ধর্মরাজিক বৌদ্ধবিহারে ইফতারি বিতরণ by রাফাত জামিল
টানা তিন বছর ধরে শতাধিক রোজাদারকে ইফতারি দেন রাজধানীর সবুজবাগের ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার কর্তৃপক্ষ। এবার তারা প্রতিদিন ৩০০ জনকে ইফতারি দিচ্ছে। গতকাল বুধবার রোজাদারদের হাতে ইফতারির প্যাকেট তুলে দেন বিহারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক বুদ্ধপ্রিয় মহাথের। ছবি: আবদুস সালাম |
বিকেল
চারটা ৪৫ মিনিট। ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের মূল ফটকের বাইরে লোকজনের ভিড়
বাড়ছে। ফটকের ভেতরে অতীশ হলের সামনে ইফতারি বিতরণের আয়োজন চলছে। বড়সড়
একটা টেবিলের ওপর ইফতারির প্যাকেট সাজানো। সামনে ইফতারি নিতে আসা মানুষের
দীঘল সারি। একজন করে আসছেন, মহাবিহারের অধ্যক্ষের হাত থেকে ইফতারির প্যাকেট
নিচ্ছেন।
এটা এখানকার প্রতিদিনের দৃশ্য। গতকাল বুধবার ঢাকায় সবুজবাগের অতীশ দীপঙ্কর সড়কের ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়। পুরো রমজান মাসজুড়ে চলবে এ কার্যক্রম। আশপাশের এলাকার অসহায়, দুস্থ রোজাদারদের মধ্যে প্রতিদিন এভাবে ইফতার বিতরণ করছে বিহার কর্তৃপক্ষ।
শ্রদ্ধানন্দ ভিক্ষু বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন ৩০০ জনকে ইফতারি দিই। লোক বাড়লে প্যাকেটের পরিমাণ বাড়াই। অসহায় মানুষকে অন্ন দেওয়াটা খুব আনন্দের।’
সরেজমিনে দেখা গেল, ইফতারি নিতে আসা ব্যক্তিরা বেশির ভাগই নারী। এখানে প্রতিদিন বিকেল সাড়ে চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটার মধ্যে ইফতারি দেওয়া হয়। সবাই ইফতারির প্যাকেট নিয়ে নিজের ঘরে ফেরেন। প্যাকেটে থাকে চপ, বেগুনি, পেঁয়াজু, ছোলা ভুনা, শাহি জিলাপি ও মুড়ি।
এটা এখানকার প্রতিদিনের দৃশ্য। গতকাল বুধবার ঢাকায় সবুজবাগের অতীশ দীপঙ্কর সড়কের ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়। পুরো রমজান মাসজুড়ে চলবে এ কার্যক্রম। আশপাশের এলাকার অসহায়, দুস্থ রোজাদারদের মধ্যে প্রতিদিন এভাবে ইফতার বিতরণ করছে বিহার কর্তৃপক্ষ।
শ্রদ্ধানন্দ ভিক্ষু বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন ৩০০ জনকে ইফতারি দিই। লোক বাড়লে প্যাকেটের পরিমাণ বাড়াই। অসহায় মানুষকে অন্ন দেওয়াটা খুব আনন্দের।’
সরেজমিনে দেখা গেল, ইফতারি নিতে আসা ব্যক্তিরা বেশির ভাগই নারী। এখানে প্রতিদিন বিকেল সাড়ে চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটার মধ্যে ইফতারি দেওয়া হয়। সবাই ইফতারির প্যাকেট নিয়ে নিজের ঘরে ফেরেন। প্যাকেটে থাকে চপ, বেগুনি, পেঁয়াজু, ছোলা ভুনা, শাহি জিলাপি ও মুড়ি।
এই বৌদ্ধবিহারের ইফতারি পাওয়া থেকে বাদ যায় না ছোট শিশুরাও। এমনই এক শিশুকে ইফতারির প্যাকেট দিচ্ছেন বিহারের অধ্যক্ষ সঙ্গনায়েক শুদ্ধানন্দ মহাথের। ছবি: আবদুস সালাম |
ইফতারি
নিতে এসে লম্বা লাইনে দাঁড়ানো ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধা সালেহা বেগম বললেন,
‘সবুজবাগেই থাকি। রোজা রেখে বিকেলে প্রতিদিন এখান থেকে ইফতারি নিয়ে যাই।
খুব ভালো লাগে। প্রাণটা জুড়ায়ে যায়।’
জামিলা খাতুন বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ, আমাগোরে ইফতারি দেয়। দিন শেষে এটা অনেক আনন্দের।’
ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার ২০১৩ সাল থেকে দুস্থ ও অসচ্ছল রোজাদারদের মধ্যে ইফতারি বিতরণ করে আসছে। এ বছর তৃতীয়বারের মতো চলছে এই আয়োজন।
