মৌলভীবাজার বিএনপিতে সরব আলোচনা by ইমাদ উদ দীন
বিরোধী
দল বিএনপি ঘর গোছাতে শুরু করেছে- জেলা জুড়ে এমনই সরব আলোচনা। এ আলোচনার
কারণ জেলার সীমান্ত উপজেলা বড়লেখার দুটি কমিটি। যেখানে জেলার রাজনীতিতে
পরস্পর বিরোধী সভাপতি ও সম্পাদক দুজনই সই করেছেন। দু’দিন আগে কমিটি দুটি
প্রকাশ পেয়েছে। ঐকমত্যের ওই কমিটি নিয়ে তৃণমূলে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরতে শুরু
করেছে। দু’ধারায় বিভিক্ত জেলার নেতারাও এটাকে ইতিবাচক হিসাবেই দেখছেন। তারা
আশাবাদী জেলার অন্য কমিটিগুলো নিয়ে। এখানেও বড়লেখার ধাবাহিকতায় ঐক্যের
সুবাতাস বইবে। সেখানেও তৃণমূলের মতামতের প্রতিফলন ঘটবে। নেতারা জানান, ২০০৯
সাল থেকে কমিটি নিয়েই জেলার রাজনীতিতে বিরোধের সূত্রপাত ঘটেছিল। সে থেকে
দ্বন্দ্ব, রেশারেশি আরও কত কি! ধীরে ধীরে এ বিরোধ দলের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনেও
ছড়িয়ে পড়ে। সভাপতি-সম্পাদক দুজনই নিজ নিজ বলয় সৃষ্টিতে সক্রিয় হন জেলার সব
কয়টি সাংগঠনিক উপজেলায়। স্পষ্ট বিভক্তি এসে যায় জেলা বিএনপির রাজনীতিতে।
সাংগঠনিক কার্যক্রম চলে আলাদা আলাদাভাবে। বিএনপি থেকে শুরু করে অঙ্গ ও
সহযোগী সংগঠনগুলোতেও হয় দুটি কমিটি। জেলা সভাপতি এম নাসের রহমান ও সাধারণ
সম্পাদক খালেদা রব্বানী এমন অভ্যন্তরীণ গ্রুপিং দ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার
করলেও নেতা-কর্মীদের মধ্যে এমনটিই লক্ষণীয়। জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মীরা
দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করেন দুটি ধারায়। এরই ধারাবাহিকতায় বড়লেখাতেও
হয় দুটি কমিটি। ২০০৯ সালে হওয়া একটি কমিটির অনুমোদন দেন জেলা সভাপতি এম
নাসের রহমান আর অপরটি অনুমোদন আনা হয় কেন্দ্র কমিটি থেকে। এক কমিটির
নেতৃত্ব দেন দারাদ আহমদ ও অপর কমিটিতে ছিলেন হাফিজ আহমদ। দুই নেতার
নেতৃত্বে বড়লেখায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালিত হতো আলাদা আলাদা ভাবে। আন্দোলনে
জেলার মধ্যে অন্যতম সক্রিয় ভূমিকা রাখেন বড়লেখার নেতাকর্মীরা। আর এ কারণে
এখন রাজনৈতিক হয়রানিমূলক একাধিক মামলার গ্লানিও টানতে হচ্ছে নেতাকর্মীদের।
তারপরও কর্মীদের দাবি রাজপথে আন্দোলনে নিজেদের মধ্যে একে অপরের প্রতিপক্ষ
না থাকলে আরও সফলতা আসতো আন্দোলনে। তাদের অভিযোগ এমনি প্রত্যাশায় ভাটা পড়ায়
নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছিল হতাশা। দীর্ঘদিন থেকে দুটি ধারায় আন্দোলন
চলায় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের অন্ত ছিল না। হাতাশাগ্রস্ত তৃণমূলের এসব
নেতা-কর্মী জেলা কমিটিসহ কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে বিরাজমান অবস্থা নিরসনে
তাদের হস্তক্ষেপ চায়। অবশেষে তাদের জোরালো দাবির প্রেক্ষিতে উভয় গ্রুপকে এক
করে সমঝোতার ভিত্তিতে একটি কমিটির তালিকা পাঠাতে জেলা নেতৃবৃন্দ দায়িত্ব
দেন জেলা বিএনপি নেতা, জুড়ী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও (বড়লেখা-জুড়ী
সংসদীয় আসনের) সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী নাসির উদ্দিন আহমদ মিঠু কে।
তিনি দীর্ঘ কয়েক মাস এ নিয়ে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে
তাদের প্রস্তাব অনুযায়ী একটি কমিটির তালিকা পাঠান জেলা নেতৃবৃন্দের কাছে।
এর প্রেক্ষিতে তৃণমূলের প্রস্তাবিত এই তালিকা অনুযায়ী যাচাই-বাছাই শেষে ১০১
সদস্যের বড়লেখা উপজেলা ও পৌর কমিটির অনুমোদন দেন জেলা কমিটির সভাপতি নাসের
