মামলা থেকে বাঁচতে আওয়ামী লীগে: তাহলে আইনের শাসন কোথায়?
গত বৃহস্পতিবার রাজশাহীর চারঘাটে বেশ ঘটা করে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের এক স্থানীয় নেতা। রাজনীতিতে দলবদল ঘটতেই পারে। কিন্তু ভোটকেন্দ্র পোড়ানোর মতো ফৌজদারি মামলার আসামি যখন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে ক্ষমতাসীন দলে যোগ দেন, তখন এর কারণটি বুঝতে অসুবিধা হয় না। ৫ জানুয়ারির যে নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়, সেই নির্বাচন ভন্ডুল করতে যিনি ভোটকেন্দ্রে আগুন দিয়েছিলেন বলে অভিযুক্ত, তাঁকে দলটি গ্রহণ করে কীভাবে?
শালুয়া ইউনিয়ন কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোখলেছুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেও গ্রেপ্তার হননি। প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে সরকারের একজন প্রতিমন্ত্রী আইনের চোখে পলাতক এই ব্যক্তিকে কীভাবে ফুল দিয়ে বরণ করে
দলে টেনে নিলেন, সেই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। প্রতিমন্ত্রী যেখানে গেছেন সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও ছিলেন। তাঁরা কেন তাঁকে ধরতে পারেননি, সেটা বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়। আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া মানে যেন আইনের ঊর্ধ্বে উঠে যাওয়া।
মোখলেছুর রহমান স্বীকার করেছেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা তাঁর বিরুদ্ধে যেসব মামলা রয়েছে, তা প্রত্যাহারের বিষয়টি ‘দেখবেন’ বলে আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু আইন নিজের মতো চললে কোনো মামলা ‘দেখার’ ক্ষমতা কোনো আওয়ামী লীগ নেতার থাকার কথা নয়। আওয়ামী লীগ তো তাহলে আইনের নিয়ন্ত্রক হয়েও দাঁড়িয়েছে!
রাজশাহীতে এই যোগদানের নাটক এমন সময়ে ঘটেছে যখন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ অনেক কেন্দ্রীয় নেতা জামিনের জন্য নানা আইনি লড়াই করে যাচ্ছেন। কিন্তু জেলখানা থেকে বের হতে পারছেন না। নতুন নতুন মামলা দিয়ে তাঁদের আটক করা হচ্ছে। রাজনৈতিক কারণে আমরা গয়রহ মামলা ও গ্রেপ্তার–বাণিজ্য দেখে আসছি। এখন রাজনৈতিক কারণে সেই মামলার আসামিকে সাদরে দলে নেওয়ার মহড়াও প্রত্যক্ষ করলাম। তাহলে আইনের শাসন কোথায়?
এসব প্রশ্নের কোনো জবাব সরকারি দলের পক্ষ থেকে মিলবে তো?
শালুয়া ইউনিয়ন কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোখলেছুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেও গ্রেপ্তার হননি। প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে সরকারের একজন প্রতিমন্ত্রী আইনের চোখে পলাতক এই ব্যক্তিকে কীভাবে ফুল দিয়ে বরণ করে
দলে টেনে নিলেন, সেই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। প্রতিমন্ত্রী যেখানে গেছেন সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও ছিলেন। তাঁরা কেন তাঁকে ধরতে পারেননি, সেটা বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়। আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া মানে যেন আইনের ঊর্ধ্বে উঠে যাওয়া।
মোখলেছুর রহমান স্বীকার করেছেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা তাঁর বিরুদ্ধে যেসব মামলা রয়েছে, তা প্রত্যাহারের বিষয়টি ‘দেখবেন’ বলে আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু আইন নিজের মতো চললে কোনো মামলা ‘দেখার’ ক্ষমতা কোনো আওয়ামী লীগ নেতার থাকার কথা নয়। আওয়ামী লীগ তো তাহলে আইনের নিয়ন্ত্রক হয়েও দাঁড়িয়েছে!
রাজশাহীতে এই যোগদানের নাটক এমন সময়ে ঘটেছে যখন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ অনেক কেন্দ্রীয় নেতা জামিনের জন্য নানা আইনি লড়াই করে যাচ্ছেন। কিন্তু জেলখানা থেকে বের হতে পারছেন না। নতুন নতুন মামলা দিয়ে তাঁদের আটক করা হচ্ছে। রাজনৈতিক কারণে আমরা গয়রহ মামলা ও গ্রেপ্তার–বাণিজ্য দেখে আসছি। এখন রাজনৈতিক কারণে সেই মামলার আসামিকে সাদরে দলে নেওয়ার মহড়াও প্রত্যক্ষ করলাম। তাহলে আইনের শাসন কোথায়?
এসব প্রশ্নের কোনো জবাব সরকারি দলের পক্ষ থেকে মিলবে তো?
No comments