়। ছাত্ররা সেটার প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নেমেছিলেন। এর জন্য মহানগর শ্রমিক লীগের নেতা দেলোয়ার হোসেনের অনুসারীদের দায়ী করেন মিরাজুল।
এ ব্যাপারে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও দেলোয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। জানতে চাইলে পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মোশতাক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, তিতুমীরের দুই ছাত্র একটি রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে তাঁদের মধ্যে সমস্যা হয়। এরপর তিতুমীরের ছেলেরা ক্ষোভে রাস্তায় নামেন। তাঁদের বুঝিয়ে কলেজের ভেতরে ঢোকানোর পরে আবার স্থানীয়রা রাস্তায় বিক্ষোভ করেন। পরে তাঁদেরও রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় স্থানীয় দুটি ছেলে কলেজের ভেতরে ঢুকলে তাঁদের মারধর করেন ছাত্ররা।
No comments