ফাইনালের জন্য গোল জমিয়ে রেখেছেন মেসি!
গোল নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন মেসি। ছবি: রয়টার্স |
সতীর্থদের
দিয়ে একের পর এক গোল করাচ্ছেন। অথচ নিজে করতে পারছেন না! কোপা আমেরিকার
সেমিফাইনালে প্যারাগুয়েকে ৬-১ গোলে বিধ্বস্তের পেছনে বিরাট অবদান লিওনেল
মেসির। তিনটি গোল এসেছে তাঁর সহায়তায়। দলের এমন গোল প্লাবনেও তিনি
গোলশূন্য! তবে এ নিয়ে একদমই ভাবছেন না আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। বরং তিনি
আশাবাদী, ফাইনালে গোলের দেখা পাবেন।
মেসি কেবল গোল করেন না, সতীর্থদের দিয়েও করান। অ্যাসিস্টের পরিসংখ্যান তা-ই বলে। এই প্রথম আর্জেন্টিনার জার্সিতে এক ম্যাচে সতীর্থদের দিয়ে গোল করিয়েছেন তিনটি। তাঁর পুরো ক্যারিয়ারে এমন ঘটেছে দুবার। এর আগে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে কোপা ডেল রেতে লেভান্তের বিপক্ষে সতীর্থদের দিয়ে তিন গোল করিয়েছিলেন বার্সা ফরোয়ার্ড। ২০১৪-১৫ মৌসুমে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে মেসি মোট অ্যাসিস্ট করেছেন ৩১টি। আর তিনটি করতে পারলে ছাড়িয়ে যাবেন ২০১১-১২ মৌসুমে তাঁর ব্যক্তিগত রেকর্ডটিও। সেবার অ্যাসিস্ট সংখ্যা ছিল ৩৩টি।
তবে পরিসংখ্যান ছাপিয়ে মনে কি খানিকটা আফসোস কাজ করে না? ৯৪৫ মিনিট ধরে যে তিনি গোলবঞ্চিত! আর্জেন্টিনার জার্সিতে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে ‘ওপেন প্লেতে’ সর্বশেষ গোল পেয়েছিলেন গত বিশ্বকাপে, নাইজেরিয়ার বিপক্ষে। এর মধ্যে পেরিয়ে গেছে এক বছরের বেশি সময়। আর্জেন্টিনা অধিনায়কের কাছ থেকে গোলের দেখা মেলেনি।
অবশ্য গত বছর অক্টোবরে হংকংয়ের বিপক্ষে দুই গোল করেছিলেন। কিন্তু ওটা ছিল প্রীতি ম্যাচ। যদি প্রীতি ম্যাচের ওই দুটি গোলও বাদ দেওয়া হয় তবে মেসির গোলবঞ্চিত থাকা সময়ের হিসাবটা ১২০০ মিনিট ছাড়িয়ে যাবে!
এই কোপা আমেরিকায় মেসির পাশে লেখা মাত্র একটি গোল। সেটি এসেছিল গ্রুপ পর্বে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে। কাল ওপেন প্লেতেই প্যারাগুয়েকে গোল বন্যায় ভাসিয়েছে আর্জেন্টিনা। কিন্তু এ গোল উৎসবের মাঝে গোল পাননি মেসি।
ম্যাচের পর অবশ্য বললেন, বিষয়টি মোটেও ভাবাচ্ছে না তাঁকে, ‘গোল পাচ্ছি না বলে চিন্তিত নয়। আশা করি, ফাইনালে গোল পাব।’ তবে ব্যক্তিগত অর্জনের চেয়ে মেসির কাছে গুরুত্বপূর্ণ দলের সাফল্য। আর্জেন্টিনা অধিনায়ক বললেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জাতীয় দলকে আরও ওপরে নেওয়া। এখানে কে গোল করল সেটা ব্যাপার নয়। গত ম্যাচে যেমনটা খেলেছি এ ম্যাচেও তা-ই। আমরা একই ধারা বজায় রেখেছি। আরেকটি ফাইনালে ওঠায় আমাদের প্রথম লক্ষ্যটা পূরণ হয়েছে। এখন আমরাও চ্যাম্পিয়ন হতে পারি, ভাবতেই ভালো লাগছে।’
