ময়মনসিংহের আ.লীগ রাজনীতি: মতিউরের আধিপত্য থেকে মুক্তি চান তরুণেরা by তানভীর সোহেল ও কামরান পারভেজ
দীর্ঘদিন ধরে ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান। তিনি ১৮ বছর ধরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে আছেন। দলে নতুন কোনো নেতৃত্ব গড়ে উঠতে পারেনি। এখন এই একক আধিপত্য থেকে মুক্তি চান তরুণ নেতারা। এ লক্ষ্যে ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র মো. ইকরামুল হককে সামনে রেখে এখানকার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ শুরু হয়েছে বলে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
দলীয় সূত্রগুলো বলছে, মতিউর রহমান বয়সের ভারে ও অসুস্থতার কারণে দৌড়ঝাঁপ করতে পারেন না। ২০০৯ সালে দল ক্ষমতায় আসার পর তাঁর ছেলে মোহীত উর রহমান বাবার হয়ে সব কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকারি উন্নয়নকাজের দরপত্র, বালুমহাল নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কারণে বিতর্কিত এই ছেলেকেই রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্টা করছেন মতিউর রহমান। এ অবস্থায় নেতৃত্বে পরিবর্তনপ্রত্যাশী অংশ, বিশেষ করে তরুণেরা পৌর মেয়র ইকরামুলের নেতৃত্বে সংগঠিত হচ্ছেন। এই অংশে আছেন ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. জহিরুল হক, জেলা সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন সরকার, যুগ্ম সম্পাদক এহতেশামুল আলমসহ ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের অনেকে।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সরকারি আনন্দ মোহন কলেজের সাবেক ভিপি মোয়াজ্জেম হোসেনের মতে, পুরোনো ও অকার্যকর নেতৃত্বের কারণে এখানে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম শিথিল হয়ে পড়েছে। এ কারণে ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা নতুন ও কার্যকর নেতৃত্বের জন্য আলাদা বলয়ে যুক্ত হয়েছেন।
দলীয় সূত্রগুলো জানায়, ১১ বছর আগে ২০০৪ সালে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পরপর সম্মেলন হওয়ার কথা। এ হিসাবে বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে তিন বছর আগে। চলতি বছর নতুন সম্মেলন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বয়সের কারণে মতিউর রহমান জেলার সভাপতি পদে থাকবেন না—এমন আলোচনা চলছে। তবে ধর্মমন্ত্রী জেলার নেতৃত্বে তাঁর ছেলে মোহীত উর রহমানকে আনার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করছেন। মোহীত বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও পাঠচক্রবিষয়ক সম্পাদক।
মোহীত উর রহমান দলে নিজের অবস্থান শক্ত করার জন্য ছাত্রলীগের একটা অংশ নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজনে যুক্ত থাকছেন। অন্যদিকে ইকরামুল হকও ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের নিয়ে ছাত্রলীগের একাংশের ওপরও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছেন। ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে দুজনই এখন ছাত্রলীগকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সচেষ্ট।
মোহীত উর রহমান প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, ‘দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের রাজনীতি করার পর যোগ্যতা দিয়ে এবং ভোটের মাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগে পদ পেয়েছি। রাজনৈতিকভাবে ইকরামুল হকের সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। তবে জেলা আওয়ামী লীগের মূলধারার রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—ছাত্রলীগের এমন কয়েকজন সাবেক নেতা ইকরামুল হককে নিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে মেরুকরণের চেষ্টা করছেন।’
জানতে চাইলে মেয়র ইকরামুল হক বলেন, রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকবে। সেই প্রতিযোগিতার জন্য নিজস্ব বলয়ও তৈরি করতে হয়। জ্যেষ্ঠ নেতারা স্বীকার না করলেও সবাই জানেন, ময়মনসিংহের আওয়ামী লীগ এখন স্পষ্টতই দুটি বলয়ে বিভক্ত। আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে কার্যকর করার ও নতুন নেতৃত্ব বিকাশের স্বার্থে তাঁরা কাজ করছেন।
দলীয় সূত্রগুলো বলছে, মতিউর রহমান বয়সের ভারে ও অসুস্থতার কারণে দৌড়ঝাঁপ করতে পারেন না। ২০০৯ সালে দল ক্ষমতায় আসার পর তাঁর ছেলে মোহীত উর রহমান বাবার হয়ে সব কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকারি উন্নয়নকাজের দরপত্র, বালুমহাল নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কারণে বিতর্কিত এই ছেলেকেই রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্টা করছেন মতিউর রহমান। এ অবস্থায় নেতৃত্বে পরিবর্তনপ্রত্যাশী অংশ, বিশেষ করে তরুণেরা পৌর মেয়র ইকরামুলের নেতৃত্বে সংগঠিত হচ্ছেন। এই অংশে আছেন ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. জহিরুল হক, জেলা সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন সরকার, যুগ্ম সম্পাদক এহতেশামুল আলমসহ ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের অনেকে।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সরকারি আনন্দ মোহন কলেজের সাবেক ভিপি মোয়াজ্জেম হোসেনের মতে, পুরোনো ও অকার্যকর নেতৃত্বের কারণে এখানে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম শিথিল হয়ে পড়েছে। এ কারণে ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা নতুন ও কার্যকর নেতৃত্বের জন্য আলাদা বলয়ে যুক্ত হয়েছেন।
দলীয় সূত্রগুলো জানায়, ১১ বছর আগে ২০০৪ সালে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পরপর সম্মেলন হওয়ার কথা। এ হিসাবে বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে তিন বছর আগে। চলতি বছর নতুন সম্মেলন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বয়সের কারণে মতিউর রহমান জেলার সভাপতি পদে থাকবেন না—এমন আলোচনা চলছে। তবে ধর্মমন্ত্রী জেলার নেতৃত্বে তাঁর ছেলে মোহীত উর রহমানকে আনার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করছেন। মোহীত বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও পাঠচক্রবিষয়ক সম্পাদক।
মোহীত উর রহমান দলে নিজের অবস্থান শক্ত করার জন্য ছাত্রলীগের একটা অংশ নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজনে যুক্ত থাকছেন। অন্যদিকে ইকরামুল হকও ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের নিয়ে ছাত্রলীগের একাংশের ওপরও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছেন। ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে দুজনই এখন ছাত্রলীগকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সচেষ্ট।
মোহীত উর রহমান প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, ‘দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের রাজনীতি করার পর যোগ্যতা দিয়ে এবং ভোটের মাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগে পদ পেয়েছি। রাজনৈতিকভাবে ইকরামুল হকের সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। তবে জেলা আওয়ামী লীগের মূলধারার রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—ছাত্রলীগের এমন কয়েকজন সাবেক নেতা ইকরামুল হককে নিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে মেরুকরণের চেষ্টা করছেন।’
জানতে চাইলে মেয়র ইকরামুল হক বলেন, রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকবে। সেই প্রতিযোগিতার জন্য নিজস্ব বলয়ও তৈরি করতে হয়। জ্যেষ্ঠ নেতারা স্বীকার না করলেও সবাই জানেন, ময়মনসিংহের আওয়ামী লীগ এখন স্পষ্টতই দুটি বলয়ে বিভক্ত। আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে কার্যকর করার ও নতুন নেতৃত্ব বিকাশের স্বার্থে তাঁরা কাজ করছেন।
No comments