রাজশাহী সিটি- সড়ক সংস্কারে চালকেরা
দিনের পর দিন অপেক্ষায় থেকে অবশেষে অটোরিকশাচালকেরা রাজশাহী নগরের মেহেরচন্ডি–খড়খড়ি সড়কটি মেরামতে নেমেছেন। ছবিটি মঙ্গলবার তোলা l প্রথম আলো |
গভীর
খানাখন্দে ভরা সড়কটিতে ছয় মাস ধরে হাঁটুপানি। সিটি করপোরেশন বলছে, এই
সড়ক ওই জনপথ বিভাগের। এই সড়কের জন্য তাদের বরাদ্দ নেই। আবার সড়ক বিভাগ
বলছে, সড়কটি তাদের হলেও দেখাশোনা করে সিটি করপোরেশন। দুই কর্তৃপক্ষের এমন
ঠেলাঠেলি দেখে এখন অটোরিকশা চালকেরাই নেমে পড়লেন সড়কটি মেরামতে।
মেহেরচণ্ডি থেকে খড়খড়ি বাইপাস সড়কটি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের। ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের দুই কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক এখন আর চলাচলের উপযোগী নেই। জায়গায় জায়গায় পানি। সেই জলমগ্নতা এতটাই যে কোথায় কেমন গভীরতা তা-ও বোঝার উপায় নেই। সবচেয়ে দুর্ভোগ মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীদের। গর্তে একবার পড়লে হিমশিম খেতে হয় তাঁদের উঠতে। প্রায়ই অটোরিকশা যায় উল্টে। স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। এ পরিস্থিতিতে কোনো উপায় না দেখে খড়খড়ি বাইপাস অটোরিকশাচালক সমিতির সদস্যরা গত মঙ্গলবার নিজেরাই সড়কটি মেরামতের উদ্যোগ নেন। এ কাজের জন্য সমিতির তহবিল থেকে কিছু টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। বাকি টাকা দিচ্ছেন পথচারী ও অন্যান্য যানবাহনের চালকেরা।
গত মঙ্গলবার দুপুরে ওই সড়কে গিয়ে দেখা যায়, ট্রাকে করে ইট এনে গর্তে ফেলা হচ্ছে। একদল অটোরিকশাচালক ওই ইট বিছিয়ে দিচ্ছেন। আরেকটি দল অন্য যানবাহন চালকদের কাছ থেকে তুলছেন টাকা। এ সময় কয়েকজন অটোরিকশাচালক ক্ষোভের ভাষায় জানান, ‘আমাদের ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মারা গেছেন। এই রাস্তার কোনো মালিক নাই।’
খড়খড়ি অটোরিকশাচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোজাফফর হোসেনকে পাওয়া গেল সড়ক মেরামতস্থলে। তিনি বলেন, মেহেরচণ্ডি মহল্লার মাঝখান থেকে খড়খড়ি বাইপাস পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়কে অনেক আগে ইটের খোয়া ফেলে রোলার করা হয়েছে। গত বছর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে কয়েক গাড়ি ‘রাবিশ’ ফেলা হয়েছিল। কিন্তু তা গতবারই কাদা-পানির মধ্যে হারিয়ে যায়। এরপর সিটি করপোরেশনের আর খোঁজ নেই। বৃষ্টি আর নালার পানিতে সড়কটি একেবারে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এটি মেরামতের জন্য তাঁরা ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর মোহাম্মদ মোল্লার কাছে গিয়েছিলেন। কাউন্সিলর জানিয়ে দিয়েছেন, এই সড়ক মেরামতে কোনো বরাদ্দ নেই।
যোগাযোগ করলে কাউন্সিলর নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘আপাতত কোনো বরাদ্দ নেই। গত বছর কয়েক গাড়ি রাবিশ ফেলা হয়েছিল। ফেললেও থাকে না। এটাই হয়েছে মুশকিল।’ সড়ক মেরামতে অটোরিকশাচালকদের এক হাজার টাকা চাঁদা দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক বলেন, সড়কটি সিটি করপোরেশনের সীমানার মধ্যে হলেও এটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের। তারপরও বছর তিনেক আগে তাঁরা একাংশে কার্পেটিং করে দিয়েছিলেন। তা এখনো ভালো আছে। তিনি এ বিষয়ে সড়ক বিভাগের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
