ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৪তম জন্মদিনে রঙিন সাজ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে জমকালো আলোকসজ্জা করা হয়েছে কার্জন হলে। গতকাল রাতে ওই ভবনের সামনে সেলফি তুলতে ব্যস্ত তিন শিক্ষার্থী l প্রথম আলো |
গ্রীষ্মের
বন্ধ। সঙ্গে ঈদের ছুটি। প্রায় সবারই সমাপনী পরীক্ষা শেষ। বেশির ভাগই চলে
গেছেন বাড়িতে। ধারণা ছিল, জমবে না। তারপরও সকালে
শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছোট ছোট দল ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরে পৌঁছালে তা বেশ বড়সড় জমায়েতে পরিণত হয়।
এই জমায়েতের হেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ হিসেবে প্রতিবছর দিনটি পালন করা হয়। গতকাল বুধবার এ উপলক্ষে দিনভর ক্যাম্পাসে ছিল নানান আয়োজন। এরই অংশ হিসেবে সকালে এই জমায়েত। ১৯টি হল, চারটি হোস্টেলের আলাদা শোভাযাত্রা। গায়ে লাল-নীল টি-শার্ট। মাথায় কাগজের টুপি। প্রতিটি দলেরই আলাদা ব্যানার।
সবার অংশগ্রহণে সেখান থেকে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) পর্যন্ত বিশাল এক শোভাযাত্রা। উৎসাহ-উদ্দীপনার কমতি ছিল না। ঢাকঢোলের সঙ্গে চলে নাচ। নাচের চেয়ে বেশি লাফ-ঝাঁপ। মুখে রং মেখে নানা রকম সাজ। আর পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ই জন্মদিনের রঙিন সাজে। কলা ভবন, টিএসসি, কার্জন হলসহ সব বড় ভবন ও হলগুলোতে আলোকসজ্জা করা হয়। বিভাগ আর ইনস্টিটিউটের বারান্দায় ঝুলে বেলুন, ফেস্টুন। মেঝে-দেয়ালে আলপনাসহ নানান আঁকিবুঁকি।
এবারের বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘উচ্চশিক্ষা ও টেকসই উন্নয়ন’। শোভাযাত্রার আগে সকাল ১০টার দিকে মল চত্বরে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও হলগুলোর পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে উদ্বোধনী সংগীত গেয়ে শুরু হয় সব কর্মসূচি। উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী।
উপদেষ্টা বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়—এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু একবিংশ শতাব্দীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও নিজেদের অবস্থান করে নিতে হবে।’ তিনি বলেন, আর তা হলে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘বিশ্ব নাগরিক’ প্রতিযোগিতার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্লোগান শিক্ষাই আলো। এই আলোতে শুধু দেশ নয়, বিশ্বের সব স্থান আলোকিত হবে। আমরা এই শিক্ষার মাধ্যমেই এগিয়ে যেতে চাই। আমরা চাই উন্নয়ন টেকসই হোক। আর উন্নয়ন টেকসই হওয়ার জন্য প্রয়োজন মানসম্মত শিক্ষা।’
বেলা ১১টায় টিএসসিতে উপাচার্যের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশ নেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ, সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সহিদ আকতার হুসাইন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দীন, শিক্ষাসচিব মো. নজরুল ইসলাম খান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠনের নেতারা।
দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব অনুষদ, বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও আবাসিক হলগুলোর আলাদা আয়োজন ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারে পুরাতন ও দুর্লভ বিভিন্ন পাণ্ডুলিপির প্রদর্শন চলে। কার্জন হলের বারান্দায় বায়োমেডিকেল ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগ প্রদর্শন করে বিভাগের উদ্ভাবিত চিকিৎসা প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি ও গবেষণাকর্ম। ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগ আয়োজন করে ‘ইলেকট্রনিকস প্রজেক্ট এক্সিবিশন’। সেখানে ছোট রোবট কার, স্বয়ংক্রিয় আগুন নির্বাপক প্রযুক্তি, মুঠোফোনে গাড়িচালকদের ঘুমের মাত্রা নির্ণয়, স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানির পাম্প নিয়ন্ত্রণ, জেব্রা ক্রসিংয়ে পথচারীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি প্রকল্পের প্রদর্শনী হয়।
