লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে মামলা করছে দুদক by মোর্শেদ নোমান
মহাজোট
সরকারের সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের
অভিযোগে অবশেষে মামলা করতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আগামী
সপ্তাহেই এ মামলা হতে পারে বলে দুদক সূত্র প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছে।
আজ বুধবার দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্ত অনুবিভাগের উপরিচালক বেনজীর আহমেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে মামলা অনুমোদনের বিষয়টি জানানো হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নেত্রকোনায় সরকারের তিনটি গুদামসহ ৯৮ শতাংশ জমি বিক্রির নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ অনুসন্ধান শেষে মামলার সুপারিশ পাওয়ার সাত মাস পর এ মামলার অনুমোদন দেওয়া হলো।
জানা গেছে, মামলার অনুমোদনের বিষয়টি দুদকের ঢাকা বিভাগীয় পরিচালককে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদনের চিঠি দুদকের ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে পাঠানো হলে তারা মামলা করবে।
অনুসন্ধান সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলা শহরের সাতপাই মৌজায় অবস্থিত বাংলাদেশ জুট করপোরেশনের (বিজিসি) তিনটি গুদামসহ ৯৮ শতাংশ জমি নামমাত্র মূল্যে বিক্রির অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে দুদক। দুদকের ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক পাল কমল চন্দ্র দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে গত বছরের ৩০ নভেম্বর কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেন। লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় মামলা রুজুর সুপারিশ করেন তিনি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়, বিজিসির তিনটি গুদাম মো. তারেক সালমান ও সুধেন্দু শেখর রায় নামে দুই ব্যক্তির কাছে বার্ষিক ৭২ হাজার টাকায় ভাড়া ছিল। তাঁরা যৌথভাবে এ সম্পত্তি কেনার জন্য পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। সে সময়ের মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেন, বিক্রিতে দেরি করলে অবশিষ্ট জমি বেদখল হতে সময় লাগবে না। তদারকির অভাবে ভাড়া দেওয়া গুদামের ভাড়াটিয়া যে বিভিন্ন কাগজপত্র তৈরি করে একসময় এগুলোর মালিক বনে যাবেন না, তার কোনো নিশ্চয়তা দেওয়া যাবে না। এর ফলে রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জমি কিনতে চাইলে যৌক্তিক কারণে ভাড়াটিয়াই অগ্রাধিকার পেতে পারেন।
২০০৮ সালের ১৮ মে বিজেসির সংশোধিত সম্পত্তি বিক্রির নীতিমালায় বিজেসির সব সম্পত্তি বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়। লতিফ সিদ্দিকী এর সপক্ষে আরও উল্লেখ করেন, এ ক্ষেত্রে বিচার্য বিষয় হলো, ভাড়াটিয়াদের কাছে তাঁদের প্রস্তাবে সম্পত্তি বিক্রি করা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেতিবাচক হলে টেন্ডারে যেতে হবে। টেন্ডার হলেই যে স্বচ্ছতার সঙ্গে বিক্রয় কার্যক্রম সম্পন্ন হবে, তা ভাবার কারণ নেই।
দুদকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভবিষ্যতে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিতে পারে, তা জেনে-বুঝেই ১৯৯৪ সালের ৭ জুলাই ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কর্তৃক মূল্যায়িত ওই জমির মূল্যের ৩ গুণ ধার্য করে আবেদনকারীদের কাছে ৯৮ শতাংশ জমি হস্তান্তরের আদেশ দেন লতিফ সিদ্দিকী। সেই হিসাবে জমির দাম ধরা হয় ৫১ লাখ ৮৯ হাজার ৫১৬ টাকা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯৪ সালে মূল্যায়িত সম্পত্তির তিন গুণ মূল্যে জমিটি হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়ে এবং এ বিষয়ে প্রক্রিয়া গ্রহণের মাধ্যমে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে লতিফ সিদ্দিকী ১৯৪৭ সনের ২ নম্বর দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অপরাধ করেছেন।
গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে পবিত্র হজ ও তাবলিগ জামাত এবং প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় মন্ত্রিসভা ও দল থেকে অপসারিত হন লতিফ সিদ্দিকী। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের ১৮টি জেলায় অন্তত ২২টি মামলা হয়। দেশে ফিরে আসার পর গত বছরের ২৫ নভেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে লতিফ সিদ্দিকীকে কারাগারে পাঠানো হয়। হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে গত ২৯ জুন কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি।
লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে দুদকে আরও কয়েকটি অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে।
