‘ব্লগারদের বিষয়ে সরকার নিষ্ক্রিয়’
প্রগতিশীল
ও মুক্তমনা ব্লগারদের নৃশংস হত্যাকা-ের বিষয়ে সরকার নিষ্ক্রিয় বলে অভিযোগ
করেছেন নিহত ব্লগার অভিজিৎ রায়ের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক
অজয় রায়। শুক্রবার বিকালে রাজধানী মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে আর্টিকেল ১৯
আয়োজিত ব্লগারদের সনদ প্রকাশনা অনুষ্ঠাতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব
কথা বলেন। অধ্যাপক অজয় রায় বলেন, বর্তমান সরকার ব্লগারদের কি চোখে দেখে
জানি না। কোনটি নাস্তিক, মুক্তবুদ্ধির, না বিজ্ঞানমনস্ক। নাস্তিক হওয়াটা কি
অপরাধ? নাস্তিক হওয়াটা যদি অপরাধ হয় তাহলে দেশের প্রচলিত আইন দ্বারা তাদের
বিচার করে মৃত্যুদ- দেয়া হোক। এতে আপত্তি থাকবে না। কিন্তু, কোন অপরাধ না
করে শুধু নিজের ব্যক্তিগত মতামতটুকু মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য
হত্যাকা-ের শিকার হতে হবে এমন কুৎসিত বিষয় কখনই মেনে নেয়া যায় না। একে
প্রতিহত করতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে ব্লগাররা মৌলবাদী ও জঙ্গিগোষ্ঠীর
টার্গেটে পরিণত হয়েছে। তাদের অপরাধ কি? কি অপরাধ ছিল তার ছেলের অভিজিতের।
বিজ্ঞান মনস্ক হওয়াই কি ছিল তার অপরাধ। ব্লগার ওয়াসিকুর রহমান বাবুর অপরাধ
কি ছিল? ওই ছেলেটা দিনের বেলায় একটি ট্র্যাভেল এজেন্সিতে কাজ করতো। আর
রাতের বেলায় নিজস্ব ওয়েব সাইটে মুক্তবুদ্ধির চর্চা করতো। তার মতামতটুকু
অপরের কাছে পৌঁছে দিতো। যুক্তির শিরদার উপস্থাপন করতো। এজন্য তাদেরকে
এভাবে মেরে ফেলা হবে!।
ব্লগার হত্যাকা- প্রতিরোধের ব্যাপারে সরকারের কোন কার্যকর উদ্যোগ নেই বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি আরও বলেন, অভিজিৎ হত্যাকা-ের পর প্রধানমন্ত্রী আমাকে ফোন করে জানান যে, স্যার কি করতে পারি। তখন আমি বললাম, আমার ছেলেকে তো তারা বিদায় করে দিয়েছে। আর তো তাকে ফিরে পাবো না। এখন আমি আর কি চাইতে পারি। শুধু এতটুকু চাওয়ার আছে যে, যারা এই হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হোক। তাদের দুজনের এই টেলিফোনের কথা মিডিয়ায় আসতে দেয়া হয়নি। তাদের ভয় ছিল যে একজন ব্লগারের পিতাকে প্রধানমন্ত্রী সান্ত¡না দিচ্ছেন। এটা অন্যরা কিভাবে দেখবে এবং ভাববে। এই অধ্যাপক আরও বলেন, অভিজিতের হত্যাকারীদের প্রকৃত খুনিদের এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ। শুধু একজনকে ধরেছে তার নাম ফারাবী। ফারাবী ফেসবুকে অভিজিৎকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল। অন্যরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। তিনি ব্লগার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাহাবুবুর রহমান বলেন, ব্লগ যেন ঘৃনা ছড়াছড়ির ব্যাক্সে পরিণত না হয়। তারা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তাদের নিরাপত্তা দেয়াটা সরকারের একান্ত দায়িত্ব। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থানকালে আর্টিকেল ১৯ বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক তাহমিনা রহমান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বেসরকারি হিসাব মতে ব্লগসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায় ৪ কোটি ৪৬ লাখ লোক সক্রিয় আছে। এই ব্লগে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কৌশলে জামায়াত-শিবির ব্লগকে রাজনৈতিক হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করে আসছে। তাদের এই ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত আছে। আমাদের এই বিষয়ে আরও সচেতন হতে হবে।
ব্লগার হত্যাকা- প্রতিরোধের ব্যাপারে সরকারের কোন কার্যকর উদ্যোগ নেই বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি আরও বলেন, অভিজিৎ হত্যাকা-ের পর প্রধানমন্ত্রী আমাকে ফোন করে জানান যে, স্যার কি করতে পারি। তখন আমি বললাম, আমার ছেলেকে তো তারা বিদায় করে দিয়েছে। আর তো তাকে ফিরে পাবো না। এখন আমি আর কি চাইতে পারি। শুধু এতটুকু চাওয়ার আছে যে, যারা এই হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হোক। তাদের দুজনের এই টেলিফোনের কথা মিডিয়ায় আসতে দেয়া হয়নি। তাদের ভয় ছিল যে একজন ব্লগারের পিতাকে প্রধানমন্ত্রী সান্ত¡না দিচ্ছেন। এটা অন্যরা কিভাবে দেখবে এবং ভাববে। এই অধ্যাপক আরও বলেন, অভিজিতের হত্যাকারীদের প্রকৃত খুনিদের এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ। শুধু একজনকে ধরেছে তার নাম ফারাবী। ফারাবী ফেসবুকে অভিজিৎকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল। অন্যরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। তিনি ব্লগার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাহাবুবুর রহমান বলেন, ব্লগ যেন ঘৃনা ছড়াছড়ির ব্যাক্সে পরিণত না হয়। তারা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তাদের নিরাপত্তা দেয়াটা সরকারের একান্ত দায়িত্ব। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থানকালে আর্টিকেল ১৯ বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক তাহমিনা রহমান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বেসরকারি হিসাব মতে ব্লগসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায় ৪ কোটি ৪৬ লাখ লোক সক্রিয় আছে। এই ব্লগে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কৌশলে জামায়াত-শিবির ব্লগকে রাজনৈতিক হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করে আসছে। তাদের এই ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত আছে। আমাদের এই বিষয়ে আরও সচেতন হতে হবে।
No comments