৪ জুলাই কোপা আমেরিকার ফাইনালে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি স্বাগতিক চিলি। জমজমাট এক ফাইনালই আশা করছেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক, ‘ফাইনাল নিয়ে আশাবাদী। জমজমাট এক লড়াই হবে। ফাইনালে আমি পরিষ্কার কোনো ফেবারিট দেখি না। যারা ভালো করবে তারাই জিতবে।’ তথ্যসূত্র: রয়টার্স, গোলডটকম ও ইএসপিএনএফসি।
মেসি কেবল গোল করেন না, সতীর্থদের দিয়েও করান। অ্যাসিস্টের পরিসংখ্যান তা-ই বলে। এই প্রথম আর্জেন্টিনার জার্সিতে এক ম্যাচে সতীর্থদের দিয়ে গোল করিয়েছেন তিনটি। তাঁর পুরো ক্যারিয়ারে এমন ঘটেছে দুবার। এর আগে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে কোপা ডেল রেতে লেভান্তের বিপক্ষে সতীর্থদের দিয়ে তিন গোল করিয়েছিলেন বার্সা ফরোয়ার্ড। ২০১৪-১৫ মৌসুমে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে মেসি মোট অ্যাসিস্ট করেছেন ৩১টি। আর তিনটি করতে পারলে ছাড়িয়ে যাবেন ২০১১-১২ মৌসুমে তাঁর ব্যক্তিগত রেকর্ডটিও। সেবার অ্যাসিস্ট সংখ্যা ছিল ৩৩টি।
তবে পরিসংখ্যান ছাপিয়ে মনে কি খানিকটা আফসোস কাজ করে না? ৯৪৫ মিনিট ধরে যে তিনি গোলবঞ্চিত! আর্জেন্টিনার জার্সিতে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে ‘ওপেন প্লেতে’ সর্বশেষ গোল পেয়েছিলেন গত বিশ্বকাপে, নাইজেরিয়ার বিপক্ষে। এর মধ্যে পেরিয়ে গেছে এক বছরের বেশি সময়। আর্জেন্টিনা অধিনায়কের কাছ থেকে গোলের দেখা মেলেনি।
অবশ্য গত বছর অক্টোবরে হংকংয়ের বিপক্ষে দুই গোল করেছিলেন। কিন্তু ওটা ছিল প্রীতি ম্যাচ। যদি প্রীতি ম্যাচের ওই দুটি গোলও বাদ দেওয়া হয় তবে মেসির গোলবঞ্চিত থাকা সময়ের হিসাবটা ১২০০ মিনিট ছাড়িয়ে যাবে!
এই কোপা আমেরিকায় মেসির পাশে লেখা মাত্র একটি গোল। সেটি এসেছিল গ্রুপ পর্বে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে। কাল ওপেন প্লেতেই প্যারাগুয়েকে গোল বন্যায় ভাসিয়েছে আর্জেন্টিনা। কিন্তু এ গোল উৎসবের মাঝে গোল পাননি মেসি।
ম্যাচের পর অবশ্য বললেন, বিষয়টি মোটেও ভাবাচ্ছে না তাঁকে, ‘গোল পাচ্ছি না বলে চিন্তিত নয়। আশা করি, ফাইনালে গোল পাব।’ তবে ব্যক্তিগত অর্জনের চেয়ে মেসির কাছে গুরুত্বপূর্ণ দলের সাফল্য। আর্জেন্টিনা অধিনায়ক বললেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জাতীয় দলকে আরও ওপরে নেওয়া। এখানে কে গোল করল সেটা ব্যাপার নয়। গত ম্যাচে যেমনটা খেলেছি এ ম্যাচেও তা-ই। আমরা একই ধারা বজায় রেখেছি। আরেকটি ফাইনালে ওঠায় আমাদের প্রথম লক্ষ্যটা পূরণ হয়েছে। এখন আমরাও চ্যাম্পিয়ন হতে পারি, ভাবতেই ভালো লাগছে।’
৪ জুলাই কোপা আমেরিকার ফাইনালে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি স্বাগতিক চিলি। জমজমাট এক ফাইনালই আশা করছেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক, ‘ফাইনাল নিয়ে আশাবাদী। জমজমাট এক লড়াই হবে। ফাইনালে আমি পরিষ্কার কোনো ফেবারিট দেখি না। যারা ভালো করবে তারাই জিতবে।’ তথ্যসূত্র: রয়টার্স, গোলডটকম ও ইএসপিএনএফসি।
No comments