এর আগে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী থাকার সময় লতিফ সিদ্দিকীর কর্মকাণ্ড বিশেষ করে ওই মন্ত্রণালয়ের সম্পত্তি বেসরকারীকরণের ক্ষেত্রে আইন ও বিধি মানা হয়েছে কি না এবং চুক্তির শর্ত মেনে সম্পত্তি বিক্রি বা হস্তান্তর হয়েছে কি না, তা যাচাই করার জন্য গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক পবন চৌধুরীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ৩১ আগস্ট বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর নানা অনিয়মের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হয়।
ওই কমিটি বলেছিল, পাঁচ বছরে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ৪৮টি সরকারি প্রতিষ্ঠান বেসরকারি খাতে হস্তান্তর বা বিক্রি করেছে। এ সময় দুটি ছাড়া বাকি সব প্রতিষ্ঠান বিনা দরপত্রে, অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায়, বিনা মূল্যে বা কম মূল্যে বেসরকারীকরণ বা বিক্রি করা হয়। আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে এ ধরনের কর্মকাণ্ড করেছেন। সব ধরনের আইনকানুন, নিয়মনীতি ভঙ্গ করে তিনি সরকারি সম্পত্তি হস্তান্তর করেছেন। আইন বা নীতিমালা মানার ক্ষেত্রে তাঁর বক্তব্য ছিল ‘নীতিমালা বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করো’।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মহাজোট সরকারের পাঁচ বছরে (২০০৯-১৩) পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের বিটিএমসি, তাঁত বোর্ড, বিলুপ্ত জুট করপোরেশন (বিজেসি) এবং বিজেএমসির মোট ৪৮টি প্রতিষ্ঠান বেসরকারীকরণ ও হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ঈগল স্টার টেক্সটাইল মিলের ঋণের সুদ মওকুফ করা হয়। ৩০টি প্রতিষ্ঠান পূর্ণাঙ্গ হস্তান্তর করা হয়, ১৭টি হস্তান্তরের প্রক্রিয়াধীন। এর মধ্যে বিনা দরপত্রে দেওয়া হয়েছে ১২টি। এভাবে সম্পত্তি হস্তান্তরের কারণে জনস্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়েছে। তা ছাড়া বেসরকারীকরণ কমিশন আইন ও নীতিমালাও মানা হয়নি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৪৬টি প্রতিষ্ঠান বা ভূমি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে করা অনিয়মগুলো হচ্ছে—যথাযথ মূল্য নির্ধারণ না করা, বিনা দরপত্রে হস্তান্তর, কেবল মন্ত্রীর সিদ্ধান্তে বিনা মূল্যে স্থায়ী বন্দোবস্ত দেওয়া, বিক্রির আগে অর্থনৈতিক সম্পর্কবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন না নেওয়া, বিক্রির শর্ত না মানা, আইনগত জটিলতা নিরসন না করেই হস্তান্তর ইত্যাদি।
আজ বুধবার দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্ত অনুবিভাগের উপরিচালক বেনজীর আহমেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে মামলা অনুমোদনের বিষয়টি জানানো হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নেত্রকোনায় সরকারের তিনটি গুদামসহ ৯৮ শতাংশ জমি বিক্রির নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ অনুসন্ধান শেষে মামলার সুপারিশ পাওয়ার সাত মাস পর এ মামলার অনুমোদন দেওয়া হলো।
জানা গেছে, মামলার অনুমোদনের বিষয়টি দুদকের ঢাকা বিভাগীয় পরিচালককে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদনের চিঠি দুদকের ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে পাঠানো হলে তারা মামলা করবে।
অনুসন্ধান সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলা শহরের সাতপাই মৌজায় অবস্থিত বাংলাদেশ জুট করপোরেশনের (বিজিসি) তিনটি গুদামসহ ৯৮ শতাংশ জমি নামমাত্র মূল্যে বিক্রির অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে দুদক। দুদকের ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক পাল কমল চন্দ্র দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে গত বছরের ৩০ নভেম্বর কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেন। লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় মামলা রুজুর সুপারিশ করেন তিনি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়, বিজিসির তিনটি গুদাম মো. তারেক সালমান ও সুধেন্দু শেখর রায় নামে দুই ব্যক্তির কাছে বার্ষিক ৭২ হাজার টাকায় ভাড়া ছিল। তাঁরা যৌথভাবে এ সম্পত্তি কেনার জন্য পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। সে সময়ের মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেন, বিক্রিতে দেরি করলে অবশিষ্ট জমি বেদখল হতে সময় লাগবে না। তদারকির অভাবে ভাড়া দেওয়া গুদামের ভাড়াটিয়া যে বিভিন্ন কাগজপত্র তৈরি করে একসময় এগুলোর মালিক বনে যাবেন না, তার কোনো নিশ্চয়তা দেওয়া যাবে না। এর ফলে রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জমি কিনতে চাইলে যৌক্তিক কারণে ভাড়াটিয়াই অগ্রাধিকার পেতে পারেন।