রহমান ও সাধারণ সম্পাদক বেগম খালেদা রব্বানী। নতুন কমিটিতে উপজেলা সভাপতি
হয়েছেন- মো. আবদুল হাফিজ, সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুর রহমান (খছরু) ও
সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক মো. আবুস সহিদ খান। পৌর বিএনপির সভাপতি হয়েছেন-
আনোয়ারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রেহানা বেগম হাছনা ও সাংগঠনিক সম্পাদক
হাজী মুক্তাদির হোসেন মিছবাহ।
ঐক্যেও ‘অনৈক্য’: এদিকে নতুন কমিটি নিয়ে কয়েকজন নেতা প্রশ্ন তুলেছেন। উপজেলা কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা সাবেক দু’কমিটিতে সভাপতি ও সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা দারাদ আহমদ মানবজমিনকে বলেছেন, আমি এ কমিটির বিষয়ে কিছু জানি না। আমাকে না রাখা হলেও আরও ভাল হতো। বড়লেখার সাবেক এমপি, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরী এবং বড়লেখা যুবদল সভাপতি ও পৌর মেয়র ফখরুল ইসলামও নতুন কমিটিতে নাখোশ। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা নতুন কমিটির বিষয়ে কিছু জানেন না বলে মানবজমিনকে জানান। তারা ক্ষোভের সঙ্গে জানান যারা তৃণমূলে দলের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করেন তাদেরকে উপেক্ষা করে কোন ধরনের পূর্ব ঘোষণা কিংবা কাউন্সিল ছাড়া কিভাবে কমিটি হয় তা তাদের বোধগম্য নয়। তারা এ বিষয়ে কেন্দ্র কমিটিকে অবগত করবেন বলে জানান। তবে জেলা কমিটির সাবেক কয়েকজন নেতা বলেন, এটা একটা বৃহত্তর দল। এখানে মতপার্থক্য থাকবেই। দলীয় কর্মকাণ্ডে বিএনপি আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি শক্তিশালী। বিগত দিনের আন্দোলনে আমরা এর প্রমাণ দেখিয়েছি। তবে তাদের দাবি বড়লেখার মতো দুটি ধারা এক হলে স্থানীয়ভাবে দল আরও শক্তিশালী হতো।
তবে খুব শিগগির দুটি ধারা এভাবেই এক হবে বলে তারা আশাবাদী। মৌলভীবাজার জেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রলের নেতৃবৃন্দ জানান, অভিভাবক সংগঠনে দ্বন্দ্ব থাকলে তা স্বভাবতই অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনে ছড়ায়। সরকার বিরোধী আন্দোলন জোরদার ও রাজপথে সরব থাকতে এসব অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব দূর করে বড়লেখার মতো সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজন। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা বিএনপির দু’গ্রুপের কয়েকজন সিনিয়র নেতা দাবি করেন দলের বৃহৎ স্বার্থে জেলা বিএনপিতে বয়ে চলা গ্রুপিং-দ্বন্দ্ব খুব শিগগির মিটমাট হতে যাচ্ছে। এই কমিটিই তার একটি প্রাথমিক দৃষ্টান্ত। তারা জানান জেলা কমিটির দুই গ্রুপের কয়েজন নেতা এ দ্বন্দ্ব নিরসনে ভূমিকা রাখছেন। দুটি ধারায় চলা এই সংগঠনের নেতা কর্মীরা যাতে এক হয়ে চলতে পারেন সেই চেষ্টা তারা অব্যাহত রেখেছেন। তারা সফল হয়েছেন আগামীতেও পুরোপুরি সফল হবেন বলে আশা করছেন। জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি এম নাসের রহমান ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা বেগম খালেদা রব্বানীর সঙ্গে বড়লেখা উপজেলা বিএনপির কমিটি ও পৌর বিএনপির কমিটির ঐকমত্যের ভিত্তিতে অনুমোদনের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা মানবজমিনকে জানান তৃণমূলের নেতাকর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে তাদের দেয়া তালিকা অনুযায়ী আমরা এই দুই কমিটির অনুমোদন দিয়েছি। এমনিভাবে সম্প্রতি জুড়ী উপজেলা বিএনপিরও কমিটি দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে জানান, আগামীতে দলীয় কর্মসূচি যাতে সক্রিয় ভাবে পালন করতে পারেন এখন থেকে এই কমিটির মাধ্যমেই দলের নিবেদিত কর্মীরা আরও অনুপ্রাণিত হবেন এমনটিই প্রত্যাশা তাদের।