রাজশাহী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শামসুদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, এটি সড়ক বিভাগের হলেও দেখাশোনা করে সিটি করপোরেশন। ওই সড়কের বাকি সাত কিলোমিটার এলাকায় (সিটি করপোরেশনের বাইরে) তাঁরা কাজ করেন।
মেহেরচণ্ডি থেকে খড়খড়ি বাইপাস সড়কটি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের। ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের দুই কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক এখন আর চলাচলের উপযোগী নেই। জায়গায় জায়গায় পানি। সেই জলমগ্নতা এতটাই যে কোথায় কেমন গভীরতা তা-ও বোঝার উপায় নেই। সবচেয়ে দুর্ভোগ মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীদের। গর্তে একবার পড়লে হিমশিম খেতে হয় তাঁদের উঠতে। প্রায়ই অটোরিকশা যায় উল্টে। স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। এ পরিস্থিতিতে কোনো উপায় না দেখে খড়খড়ি বাইপাস অটোরিকশাচালক সমিতির সদস্যরা গত মঙ্গলবার নিজেরাই সড়কটি মেরামতের উদ্যোগ নেন। এ কাজের জন্য সমিতির তহবিল থেকে কিছু টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। বাকি টাকা দিচ্ছেন পথচারী ও অন্যান্য যানবাহনের চালকেরা।
গত মঙ্গলবার দুপুরে ওই সড়কে গিয়ে দেখা যায়, ট্রাকে করে ইট এনে গর্তে ফেলা হচ্ছে। একদল অটোরিকশাচালক ওই ইট বিছিয়ে দিচ্ছেন। আরেকটি দল অন্য যানবাহন চালকদের কাছ থেকে তুলছেন টাকা। এ সময় কয়েকজন অটোরিকশাচালক ক্ষোভের ভাষায় জানান, ‘আমাদের ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মারা গেছেন। এই রাস্তার কোনো মালিক নাই।’
খড়খড়ি অটোরিকশাচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোজাফফর হোসেনকে পাওয়া গেল সড়ক মেরামতস্থলে। তিনি বলেন, মেহেরচণ্ডি মহল্লার মাঝখান থেকে খড়খড়ি বাইপাস পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়কে অনেক আগে ইটের খোয়া ফেলে রোলার করা হয়েছে। গত বছর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে কয়েক গাড়ি ‘রাবিশ’ ফেলা হয়েছিল। কিন্তু তা গতবারই কাদা-পানির মধ্যে হারিয়ে যায়। এরপর সিটি করপোরেশনের আর খোঁজ নেই। বৃষ্টি আর নালার পানিতে সড়কটি একেবারে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এটি মেরামতের জন্য তাঁরা ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর মোহাম্মদ মোল্লার কাছে গিয়েছিলেন। কাউন্সিলর জানিয়ে দিয়েছেন, এই সড়ক মেরামতে কোনো বরাদ্দ নেই।
যোগাযোগ করলে কাউন্সিলর নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘আপাতত কোনো বরাদ্দ নেই। গত বছর কয়েক গাড়ি রাবিশ ফেলা হয়েছিল। ফেললেও থাকে না। এটাই হয়েছে মুশকিল।’ সড়ক মেরামতে অটোরিকশাচালকদের এক হাজার টাকা চাঁদা দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক বলেন, সড়কটি সিটি করপোরেশনের সীমানার মধ্যে হলেও এটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের। তারপরও বছর তিনেক আগে তাঁরা একাংশে কার্পেটিং করে দিয়েছিলেন। তা এখনো ভালো আছে। তিনি এ বিষয়ে সড়ক বিভাগের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
রাজশাহী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শামসুদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, এটি সড়ক বিভাগের হলেও দেখাশোনা করে সিটি করপোরেশন। ওই সড়কের বাকি সাত কিলোমিটার এলাকায় (সিটি করপোরেশনের বাইরে) তাঁরা কাজ করেন।
No comments