বন্যার পানি নেমেছে, ভেসে উঠেছে ভাঙা সড়ক by আব্দুল কুদ্দুস
দ্বিখণ্ডিত কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বাঘগুজারা সড়ক |
বন্যার পানি নেমে যেতেই ধীরে ধীরে ভেসে
উঠছে ভাঙা সড়ক। কক্সবাজারে আটটি উপজেলার বন্যাকবলিত এলাকার প্রায় সব সড়কই
ভেঙে গেছে। এ কারণে ব্যাহত হচ্ছে যানবাহন চলাচল। এতে ওই সব এলাকার পাঁচ
লাখের বেশি মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
গত ২১ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত চলা ছয় দিনের টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে সৃষ্ট বন্যায় জেলার কক্সবাজার পৌরসভা, টেকনাফ, রামু, চকরিয়া ও পেকুয়ার প্রায় দুই শতাধিক সড়ক ভেঙে গেছে। এর মধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের তালিকায় মধ্যে আছে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাহ ইউপি কার্যালয় সংলগ্ন সড়ক, মেহেরঘোনা ফরেস্ট অফিস সড়ক, ঈদগাহ-ঈদগড় সড়ক, পানেরছড়া-ভারুয়াখালী ডিসি সড়ক, পিএমখালী-গোমাতলী সড়ক ও নাপিতখালী-চৌফলদণ্ডি সড়ক। রামু উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো হলো—রামু-ফকিরা বাজার সড়ক, ফকিরাবাজার-তেমহিনি-জাদিমুড়া সড়ক, চাইন্দা-রাজারকুল সড়ক, পানেরছড়া সড়ক, কলঘর বাজার- রাজারকুল সড়ক, গর্জনিয়া বাজার-বেলতলী সড়ক ও গর্জনিয়া ইউপি অফিস-থিমছড়ী-বাইসারী সড়ক। চকরিয়া উপজেলার চিরিংগা রাবার ড্যাম সড়ক, চরনদ্বীপ-সগিরশাহকাটা মালুমঘাট সড়ক, কাকারা-মাঝেরফাড়ি সড়ক ও ফাসিয়াখালী ইউপি অফিস-ভাঙ্গারমুখ সড়ক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী-মগনামা উপকূলীয় সড়ক, মগনামা আরএইচডি ভায়া-মগনামা হাই স্কুল সড়ক, পেকুয়া-সওদাগরহাট সড়ক, সোনালি বাজার-কইডাবাজার সড়ক, কুতুবদিয়ার তেলিয়াকাটা সড়ক, তাবলারচর সড়ক, ধুরং জিসি মিরাখালী সড়ক ও ক্রসড্যাম সড়ক, মহেশখালীর মাতারবাড়ী উত্তর নলবিলা সড়ক, গোরকঘাটা শাপলাপুর জনতা বাজার সড়ক, গোরকঘাটা-ঘটিভাঙা-সোনাদিয়া সড়ক, সিপাহীরপাড়া-মুদিরছড়া সড়ক, উখিয়ার কাছিয়ার বিল-রত্নাপালং ইউপি সড়ক, জাফর আলম পলানপাড়া সড়ক, কোট বাজার পোস্ট অফিস সড়ক, টেকনাফের বাসস্টেশন-শামলাপুর সড়ক ও নীলা-বাহারছড়া সড়ক পুরোপুরি ভেঙে গেছে। এসব সড়কের অধিকাংশই স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এলজিইডি কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুরুল আলম সিদ্দিকী জানান, বন্যার পানি এখনো সরে যায়নি। তাই পুরো জেলার ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে সঠিক চিত্র দেওয়া যাচ্ছে না। কক্সবাজারের আটটি উপজেলার সড়কে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এসবের মধ্যে ৫০টির বেশি সড়ক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
কক্সবাজার পৌরসভার কাউন্সিলর আকতার কামাল জানান, বন্যার পানি সরে গেলেও মানুষের দুর্ভোগ কমছে না। একদিকে ভাঙা রাস্তাঘাট, অন্যদিকে গৃহহীন মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
গত ২৮ জুন দুপুরে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, ভুমরিয়াঘোনা-ভাদিতলা সড়কের কয়েকটি অংশ বিলীন হয়ে গেছে। ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয় চাষি সৈয়দ আহমদ জানান, বন্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েছে তাঁর সন্তান ও স্ত্রী। এখন কয়েক কিলোমিটার হেঁটে তঁাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিতে যেতে হবে।
