মুক্তিপণ দিয়েও ভাইকে ফেরত পাননি বোন
ভাই মোস্তাক আহমদের খোঁজ না পেয়ে দিশেহারা কমরু বেগম |
১
লাখ ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়েও ছোট ভাই মোস্তাক আহমদকে খুঁজে পাচ্ছেন
না কমরু বেগম (৪৭)। ব্যবসা ফেলে ভাইয়ের সন্ধানে কমরু ছুটছেন এদিক-সেদিক।
কমরুর বাড়ি কক্সবাজার শহরতলির আদর্শগ্রামে। ১০ বছর আগে স্বামী মো. ইউসুফ আলীর মৃত্যুর পর সৈকত তীরের হোটেল–মোটেল জোনে চা-বিস্কুট বিক্রি করেই সংসার চালানোর দায়িত্ব কাঁধে নেন কমরু।
গত ২৮ জুন সকালে তাঁকে দেখা গেল পুলিশ সুপার কার্যালয়ের বাইরে। তিনি এসেছিলেন বিদেশ থেকে পুলিশের কাছে তথ্য যাচাই–বাছাইয়ের জন্য পাঠানো তালিকায় তাঁর ছোট ভাইয়ের নাম আছে িক না জানতে।
কমরু বেগম জানান, সাগরে ভাসমান ট্রলারে থাকা বহু অভিবাসী মুক্তিপণ দিয়ে টেকনাফ ফিরে আসছেন। তাই ছোট ভাইকে খুঁজতে তিনি কয়েক দিন আগে টেকনাফ ঘুরে এলেও পাননি তাঁকে। তাঁর সন্দেহ মোস্তাক মিয়ানমার কিংবা থাইল্যান্ডে আটক আছেন।
কমরু জানান, মোস্তাক আহমদ (২০) এলাকায় রংমিস্ত্রির কাজ করতেন। সংসার তাঁর স্ত্রী মিনুয়ারা বেগম ও আড়াই বছরের একমাত্র ছেলে শামীম রয়েছে। স্বামীর অনুপস্থিতিতে তাঁদের না খেয়ে থাকতে হচ্ছে।
আট মাস আগে একজন দালাল টেকনাফে একটি মসজিদের রং লাগানোর কথা বলে মোস্তাককে টেকনাফ নিয়ে যায়। এরপর বস্তায় ভরে তাকে ট্রলারে তুলে দেওয়া হয়। ২৭ দিন পর মোস্তাক থাইল্যান্ড জঙ্গল থেকে কমরু বেগমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন। তিনি তাঁকে জোরপূর্বক ট্রলারে তুলে অপহরণ করার কথা জানান। দালালদের অত্যাচার নির্যাতন থেকে বাঁচতে বোনকে তিনি দুই লাখ টাকার মুক্তিপণ দিতে বলেন। কথামতো কমরু কক্সবাজার শহরের ঝিলংজা এলাকার এক ব্যক্তিকে দুই দফায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা তুলে দেন। কিন্তু অবশিষ্ট ৪০ হাজার টাকার জন্য মোস্তাককে ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। ওই ব্যক্তি প্রায় সময় তাঁকে মুঠোফোনে বলেন, ‘তোমার ভাই ট্রলারে আছে। টাকা দিলে ফেরত পাবা। অন্যথায় লাশ সাগরে ভাসবে।’ কিন্তু একাধিকবার যোগাযোগ করে ওই ব্যক্তির মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
মোস্তাকের স্ত্রী মিনুয়ারা বেগম বলেন, ‘সোনার গয়না বিক্রি আর জমি বন্ধক রেখে আমরা এক লাখ ৬০ হাজার টাকা জোগাড় করেছিলাম। বাকি ৪০ হাজার টাকা জোগাড় করতে পারিনি। দালালের বিরুদ্ধেও কিছু করা যাচ্ছে না। কারণ জানাজানি হলেই মোস্তাককে হত্যা করে সাগরে লাশ ভাসিয়ে দেবে বলে হুমকি দিয়েছেন তাঁরা।’
শহরের মোহাম্মদীয় হোটেলের সামনে প্রতিদিন চা-বিস্কুট বিক্রি করেন কমরু। কিন্তু গত ১৫ দিন ধরে তাঁর দেখা নেই। দোকান চালাচ্ছেন ছোট ছেলে আবদুল্লাহ।
রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানান, ছোট ভাইয়ের খোঁজ নিতে কমরু বেগম তাঁদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন। গত ৮ জুন মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা ১৫০ জন অভিবাসীর মধ্যে মোস্তাককে না দেখে কমরু কান্নাকাটি করেন। মিয়ানমারে উদ্ধার হওয়া আরও পাঁচ শতাধিক অভিবাসীর মধ্যে মোস্তাক আছে কীনা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি কাজী মোহাম্মদ মতিউল ইসলাম জানান, ভাসমান ট্রলারে অভিবাসীদের আটকে রেখে দালালেরা মুক্তিপণ আদায়ের খবর পাচ্ছি। কিন্তু দালালদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করছে না। ফলে দালালেরা থাকছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
