‘বিচারের নামে তামাশা করেছে বিএসএফ’
বিচারের
নামে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ তামাশা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন
ফেলানির বাবা নুরুল ইসলাম। ফেলানি হত্যা মামলায় বিএসএফের হাবিলদার অমিয়
ঘোষকে দেয়া খালাসের রায়ের এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, মেয়ে হত্যার
ন্যায্য বিচার পায়নি। আমি দুই দফা সাক্ষ্য দিলাম। অমিয় ঘোষের ফাঁসি হওয়া
উচিৎ ছিল। তা না করে ভারত সরকার বিচারের নামে তামাশা করেছে আমাদের সঙ্গে।
ন্যায় বিচারের জন্য এই রায়ের বিরুদ্ধে আবার আবেদন করবেন বলে জানান তিনি। এর
আগে ফেলানি খাতুন হত্যা মামলায় বিএসএফের নিজস্ব আদালত জেনারেল সিকিউরিটি
ফোর্সেস কোর্ট বা জি এস এফ সি প্রথমে যে রায় দিয়েছিল অমিয় ঘোষকে নির্দোষ
বলে, পুনর্বিবেচনার পরেও সেই রায়ই বহাল রেখেছে তারা। বাহিনীর একাধিক সূত্র
এই তথ্য নিশ্চিত করেছে, তবে বি এস এফ আনুষ্ঠানিকভাবে রায়ের কথা ঘোষণা করে
নি। ২০১১ সালের ৭ই জানুয়ারি কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে ফেলানিকে (১৫)
গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের এক
সদস্য। ফেলানীর বাবা নাগেশ্বরী উপজেলার দক্ষিণ রামখানা ইউনিয়নের বানার ভিটা
গ্রামের নুরুল ইসলাম ১০ বছর ধরে দিল্লিতে কাজ করতেন। তার সঙ্গে সেখানেই
থাকতো ফেলানি। দেশে বিয়ে ঠিক হওয়ায় বাবার সঙ্গে ফেরার পথে সীমান্ত পার
হওয়ার সময় কাঁটাতারের বেড়ায় কাপড় আটকে যায় ফেলানির। এতে ভয়ে সে চিৎকার
দিলে বিএসএফ তাকে গুলি করে হত্যা করে এবং পরে লাশ নিয়ে যায়।
No comments