তিউনিসিয়া ‘যুদ্ধাবস্থায়’ আছে: প্রেসিডেন্ট
তিউনিসিয়ার
প্রেসিডেন্ট বেজি কায়েদ এসেবসি বলেছেন, তাঁর দেশ এখন যুদ্ধাবস্থায়
রয়েছে। গত সপ্তাহে একটি সমুদ্রসৈকতে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাপটে গত শনিবার
দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। এরপরও ওই দিনই জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক
ভাষণে ওই মন্তব্য করেন প্রেসিডেন্ট এসেবসি। খবর এএফপি ও আল-জাজিরার।
গত এপ্রিলে রাজধানী তিউনিসের একটি জাদুঘরে হামলা চালিয়ে ২২ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। তিন মাসের মাথায় গত ২৬ জুন দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সুসের সমুদ্রসৈকতে এক বন্দুকধারীর হামলায় বিদেশি পর্যটকসহ ৩৮ জন নিহত হয়। সবে ২০১১ সালে গণতন্ত্রে পা রাখা দেশটির ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার ঘটনা, যার দায় স্বীকার করে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
সুসে হামলায় ত্বরিত ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ আছে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে। এমন প্রেক্ষাপটে জরুরি অবস্থা জারি হওয়ায় নিরাপত্তা বাহিনী অস্থায়ী সময়ের জন্য বাড়তি ক্ষমতা পাচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট এসেবসির কার্যালয় শনিবার প্রথমে একটি বিবৃতি দিয়ে জরুরি অবস্থা জারির বিষয়টি ঘোষণা করে। পরে এ বিষয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন এসেবসি। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি, আঞ্চলিক প্রেক্ষাপট ও সন্ত্রাসবাদের বিস্তারের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমরা জরুরি অবস্থা জারি করেছি। আমরা যে অব্যাহত হুমকির মুখোমুখি হচ্ছি, তা আমাদের দেশকে একটি যুদ্ধাবস্থায় নিয়ে গেছে। এমন অবস্থায় আমাদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থাকেই ব্যবহার করতে হবে।’
সর্বশেষ ২০১১ সালে তিউনিসিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। ওই সময় গণ-আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত হন দীর্ঘদিনের শাসক প্রেসিডেন্ট জয়েন আল আবেদিন বেন আলী। তাঁর পতনের পর দেশটিতে গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়। ওই জরুরি অবস্থা গত বছরের মার্চ মাসে তুলে নেওয়া হয়।
এদিকে সুসে সৈকতে হামলায় ব্যর্থতার জের ধরে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন সুসে এলাকার গভর্নরও। তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী হাবিব এসিদের একজন উপদেষ্টা এ কথা জানিয়েছেন। এসিদের যোগাযোগবিষয়ক উপদেষ্টা দাফার নেইজি বলেন, ‘এই ঘটনায় যেমন নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যর্থতা ছিল, তেমনি রাজনৈতিক ব্যর্থতাও রয়েছে।’
মূলত ২০১১ সালের বিপ্লবে প্রেসিডেন্ট বেন আলীর পতনের পর থেকেই তিউনিসিয়ায় বিক্ষিপ্তভাবে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটছে। আর সাম্প্রতিক সময়ে ওই অঞ্চলের দেশগুলোতে সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে আরও বেশি ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশ লিবিয়ার সংঘাতের ঢেউ লাগছে তিউনিসিয়ায়ও।
গত এপ্রিলে রাজধানী তিউনিসের একটি জাদুঘরে হামলা চালিয়ে ২২ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। তিন মাসের মাথায় গত ২৬ জুন দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সুসের সমুদ্রসৈকতে এক বন্দুকধারীর হামলায় বিদেশি পর্যটকসহ ৩৮ জন নিহত হয়। সবে ২০১১ সালে গণতন্ত্রে পা রাখা দেশটির ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার ঘটনা, যার দায় স্বীকার করে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
সুসে হামলায় ত্বরিত ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ আছে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে। এমন প্রেক্ষাপটে জরুরি অবস্থা জারি হওয়ায় নিরাপত্তা বাহিনী অস্থায়ী সময়ের জন্য বাড়তি ক্ষমতা পাচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট এসেবসির কার্যালয় শনিবার প্রথমে একটি বিবৃতি দিয়ে জরুরি অবস্থা জারির বিষয়টি ঘোষণা করে। পরে এ বিষয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন এসেবসি। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি, আঞ্চলিক প্রেক্ষাপট ও সন্ত্রাসবাদের বিস্তারের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমরা জরুরি অবস্থা জারি করেছি। আমরা যে অব্যাহত হুমকির মুখোমুখি হচ্ছি, তা আমাদের দেশকে একটি যুদ্ধাবস্থায় নিয়ে গেছে। এমন অবস্থায় আমাদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থাকেই ব্যবহার করতে হবে।’
সর্বশেষ ২০১১ সালে তিউনিসিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। ওই সময় গণ-আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত হন দীর্ঘদিনের শাসক প্রেসিডেন্ট জয়েন আল আবেদিন বেন আলী। তাঁর পতনের পর দেশটিতে গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়। ওই জরুরি অবস্থা গত বছরের মার্চ মাসে তুলে নেওয়া হয়।
এদিকে সুসে সৈকতে হামলায় ব্যর্থতার জের ধরে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন সুসে এলাকার গভর্নরও। তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী হাবিব এসিদের একজন উপদেষ্টা এ কথা জানিয়েছেন। এসিদের যোগাযোগবিষয়ক উপদেষ্টা দাফার নেইজি বলেন, ‘এই ঘটনায় যেমন নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যর্থতা ছিল, তেমনি রাজনৈতিক ব্যর্থতাও রয়েছে।’
মূলত ২০১১ সালের বিপ্লবে প্রেসিডেন্ট বেন আলীর পতনের পর থেকেই তিউনিসিয়ায় বিক্ষিপ্তভাবে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটছে। আর সাম্প্রতিক সময়ে ওই অঞ্চলের দেশগুলোতে সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে আরও বেশি ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশ লিবিয়ার সংঘাতের ঢেউ লাগছে তিউনিসিয়ায়ও।
No comments