ধর্ষক ও নির্যাতিতের মধ্যে মধ্যস্থতার সুযোগ বাতিল -ভারতে সুপ্রিম কোর্টের রুল
ভারতে ধর্ষক ও নির্যাতিত নারীর মধ্যে মধ্যস্থতার সুযোগ দেওয়া-সংক্রান্ত আদালতের একটি আদেশ বাতিল করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। এ রুলকে স্বাগত জানিয়েছেন নারী মানবাধিকারকর্মীরা। তাঁরা বলেন, নিম্ন আদালত থেকে হরহামেশাই ওই আদেশ দেওয়ার ঘটনা দেশে ঘটে চলেছে। খবর এএফপির।
বিচারপতি দীপক মিশ্র ও পি সি প্যান্টের সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ গত বুধবার ওই রুল দিয়েছেন। সম্প্রতি একজন বিচারক ধর্ষণের একটি ঘটনায় অভিযুক্ত একজনের জামিন মঞ্জুর করেন। যে নারীকে ওই ব্যক্তি ধর্ষণ করেছিলেন, তিনি যেন তাঁকে বিয়ে করতে পারেন, সে লক্ষ্যে মধ্যস্থতার সুযোগ দিতে ওই জামিন মঞ্জুর করা হয়।
বিচারকের এ সিদ্ধান্তে জনমনে ক্ষোভ দেখা দেওয়ার প্রেক্ষাপটে সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে ওই রুল দিলেন। রুলে সর্বোচ্চ আদালত বলেন, বিচারকদের মধ্যস্থতার এমন সব আদেশ থেকে বিরত থাকা উচিত, যা কেবল ‘দর্শনীয় ত্রুটিই’ নয়, বরং নারীদের মর্যাদার ওপরও আঘাতস্বরূপ।
রুলে আরও বলা হয়, ‘এগুলো (এ ধরনের মধ্যস্থতা) এমনই অপরাধ, যা নারীদের শ্বাস-প্রশ্বাসকে রুদ্ধ ও সুনামকে কলুষিত করে। ধর্ষণ বা ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় কোনো অবস্থাতেই মধ্যস্থতার ধারণা চিন্তা করা যায় না।’
ভারতের নারী মানবাধিকারকর্মী রঞ্জনা কুমারী এ রুলের প্রশংসা করে বলেন, নিম্ন আদালতের বিচারকেরা প্রায়ই ধর্ষণ-সংক্রান্ত বিরোধের বিচার শেষ না করে সেটা নিষ্পত্তির একটি পন্থা হিসেবে মধ্যস্থতার ইঙ্গিত করছেন।
রঞ্জনা কুমারী আরও বলেন, ‘ধর্ষক ও নির্যাতিত নারীর মধ্যে যেকোনো মধ্যস্থতা অবৈধ। আমরা এ রুলকে স্বাগত জানাই এবং আশা করি, নিম্ন আদালত তা মেনে চলবেন।’
বিচারপতি দীপক মিশ্র ও পি সি প্যান্টের সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ গত বুধবার ওই রুল দিয়েছেন। সম্প্রতি একজন বিচারক ধর্ষণের একটি ঘটনায় অভিযুক্ত একজনের জামিন মঞ্জুর করেন। যে নারীকে ওই ব্যক্তি ধর্ষণ করেছিলেন, তিনি যেন তাঁকে বিয়ে করতে পারেন, সে লক্ষ্যে মধ্যস্থতার সুযোগ দিতে ওই জামিন মঞ্জুর করা হয়।
বিচারকের এ সিদ্ধান্তে জনমনে ক্ষোভ দেখা দেওয়ার প্রেক্ষাপটে সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে ওই রুল দিলেন। রুলে সর্বোচ্চ আদালত বলেন, বিচারকদের মধ্যস্থতার এমন সব আদেশ থেকে বিরত থাকা উচিত, যা কেবল ‘দর্শনীয় ত্রুটিই’ নয়, বরং নারীদের মর্যাদার ওপরও আঘাতস্বরূপ।
রুলে আরও বলা হয়, ‘এগুলো (এ ধরনের মধ্যস্থতা) এমনই অপরাধ, যা নারীদের শ্বাস-প্রশ্বাসকে রুদ্ধ ও সুনামকে কলুষিত করে। ধর্ষণ বা ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় কোনো অবস্থাতেই মধ্যস্থতার ধারণা চিন্তা করা যায় না।’
ভারতের নারী মানবাধিকারকর্মী রঞ্জনা কুমারী এ রুলের প্রশংসা করে বলেন, নিম্ন আদালতের বিচারকেরা প্রায়ই ধর্ষণ-সংক্রান্ত বিরোধের বিচার শেষ না করে সেটা নিষ্পত্তির একটি পন্থা হিসেবে মধ্যস্থতার ইঙ্গিত করছেন।
রঞ্জনা কুমারী আরও বলেন, ‘ধর্ষক ও নির্যাতিত নারীর মধ্যে যেকোনো মধ্যস্থতা অবৈধ। আমরা এ রুলকে স্বাগত জানাই এবং আশা করি, নিম্ন আদালত তা মেনে চলবেন।’
No comments