কীর্তনখোলায় বিলীন হলো বাজার, সড়ক
বরিশাল
সদরের চারকাউয়া বাজার, ফেরিঘাটের বেশ কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, ফেরির
গ্যাংওয়ে ও আশপাশের সড়ক গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ কীর্তনখোলা নদীতে
বিলীন হয়ে গেছে। ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, বাসস্ট্যান্ড, মাধ্যমিক বিদ্যালয়,
মাদ্রাসা ও অনেক বসতবাড়ি ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। জেলা প্রশাসক গাজী সাইফুজ্জামান, মহানগর পুলিশ কমিশনার শৈবাল কান্তি চৌধুরী ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, বরিশাল নৌবন্দরের পূর্ব তীরে কীর্তনখোলা নদীর
চরকাউয়া অংশে তীব্র স্রোত আঘাত হানছে। বরিশাল-ভোলা মহাসড়কের কীর্তনখোলা
ফেরির গ্যাংওয়ে, বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন পরিষদের সড়ক এবং
চরকাউয়া বাসস্ট্যান্ড ও ফেরির সংযোগ সড়ক নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ইউনিয়ন
পরিষদ ভবনে ফাটল ধরেছে। ভবন থেকে মাত্র কয়েক হাত দূরে নদী। যেকোনো মুহূর্তে
ভবনটি বিলীন হতে পারে। ভাঙনের ঝুঁকির মুখে রয়েছে বাসস্ট্যান্ড, টি আহম্মেদ
মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চরকাউয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আহম্মদিয়া ফাজিল
মাদ্রাসা ও অনেক বসতবাড়ি।
সরদার তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. রিয়াজ বেপারী বলেন, ‘সকাল সাড়ে ছয়টায় এসে দোকানের তালা খুলি। এরপর আর ভেতরে ঢুকতে পারিনি। মুহূর্তের মধ্যে দোকান নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।’ একইভাবে তেল ব্যবসায়ী মো. হান্নান, খাবার হোটেলের ব্যবসায়ী মো. সুলতান আহম্মেদ, মো. ইদ্রিস হোসেন, মোটরসাইকেল গ্যারেজের মালিক মো. রাজিব, মাংস বিক্রেতা মো. হায়দার, মুদি ব্যবসায়ী আবুল কাশেমসহ অনেকের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নদীতে হারিয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা চান মিয়া বলেন, ‘সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে প্রথমে কয়েকটি দোকান ভেঙে যায়। এ সময় অন্যান্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে মালামাল সরানোর চেষ্টা করি। কিন্তু এর মধ্যেই ভাঙনে সব বিলীন হয়ে যায়। ফেরির পন্টুন ভেসে যেতে থাকলে সেটিকে টেনে তীরে আনা হয়।’
চরকাউয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মজিবর রহমান বলেন, ‘গত বছর বসতবাড়ি-বাজারসহ ফেরিঘাটের বড় একটা অংশ নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এরপর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কিছু জিও ব্যাগ ফেলেছিল। কিন্তু ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
পাউবো বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহীর উদ্দীন আহমেদ বলেন, ২০১৩ সাল থেকে চরকাউয়া এলাকার ভাঙন প্রতিরোধে বরাদ্দ চাওয়া হয়। কিন্তু পাওয়া যায়নি। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে জরুরি ভিত্তিতে ৩০ লাখ টাকার কাজ করা হয়েছে। সেই টাকাও পাওয়া যায়নি। ২০১৪ সালে ওই এলাকার ৩৫০ মিটার ভাঙন প্রতিরোধে ১০ কোটি টাকার প্রকল্প পাঠানো হয়। কিন্তু এখনো তা অনুমোদন হয়নি। তিনি আরও বলেন, ‘গতকালের ভাঙনে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মনে হয়েছে পুরো এলাকা এখন ঝুঁকিপূর্ণ। ওই এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে অন্যত্র নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।’
সরদার তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. রিয়াজ বেপারী বলেন, ‘সকাল সাড়ে ছয়টায় এসে দোকানের তালা খুলি। এরপর আর ভেতরে ঢুকতে পারিনি। মুহূর্তের মধ্যে দোকান নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।’ একইভাবে তেল ব্যবসায়ী মো. হান্নান, খাবার হোটেলের ব্যবসায়ী মো. সুলতান আহম্মেদ, মো. ইদ্রিস হোসেন, মোটরসাইকেল গ্যারেজের মালিক মো. রাজিব, মাংস বিক্রেতা মো. হায়দার, মুদি ব্যবসায়ী আবুল কাশেমসহ অনেকের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নদীতে হারিয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা চান মিয়া বলেন, ‘সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে প্রথমে কয়েকটি দোকান ভেঙে যায়। এ সময় অন্যান্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে মালামাল সরানোর চেষ্টা করি। কিন্তু এর মধ্যেই ভাঙনে সব বিলীন হয়ে যায়। ফেরির পন্টুন ভেসে যেতে থাকলে সেটিকে টেনে তীরে আনা হয়।’
চরকাউয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মজিবর রহমান বলেন, ‘গত বছর বসতবাড়ি-বাজারসহ ফেরিঘাটের বড় একটা অংশ নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এরপর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কিছু জিও ব্যাগ ফেলেছিল। কিন্তু ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
পাউবো বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহীর উদ্দীন আহমেদ বলেন, ২০১৩ সাল থেকে চরকাউয়া এলাকার ভাঙন প্রতিরোধে বরাদ্দ চাওয়া হয়। কিন্তু পাওয়া যায়নি। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে জরুরি ভিত্তিতে ৩০ লাখ টাকার কাজ করা হয়েছে। সেই টাকাও পাওয়া যায়নি। ২০১৪ সালে ওই এলাকার ৩৫০ মিটার ভাঙন প্রতিরোধে ১০ কোটি টাকার প্রকল্প পাঠানো হয়। কিন্তু এখনো তা অনুমোদন হয়নি। তিনি আরও বলেন, ‘গতকালের ভাঙনে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মনে হয়েছে পুরো এলাকা এখন ঝুঁকিপূর্ণ। ওই এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে অন্যত্র নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।’
No comments