এদিকে জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ পর্যন্ত জেলার আটটি উপজেলায় বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য নগদ ১১ লাখ টাকা, ১৪৫ মেট্রিক টন চাল, ১৪৫ বস্তা চিড়া, ১৪০ মণ গুড় ও ১৫৫ বস্তা মুড়ি বরাদ্দ করা হয়েছে।
গত ২১ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত চলা ছয় দিনের টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে সৃষ্ট বন্যায় জেলার কক্সবাজার পৌরসভা, টেকনাফ, রামু, চকরিয়া ও পেকুয়ার প্রায় দুই শতাধিক সড়ক ভেঙে গেছে। এর মধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের তালিকায় মধ্যে আছে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাহ ইউপি কার্যালয় সংলগ্ন সড়ক, মেহেরঘোনা ফরেস্ট অফিস সড়ক, ঈদগাহ-ঈদগড় সড়ক, পানেরছড়া-ভারুয়াখালী ডিসি সড়ক, পিএমখালী-গোমাতলী সড়ক ও নাপিতখালী-চৌফলদণ্ডি সড়ক। রামু উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো হলো—রামু-ফকিরা বাজার সড়ক, ফকিরাবাজার-তেমহিনি-জাদিমুড়া সড়ক, চাইন্দা-রাজারকুল সড়ক, পানেরছড়া সড়ক, কলঘর বাজার- রাজারকুল সড়ক, গর্জনিয়া বাজার-বেলতলী সড়ক ও গর্জনিয়া ইউপি অফিস-থিমছড়ী-বাইসারী সড়ক। চকরিয়া উপজেলার চিরিংগা রাবার ড্যাম সড়ক, চরনদ্বীপ-সগিরশাহকাটা মালুমঘাট সড়ক, কাকারা-মাঝেরফাড়ি সড়ক ও ফাসিয়াখালী ইউপি অফিস-ভাঙ্গারমুখ সড়ক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী-মগনামা উপকূলীয় সড়ক, মগনামা আরএইচডি ভায়া-মগনামা হাই স্কুল সড়ক, পেকুয়া-সওদাগরহাট সড়ক, সোনালি বাজার-কইডাবাজার সড়ক, কুতুবদিয়ার তেলিয়াকাটা সড়ক, তাবলারচর সড়ক, ধুরং জিসি মিরাখালী সড়ক ও ক্রসড্যাম সড়ক, মহেশখালীর মাতারবাড়ী উত্তর নলবিলা সড়ক, গোরকঘাটা শাপলাপুর জনতা বাজার সড়ক, গোরকঘাটা-ঘটিভাঙা-সোনাদিয়া সড়ক, সিপাহীরপাড়া-মুদিরছড়া সড়ক, উখিয়ার কাছিয়ার বিল-রত্নাপালং ইউপি সড়ক, জাফর আলম পলানপাড়া সড়ক, কোট বাজার পোস্ট অফিস সড়ক, টেকনাফের বাসস্টেশন-শামলাপুর সড়ক ও নীলা-বাহারছড়া সড়ক পুরোপুরি ভেঙে গেছে। এসব সড়কের অধিকাংশই স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এলজিইডি কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুরুল আলম সিদ্দিকী জানান, বন্যার পানি এখনো সরে যায়নি। তাই পুরো জেলার ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে সঠিক চিত্র দেওয়া যাচ্ছে না। কক্সবাজারের আটটি উপজেলার সড়কে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এসবের মধ্যে ৫০টির বেশি সড়ক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
কক্সবাজার পৌরসভার কাউন্সিলর আকতার কামাল জানান, বন্যার পানি সরে গেলেও মানুষের দুর্ভোগ কমছে না। একদিকে ভাঙা রাস্তাঘাট, অন্যদিকে গৃহহীন মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
গত ২৮ জুন দুপুরে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, ভুমরিয়াঘোনা-ভাদিতলা সড়কের কয়েকটি অংশ বিলীন হয়ে গেছে। ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয় চাষি সৈয়দ আহমদ জানান, বন্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েছে তাঁর সন্তান ও স্ত্রী। এখন কয়েক কিলোমিটার হেঁটে তঁাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিতে যেতে হবে।
এদিকে জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ পর্যন্ত জেলার আটটি উপজেলায় বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য নগদ ১১ লাখ টাকা, ১৪৫ মেট্রিক টন চাল, ১৪৫ বস্তা চিড়া, ১৪০ মণ গুড় ও ১৫৫ বস্তা মুড়ি বরাদ্দ করা হয়েছে।
No comments