২০০৮ সালের ১৮ মে বিজেসির সংশোধিত সম্পত্তি বিক্রির নীতিমালায় বিজেসির সব সম্পত্তি বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়। লতিফ সিদ্দিকী এর সপক্ষে আরও উল্লেখ করেন, এ ক্ষেত্রে বিচার্য বিষয় হলো, ভাড়াটিয়াদের কাছে তাঁদের প্রস্তাবে সম্পত্তি বিক্রি করা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেতিবাচক হলে টেন্ডারে যেতে হবে। টেন্ডার হলেই যে স্বচ্ছতার সঙ্গে বিক্রয় কার্যক্রম সম্পন্ন হবে, তা ভাবার কারণ নেই।
দুদকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভবিষ্যতে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিতে পারে, তা জেনে-বুঝেই ১৯৯৪ সালের ৭ জুলাই ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কর্তৃক মূল্যায়িত ওই জমির মূল্যের ৩ গুণ ধার্য করে আবেদনকারীদের কাছে ৯৮ শতাংশ জমি হস্তান্তরের আদেশ দেন লতিফ সিদ্দিকী। সেই হিসাবে জমির দাম ধরা হয় ৫১ লাখ ৮৯ হাজার ৫১৬ টাকা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯৪ সালে মূল্যায়িত সম্পত্তির তিন গুণ মূল্যে জমিটি হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়ে এবং এ বিষয়ে প্রক্রিয়া গ্রহণের মাধ্যমে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে লতিফ সিদ্দিকী ১৯৪৭ সনের ২ নম্বর দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অপরাধ করেছেন।
গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে পবিত্র হজ ও তাবলিগ জামাত এবং প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় মন্ত্রিসভা ও দল থেকে অপসারিত হন লতিফ সিদ্দিকী। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের ১৮টি জেলায় অন্তত ২২টি মামলা হয়। দেশে ফিরে আসার পর গত বছরের ২৫ নভেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে লতিফ সিদ্দিকীকে কারাগারে পাঠানো হয়। হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে গত ২৯ জুন কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি।
লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে দুদকে আরও কয়েকটি অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে।
এর আগে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী থাকার সময় লতিফ সিদ্দিকীর কর্মকাণ্ড বিশেষ করে ওই মন্ত্রণালয়ের সম্পত্তি বেসরকারীকরণের ক্ষেত্রে আইন ও বিধি মানা হয়েছে কি না এবং চুক্তির শর্ত মেনে সম্পত্তি বিক্রি বা হস্তান্তর হয়েছে কি না, তা যাচাই করার জন্য গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক পবন চৌধুরীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ৩১ আগস্ট বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর নানা অনিয়মের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হয়।
ওই কমিটি বলেছিল, পাঁচ বছরে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ৪৮টি সরকারি প্রতিষ্ঠান বেসরকারি খাতে হস্তান্তর বা বিক্রি করেছে। এ সময় দুটি ছাড়া বাকি সব প্রতিষ্ঠান বিনা দরপত্রে, অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায়, বিনা মূল্যে বা কম মূল্যে বেসরকারীকরণ বা বিক্রি করা হয়। আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে এ ধরনের কর্মকাণ্ড করেছেন। সব ধরনের আইনকানুন, নিয়মনীতি ভঙ্গ করে তিনি সরকারি সম্পত্তি হস্তান্তর করেছেন। আইন বা নীতিমালা মানার ক্ষেত্রে তাঁর বক্তব্য ছিল ‘নীতিমালা বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করো’।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মহাজোট সরকারের পাঁচ বছরে (২০০৯-১৩) পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের বিটিএমসি, তাঁত বোর্ড, বিলুপ্ত জুট করপোরেশন (বিজেসি) এবং বিজেএমসির মোট ৪৮টি প্রতিষ্ঠান বেসরকারীকরণ ও হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ঈগল স্টার টেক্সটাইল মিলের ঋণের সুদ মওকুফ করা হয়। ৩০টি প্রতিষ্ঠান পূর্ণাঙ্গ হস্তান্তর করা হয়, ১৭টি হস্তান্তরের প্রক্রিয়াধীন। এর মধ্যে বিনা দরপত্রে দেওয়া হয়েছে ১২টি। এভাবে সম্পত্তি হস্তান্তরের কারণে জনস্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়েছে। তা ছাড়া বেসরকারীকরণ কমিশন আইন ও নীতিমালাও মানা হয়নি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৪৬টি প্রতিষ্ঠান বা ভূমি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে করা অনিয়মগুলো হচ্ছে—যথাযথ মূল্য নির্ধারণ না করা, বিনা দরপত্রে হস্তান্তর, কেবল মন্ত্রীর সিদ্ধান্তে বিনা মূল্যে স্থায়ী বন্দোবস্ত দেওয়া, বিক্রির আগে অর্থনৈতিক সম্পর্কবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন না নেওয়া, বিক্রির শর্ত না মানা, আইনগত জটিলতা নিরসন না করেই হস্তান্তর ইত্যাদি।
No comments