বিহার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে সিঙ্গাপুর প্রবাসী এক ব্যক্তির ব্যক্তিগত অনুদানে ইফতারি বিতরণ কার্যক্রম চালু হয়। এবার তিনি অনুদান না দিলেও বিহারের নিজস্ব তহবিল থেকে ইফতারি দেওয়া হচ্ছে। ১৯৬০ সালে বিহারটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এখানে ৭৭০ জন অনাথ ছেলে আছে। বিহারই তাদের পড়াশোনা ও থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করছে।
ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালকদের একজন বুদ্ধপ্রিয় মহাথের বলেন, ‘রোজাদারদের হাতে ইফতারি তুলে দিতে খুব ভালো লাগে। প্রথম দুই বছর প্রতিদিন ৫০০ প্যাকেট ইফতারি দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। আর্থিক কারণে এবার পরিমাণটা কমানো হয়েছে। আশা করছি, পরবর্তী বছরগুলোতেও এ কার্যক্রম চালু থাকবে।’
জামিলা খাতুন বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ, আমাগোরে ইফতারি দেয়। দিন শেষে এটা অনেক আনন্দের।’
ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার ২০১৩ সাল থেকে দুস্থ ও অসচ্ছল রোজাদারদের মধ্যে ইফতারি বিতরণ করে আসছে। এ বছর তৃতীয়বারের মতো চলছে এই আয়োজন।
বিহার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে সিঙ্গাপুর প্রবাসী এক ব্যক্তির ব্যক্তিগত অনুদানে ইফতারি বিতরণ কার্যক্রম চালু হয়। এবার তিনি অনুদান না দিলেও বিহারের নিজস্ব তহবিল থেকে ইফতারি দেওয়া হচ্ছে। ১৯৬০ সালে বিহারটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এখানে ৭৭০ জন অনাথ ছেলে আছে। বিহারই তাদের পড়াশোনা ও থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করছে।
ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালকদের একজন বুদ্ধপ্রিয় মহাথের বলেন, ‘রোজাদারদের হাতে ইফতারি তুলে দিতে খুব ভালো লাগে। প্রথম দুই বছর প্রতিদিন ৫০০ প্যাকেট ইফতারি দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। আর্থিক কারণে এবার পরিমাণটা কমানো হয়েছে। আশা করছি, পরবর্তী বছরগুলোতেও এ কার্যক্রম চালু থাকবে।’
বৌদ্ধবিহারটিতে রমজান মাসে প্রতিদিন বিকেল সাড়ে চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটার মধ্যে ইফতারি দেওয়া হয়। ইফতারি নিতে আসে আশপাশের এলাকার অসহায় ও দুস্থ রোজাদারেরা। ছবি: আবদুস সালাম |
ধর্মরাজিক
বৌদ্ধ মহাবিহারের অধ্যক্ষ ও বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি
সঙ্গনায়েক শুদ্ধানন্দ মহাথের বলেন, ‘একটু অসুস্থ আছি, তার পরও নিজ হাতে
ইফতারি দিই। রোজাদাররা সারা দিন রোজা রাখেন। দিন শেষে ইফতারি পাওয়ার পর
তাঁদের আনন্দে ভরা আমাকে মুগ্ধ করে। ভালো লাগে।’
ইফতারি বিতরণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে শুদ্ধানন্দ মহাথের বলেন, ‘আমরা সবাই বাংলাদেশি, আমাদের একই রাষ্ট্র। মানুষকে সহযোগিতা করার মাধ্যমে মানুষে-মানুষে বন্ধুত্ব ও প্রীতি বাড়বে। একে-অপরের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়বে। সমাজ শান্ত হবে, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা থামবে। আমরা এক হব, ভালো থাকব, সুখে থাকব।’
ইফতারি বিতরণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে শুদ্ধানন্দ মহাথের বলেন, ‘আমরা সবাই বাংলাদেশি, আমাদের একই রাষ্ট্র। মানুষকে সহযোগিতা করার মাধ্যমে মানুষে-মানুষে বন্ধুত্ব ও প্রীতি বাড়বে। একে-অপরের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়বে। সমাজ শান্ত হবে, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা থামবে। আমরা এক হব, ভালো থাকব, সুখে থাকব।’
No comments