চারুকলায় হয় শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। বিকেলে সেসব ছবি গ্যালারিতে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়। নাটমণ্ডলে স্বদেশি নকশা নাটক মঞ্চস্থ করে থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ।
এই জমায়েতের হেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ হিসেবে প্রতিবছর দিনটি পালন করা হয়। গতকাল বুধবার এ উপলক্ষে দিনভর ক্যাম্পাসে ছিল নানান আয়োজন। এরই অংশ হিসেবে সকালে এই জমায়েত। ১৯টি হল, চারটি হোস্টেলের আলাদা শোভাযাত্রা। গায়ে লাল-নীল টি-শার্ট। মাথায় কাগজের টুপি। প্রতিটি দলেরই আলাদা ব্যানার।
সবার অংশগ্রহণে সেখান থেকে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) পর্যন্ত বিশাল এক শোভাযাত্রা। উৎসাহ-উদ্দীপনার কমতি ছিল না। ঢাকঢোলের সঙ্গে চলে নাচ। নাচের চেয়ে বেশি লাফ-ঝাঁপ। মুখে রং মেখে নানা রকম সাজ। আর পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ই জন্মদিনের রঙিন সাজে। কলা ভবন, টিএসসি, কার্জন হলসহ সব বড় ভবন ও হলগুলোতে আলোকসজ্জা করা হয়। বিভাগ আর ইনস্টিটিউটের বারান্দায় ঝুলে বেলুন, ফেস্টুন। মেঝে-দেয়ালে আলপনাসহ নানান আঁকিবুঁকি।
এবারের বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘উচ্চশিক্ষা ও টেকসই উন্নয়ন’। শোভাযাত্রার আগে সকাল ১০টার দিকে মল চত্বরে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও হলগুলোর পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে উদ্বোধনী সংগীত গেয়ে শুরু হয় সব কর্মসূচি। উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী।
উপদেষ্টা বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়—এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু একবিংশ শতাব্দীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও নিজেদের অবস্থান করে নিতে হবে।’ তিনি বলেন, আর তা হলে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘বিশ্ব নাগরিক’ প্রতিযোগিতার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্লোগান শিক্ষাই আলো। এই আলোতে শুধু দেশ নয়, বিশ্বের সব স্থান আলোকিত হবে। আমরা এই শিক্ষার মাধ্যমেই এগিয়ে যেতে চাই। আমরা চাই উন্নয়ন টেকসই হোক। আর উন্নয়ন টেকসই হওয়ার জন্য প্রয়োজন মানসম্মত শিক্ষা।’
বেলা ১১টায় টিএসসিতে উপাচার্যের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশ নেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ, সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সহিদ আকতার হুসাইন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দীন, শিক্ষাসচিব মো. নজরুল ইসলাম খান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠনের নেতারা।
দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব অনুষদ, বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও আবাসিক হলগুলোর আলাদা আয়োজন ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারে পুরাতন ও দুর্লভ বিভিন্ন পাণ্ডুলিপির প্রদর্শন চলে। কার্জন হলের বারান্দায় বায়োমেডিকেল ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগ প্রদর্শন করে বিভাগের উদ্ভাবিত চিকিৎসা প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি ও গবেষণাকর্ম। ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগ আয়োজন করে ‘ইলেকট্রনিকস প্রজেক্ট এক্সিবিশন’। সেখানে ছোট রোবট কার, স্বয়ংক্রিয় আগুন নির্বাপক প্রযুক্তি, মুঠোফোনে গাড়িচালকদের ঘুমের মাত্রা নির্ণয়, স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানির পাম্প নিয়ন্ত্রণ, জেব্রা ক্রসিংয়ে পথচারীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি প্রকল্পের প্রদর্শনী হয়।
চারুকলায় হয় শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। বিকেলে সেসব ছবি গ্যালারিতে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়। নাটমণ্ডলে স্বদেশি নকশা নাটক মঞ্চস্থ করে থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ।
No comments