সংযোগ সড়ক নেই, দুর্ভোগে ১০ গ্রামের মানুষ
শেরপুরের
ঝিনাইগাতী উপজেলায় সোমেশ্বরী নদীর ওপর গজারমারী সেতুর দুই পাশে সংযোগ
সড়ক না থাকায় প্রতি বর্ষায় ১০ গ্রামের মানুষ ভোগান্তির শিকার হয়। এই
সংযোগ সড়কের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা, জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নে গজারমারী এলাকায় সোমেশ্বরী নদীর ওপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে ২০০৯-১০ অর্থবছরে ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে গজারমারী সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সেতুর দুই পাশে সাড়ে তিন কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নেই। সংযোগ সড়কসহ এই পথে আট কিলোমিটার সড়কে মাটি ভরাট না করায় প্রতি বর্ষায় সড়কটি পানিতে ডুবে যায়। এ কারণে ধানশাইল ইউনিয়ন থেকে উপজেলা সদরে এ পথে চলাচলকারী ১০টি গ্রামের সাধারণ মানুষসহ শিক্ষার্থীরা বর্ষার সময় ভোগান্তির শিকার হন। দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী সংযোগ সড়ক ও সড়ক সংস্কারের দাবি জানাচ্ছেন। কিন্তু কোনো লাভ হচ্ছে না। বর্ষায় গ্রামবাসীর চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে নৌকা। প্রতিদিন নৌকায় পারাপার হতে গিয়ে তাঁদের নানা দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।
সম্প্রতি ওই এলাকায় গিয়ে কয়েকজন গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার গজারমারী সেতুর পূর্ব পাশে মাটিয়াপাড়া গ্রাম পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার এবং সেতুর পশ্চিম পাশে বাগেরভিটা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সংযোগ সড়ক তিন সপ্তাহ ধরে পানিতে ডুবে আছে। ফলে ধানশাইল ইউনিয়নের মাটিয়াপাড়া, সারিকালিনগর, বালুরচর, কালিনগর, নয়াপাড়া, দাড়িয়ারপাড়, কান্দুলী, কুচনিপাড়া, বাগেরভিটা ও কোনাগাঁওয়ের ১০টি গ্রামের ১৪-১৫ হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। উপজেলা সদরে যাতায়াতের জন্য ওসব গ্রামের বাসিন্দাদের বেশি ভাড়ায় নৌকায় চলাচল করতে হচ্ছে।
সারিকালিনগর গ্রামের কৃষক আবু বারেক (৫৫) বলেন, ‘বহুদিন ধরে গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে এ রাস্তাটি সংস্কার দাবি করা হইতাছে। জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাসও দেন। কিন্তু পরে আর কেউ আগাইয়া আসে না। আমরা সড়কটার স্থায়ী একটা সমাধান চাই।’ কান্দুলী গ্রামের গৃহিণী রমিছা খাতুন (৪৫) বলেন, ‘এই সড়কটা মাডি দিয়া উচা না করুনে ১০ গ্রামের মানুষ প্রতিবছর সীমাহীন কষ্ট করে। সরকারের কাছে আমগর অনুরোধ, দয়া কইরা এই সড়কটা যেন ঠিক কইরা দেয়।’
ধানশাইল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদিন খান বলেন, সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় প্রতি বর্ষায় তাঁদের সীমাহীন কষ্ট করতে হয়। ইউনিয়ন পরিষদের সামান্য অর্থ দিয়ে এই কাজ করা সম্ভব নয়। বিশেষ বরাদ্দ পাওয়া গেলে সড়কটির স্থায়ী সমাধান করা সম্ভব।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আমির আলী বলেন, ইতিমধ্যে সড়কটি সংস্কারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বর্ষা চলে গেলে আশা করছি, সড়কটি সংস্কারে পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা, জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নে গজারমারী এলাকায় সোমেশ্বরী নদীর ওপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে ২০০৯-১০ অর্থবছরে ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে গজারমারী সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সেতুর দুই পাশে সাড়ে তিন কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নেই। সংযোগ সড়কসহ এই পথে আট কিলোমিটার সড়কে মাটি ভরাট না করায় প্রতি বর্ষায় সড়কটি পানিতে ডুবে যায়। এ কারণে ধানশাইল ইউনিয়ন থেকে উপজেলা সদরে এ পথে চলাচলকারী ১০টি গ্রামের সাধারণ মানুষসহ শিক্ষার্থীরা বর্ষার সময় ভোগান্তির শিকার হন। দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী সংযোগ সড়ক ও সড়ক সংস্কারের দাবি জানাচ্ছেন। কিন্তু কোনো লাভ হচ্ছে না। বর্ষায় গ্রামবাসীর চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে নৌকা। প্রতিদিন নৌকায় পারাপার হতে গিয়ে তাঁদের নানা দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।
সম্প্রতি ওই এলাকায় গিয়ে কয়েকজন গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার গজারমারী সেতুর পূর্ব পাশে মাটিয়াপাড়া গ্রাম পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার এবং সেতুর পশ্চিম পাশে বাগেরভিটা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সংযোগ সড়ক তিন সপ্তাহ ধরে পানিতে ডুবে আছে। ফলে ধানশাইল ইউনিয়নের মাটিয়াপাড়া, সারিকালিনগর, বালুরচর, কালিনগর, নয়াপাড়া, দাড়িয়ারপাড়, কান্দুলী, কুচনিপাড়া, বাগেরভিটা ও কোনাগাঁওয়ের ১০টি গ্রামের ১৪-১৫ হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। উপজেলা সদরে যাতায়াতের জন্য ওসব গ্রামের বাসিন্দাদের বেশি ভাড়ায় নৌকায় চলাচল করতে হচ্ছে।
সারিকালিনগর গ্রামের কৃষক আবু বারেক (৫৫) বলেন, ‘বহুদিন ধরে গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে এ রাস্তাটি সংস্কার দাবি করা হইতাছে। জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাসও দেন। কিন্তু পরে আর কেউ আগাইয়া আসে না। আমরা সড়কটার স্থায়ী একটা সমাধান চাই।’ কান্দুলী গ্রামের গৃহিণী রমিছা খাতুন (৪৫) বলেন, ‘এই সড়কটা মাডি দিয়া উচা না করুনে ১০ গ্রামের মানুষ প্রতিবছর সীমাহীন কষ্ট করে। সরকারের কাছে আমগর অনুরোধ, দয়া কইরা এই সড়কটা যেন ঠিক কইরা দেয়।’
ধানশাইল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদিন খান বলেন, সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় প্রতি বর্ষায় তাঁদের সীমাহীন কষ্ট করতে হয়। ইউনিয়ন পরিষদের সামান্য অর্থ দিয়ে এই কাজ করা সম্ভব নয়। বিশেষ বরাদ্দ পাওয়া গেলে সড়কটির স্থায়ী সমাধান করা সম্ভব।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আমির আলী বলেন, ইতিমধ্যে সড়কটি সংস্কারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বর্ষা চলে গেলে আশা করছি, সড়কটি সংস্কারে পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।
No comments