জটা লাগা চুল নয়, অবৈধ ঝুলন্ত তারের জঞ্জাল by সামছুর রহমান
তারের জটলা শুধু নগরের সৌন্দর্যই নষ্ট করছে না, পথচারীদের চলাচলেও বাধা সৃষ্টি করছে। ছবিটি রোববার সকালে মহাখালীর বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড থেকে তোলা l আবদুস সালাম |
দেখলে
মনে হয় অযত্নে জটা লাগা চুল। কিন্তু তা চুল নয়। ইন্টারনেট, ডিশ, টেলিফোন,
বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনগুলো জড়িয়ে আছে একসঙ্গে। এই ‘জটাতারের’ ভারে নুয়ে
পড়েছে বৈদ্যুতিক ও সড়কবাতির খুঁটিও। এতে দুর্ঘটনারও আশঙ্কা থাকে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাথার ওপর তাকালে এমন দলা পাকানো অবৈধ তারের জঞ্জাল চোখে পড়ে। সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করে ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও কেব্ল টিভি অপারেটররা দিনের পর দিন মাথার ওপর দিয়ে তার টানছে।
এসব তার অপসারণের জন্য গঠিত সরকারি কমিটি বলছে, তারা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে তার কেটে আসছে। কিন্তু তা শুধু পণ্ডশ্রমই হচ্ছে। কারণ, তার কেটে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই নতুন করে তার টানছেন ইন্টারনেট ব্যবসায়ীরা।
সড়কের অবৈধ ঝুলন্ত তার অপসারণের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের অধীনে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে করা হয়েছে কমিটি। এ কমিটির আহ্বায়ক বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ বজলুর রহমান গতকাল মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি) আরও কঠোর না হলে এ সমস্যার সমাধান হবে না।
অবশ্য বিটিআরসির গণমাধ্যম শাখার পরিচালক জাকির হোসেন খঁান গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, বিটিআরসির তৎপরতার কারণেই ঢাকায় অবৈধ ঝুলন্ত তার আগের চেয়ে অনেকাংশে কমেছে। ঝুলন্ত তার অপসারণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। অবৈধ তার অপসারণ করতে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় আরও বাড়াতে হবে।
গত রবি ও মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা যায়, বনানী, মহাখালী থেকে গুলশান যাওয়ার পথে, কারওয়ান বাজার এবং মিরপুরের বিভিন্ন সড়কে মাথার ওপরে তারের জটলা। অনেক জায়গায় এসব অবৈধ তার বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে পেঁচিয়ে গেছে। বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের খুঁটিগুলোতেও লাগানো হয়েছে এসব তার। এসব তারে ট্রান্সফরমারের জড়িয়ে যাওয়ায় যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
বনানীর সি-ব্লকের ১১ নম্বর সড়কের এক পাশে পুলিশ বক্সের ওপরে থাকা ট্রান্সফরমার অবৈধ তারে পেঁচিয়ে গেছে। ওই পুলিশ বক্সের দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ সদস্য বলেন, কয়েক দিন পরপর কিছু ছেলে এসব তার মেরামতের কাজ করে। বিদ্যুৎ থাকা অবস্থাতেই বিপজ্জনকভাবে এসব বৈদ্যুতিক খুঁটিতে উঠতে মানা করলেও তারা শোনে না। তাই দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যায়।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বনানী কার্যালয়ের চারপাশের প্রতিটি বৈদ্যুতিক ও সড়কবাতির খুঁটিতে অবৈধ তার ঝুলছে। গত রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ডিএনসিসির বনানী কার্যালয়ের সামনেই ইন্টারনেটের তার টানতে দেখা যায় দুই ব্যক্তিকে। তাঁরা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ঝুলন্ত তার নিয়ে ঝামেলা হয় না। বছরে একবার তার কেটে দেয়। এক ঘণ্টার মধ্যেই আবার নতুন তার টানা হয়।
সরকার উন্নত বিশ্বের মতো ভূগর্ভস্থ কমন নেটওয়ার্ক অর্থাৎ নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) তৈরি করেছে, যাতে মাথার ওপরে ঝুলে থাকা তার বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে নামিয়ে ভূগর্ভস্থ ব্যবস্থাপনায় সংযুক্ত করা হয়। ইন্টারনেট সচল রেখে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার নামিয়ে ভূগর্ভস্থ করা সম্ভব। তবে এনটিটিএন পুরো ঢাকায় এখনো এ সুবিধা দিতে পারছে না।
ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারীদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি এম এ হাকিম বলেন, ঝুলন্ত তার থাকার মূলত দুটি কারণ। ঢাকার সব এলাকায় এনটিটিএন সুবিধা না থাকা এবং কিছু লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠান মাথার ওপর দিয়ে তার টানছে। ঢাকার মতো জনবহুল শহরে সব তার ভূগর্ভস্থ করতে হলে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে এগোতে হবে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাথার ওপর তাকালে এমন দলা পাকানো অবৈধ তারের জঞ্জাল চোখে পড়ে। সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করে ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও কেব্ল টিভি অপারেটররা দিনের পর দিন মাথার ওপর দিয়ে তার টানছে।
এসব তার অপসারণের জন্য গঠিত সরকারি কমিটি বলছে, তারা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে তার কেটে আসছে। কিন্তু তা শুধু পণ্ডশ্রমই হচ্ছে। কারণ, তার কেটে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই নতুন করে তার টানছেন ইন্টারনেট ব্যবসায়ীরা।
সড়কের অবৈধ ঝুলন্ত তার অপসারণের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের অধীনে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে করা হয়েছে কমিটি। এ কমিটির আহ্বায়ক বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ বজলুর রহমান গতকাল মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি) আরও কঠোর না হলে এ সমস্যার সমাধান হবে না।
অবশ্য বিটিআরসির গণমাধ্যম শাখার পরিচালক জাকির হোসেন খঁান গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, বিটিআরসির তৎপরতার কারণেই ঢাকায় অবৈধ ঝুলন্ত তার আগের চেয়ে অনেকাংশে কমেছে। ঝুলন্ত তার অপসারণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। অবৈধ তার অপসারণ করতে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় আরও বাড়াতে হবে।
গত রবি ও মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা যায়, বনানী, মহাখালী থেকে গুলশান যাওয়ার পথে, কারওয়ান বাজার এবং মিরপুরের বিভিন্ন সড়কে মাথার ওপরে তারের জটলা। অনেক জায়গায় এসব অবৈধ তার বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে পেঁচিয়ে গেছে। বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের খুঁটিগুলোতেও লাগানো হয়েছে এসব তার। এসব তারে ট্রান্সফরমারের জড়িয়ে যাওয়ায় যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
বনানীর সি-ব্লকের ১১ নম্বর সড়কের এক পাশে পুলিশ বক্সের ওপরে থাকা ট্রান্সফরমার অবৈধ তারে পেঁচিয়ে গেছে। ওই পুলিশ বক্সের দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ সদস্য বলেন, কয়েক দিন পরপর কিছু ছেলে এসব তার মেরামতের কাজ করে। বিদ্যুৎ থাকা অবস্থাতেই বিপজ্জনকভাবে এসব বৈদ্যুতিক খুঁটিতে উঠতে মানা করলেও তারা শোনে না। তাই দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যায়।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বনানী কার্যালয়ের চারপাশের প্রতিটি বৈদ্যুতিক ও সড়কবাতির খুঁটিতে অবৈধ তার ঝুলছে। গত রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ডিএনসিসির বনানী কার্যালয়ের সামনেই ইন্টারনেটের তার টানতে দেখা যায় দুই ব্যক্তিকে। তাঁরা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ঝুলন্ত তার নিয়ে ঝামেলা হয় না। বছরে একবার তার কেটে দেয়। এক ঘণ্টার মধ্যেই আবার নতুন তার টানা হয়।
সরকার উন্নত বিশ্বের মতো ভূগর্ভস্থ কমন নেটওয়ার্ক অর্থাৎ নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) তৈরি করেছে, যাতে মাথার ওপরে ঝুলে থাকা তার বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে নামিয়ে ভূগর্ভস্থ ব্যবস্থাপনায় সংযুক্ত করা হয়। ইন্টারনেট সচল রেখে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার নামিয়ে ভূগর্ভস্থ করা সম্ভব। তবে এনটিটিএন পুরো ঢাকায় এখনো এ সুবিধা দিতে পারছে না।
ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারীদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি এম এ হাকিম বলেন, ঝুলন্ত তার থাকার মূলত দুটি কারণ। ঢাকার সব এলাকায় এনটিটিএন সুবিধা না থাকা এবং কিছু লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠান মাথার ওপর দিয়ে তার টানছে। ঢাকার মতো জনবহুল শহরে সব তার ভূগর্ভস্থ করতে হলে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে এগোতে হবে।
No comments