কমরুর বাড়ি কক্সবাজার শহরতলির আদর্শগ্রামে। ১০ বছর আগে স্বামী মো. ইউসুফ আলীর মৃত্যুর পর সৈকত তীরের হোটেল–মোটেল জোনে চা-বিস্কুট বিক্রি করেই সংসার চালানোর দায়িত্ব কাঁধে নেন কমরু।
গত ২৮ জুন সকালে তাঁকে দেখা গেল পুলিশ সুপার কার্যালয়ের বাইরে। তিনি এসেছিলেন বিদেশ থেকে পুলিশের কাছে তথ্য যাচাই–বাছাইয়ের জন্য পাঠানো তালিকায় তাঁর ছোট ভাইয়ের নাম আছে িক না জানতে।
কমরু বেগম জানান, সাগরে ভাসমান ট্রলারে থাকা বহু অভিবাসী মুক্তিপণ দিয়ে টেকনাফ ফিরে আসছেন। তাই ছোট ভাইকে খুঁজতে তিনি কয়েক দিন আগে টেকনাফ ঘুরে এলেও পাননি তাঁকে। তাঁর সন্দেহ মোস্তাক মিয়ানমার কিংবা থাইল্যান্ডে আটক আছেন।
কমরু জানান, মোস্তাক আহমদ (২০) এলাকায় রংমিস্ত্রির কাজ করতেন। সংসার তাঁর স্ত্রী মিনুয়ারা বেগম ও আড়াই বছরের একমাত্র ছেলে শামীম রয়েছে। স্বামীর অনুপস্থিতিতে তাঁদের না খেয়ে থাকতে হচ্ছে।
আট মাস আগে একজন দালাল টেকনাফে একটি মসজিদের রং লাগানোর কথা বলে মোস্তাককে টেকনাফ নিয়ে যায়। এরপর বস্তায় ভরে তাকে ট্রলারে তুলে দেওয়া হয়। ২৭ দিন পর মোস্তাক থাইল্যান্ড জঙ্গল থেকে কমরু বেগমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন। তিনি তাঁকে জোরপূর্বক ট্রলারে তুলে অপহরণ করার কথা জানান। দালালদের অত্যাচার নির্যাতন থেকে বাঁচতে বোনকে তিনি দুই লাখ টাকার মুক্তিপণ দিতে বলেন। কথামতো কমরু কক্সবাজার শহরের ঝিলংজা এলাকার এক ব্যক্তিকে দুই দফায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা তুলে দেন। কিন্তু অবশিষ্ট ৪০ হাজার টাকার জন্য মোস্তাককে ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। ওই ব্যক্তি প্রায় সময় তাঁকে মুঠোফোনে বলেন, ‘তোমার ভাই ট্রলারে আছে। টাকা দিলে ফেরত পাবা। অন্যথায় লাশ সাগরে ভাসবে।’ কিন্তু একাধিকবার যোগাযোগ করে ওই ব্যক্তির মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
মোস্তাকের স্ত্রী মিনুয়ারা বেগম বলেন, ‘সোনার গয়না বিক্রি আর জমি বন্ধক রেখে আমরা এক লাখ ৬০ হাজার টাকা জোগাড় করেছিলাম। বাকি ৪০ হাজার টাকা জোগাড় করতে পারিনি। দালালের বিরুদ্ধেও কিছু করা যাচ্ছে না। কারণ জানাজানি হলেই মোস্তাককে হত্যা করে সাগরে লাশ ভাসিয়ে দেবে বলে হুমকি দিয়েছেন তাঁরা।’
শহরের মোহাম্মদীয় হোটেলের সামনে প্রতিদিন চা-বিস্কুট বিক্রি করেন কমরু। কিন্তু গত ১৫ দিন ধরে তাঁর দেখা নেই। দোকান চালাচ্ছেন ছোট ছেলে আবদুল্লাহ।
রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানান, ছোট ভাইয়ের খোঁজ নিতে কমরু বেগম তাঁদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন। গত ৮ জুন মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা ১৫০ জন অভিবাসীর মধ্যে মোস্তাককে না দেখে কমরু কান্নাকাটি করেন। মিয়ানমারে উদ্ধার হওয়া আরও পাঁচ শতাধিক অভিবাসীর মধ্যে মোস্তাক আছে কীনা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি কাজী মোহাম্মদ মতিউল ইসলাম জানান, ভাসমান ট্রলারে অভিবাসীদের আটকে রেখে দালালেরা মুক্তিপণ আদায়ের খবর পাচ্ছি। কিন্তু দালালদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করছে না। ফলে দালালেরা থাকছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
No comments