ঐক্যেও ‘অনৈক্য’: এদিকে নতুন কমিটি নিয়ে কয়েকজন নেতা প্রশ্ন তুলেছেন। উপজেলা কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা সাবেক দু’কমিটিতে সভাপতি ও সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা দারাদ আহমদ মানবজমিনকে বলেছেন, আমি এ কমিটির বিষয়ে কিছু জানি না। আমাকে না রাখা হলেও আরও ভাল হতো। বড়লেখার সাবেক এমপি, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরী এবং বড়লেখা যুবদল সভাপতি ও পৌর মেয়র ফখরুল ইসলামও নতুন কমিটিতে নাখোশ। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা নতুন কমিটির বিষয়ে কিছু জানেন না বলে মানবজমিনকে জানান। তারা ক্ষোভের সঙ্গে জানান যারা তৃণমূলে দলের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করেন তাদেরকে উপেক্ষা করে কোন ধরনের পূর্ব ঘোষণা কিংবা কাউন্সিল ছাড়া কিভাবে কমিটি হয় তা তাদের বোধগম্য নয়। তারা এ বিষয়ে কেন্দ্র কমিটিকে অবগত করবেন বলে জানান। তবে জেলা কমিটির সাবেক কয়েকজন নেতা বলেন, এটা একটা বৃহত্তর দল। এখানে মতপার্থক্য থাকবেই। দলীয় কর্মকাণ্ডে বিএনপি আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি শক্তিশালী। বিগত দিনের আন্দোলনে আমরা এর প্রমাণ দেখিয়েছি। তবে তাদের দাবি বড়লেখার মতো দুটি ধারা এক হলে স্থানীয়ভাবে দল আরও শক্তিশালী হতো।
তবে খুব শিগগির দুটি ধারা এভাবেই এক হবে বলে তারা আশাবাদী। মৌলভীবাজার জেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রলের নেতৃবৃন্দ জানান, অভিভাবক সংগঠনে দ্বন্দ্ব থাকলে তা স্বভাবতই অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনে ছড়ায়। সরকার বিরোধী আন্দোলন জোরদার ও রাজপথে সরব থাকতে এসব অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব দূর করে বড়লেখার মতো সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজন। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা বিএনপির দু’গ্রুপের কয়েকজন সিনিয়র নেতা দাবি করেন দলের বৃহৎ স্বার্থে জেলা বিএনপিতে বয়ে চলা গ্রুপিং-দ্বন্দ্ব খুব শিগগির মিটমাট হতে যাচ্ছে। এই কমিটিই তার একটি প্রাথমিক দৃষ্টান্ত। তারা জানান জেলা কমিটির দুই গ্রুপের কয়েজন নেতা এ দ্বন্দ্ব নিরসনে ভূমিকা রাখছেন। দুটি ধারায় চলা এই সংগঠনের নেতা কর্মীরা যাতে এক হয়ে চলতে পারেন সেই চেষ্টা তারা অব্যাহত রেখেছেন। তারা সফল হয়েছেন আগামীতেও পুরোপুরি সফল হবেন বলে আশা করছেন। জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি এম নাসের রহমান ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা বেগম খালেদা রব্বানীর সঙ্গে বড়লেখা উপজেলা বিএনপির কমিটি ও পৌর বিএনপির কমিটির ঐকমত্যের ভিত্তিতে অনুমোদনের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা মানবজমিনকে জানান তৃণমূলের নেতাকর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে তাদের দেয়া তালিকা অনুযায়ী আমরা এই দুই কমিটির অনুমোদন দিয়েছি। এমনিভাবে সম্প্রতি জুড়ী উপজেলা বিএনপিরও কমিটি দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে জানান, আগামীতে দলীয় কর্মসূচি যাতে সক্রিয় ভাবে পালন করতে পারেন এখন থেকে এই কমিটির মাধ্যমেই দলের নিবেদিত কর্মীরা আরও অনুপ্রাণিত হবেন এমনটিই প্রত্যাশা তাদের।
No comments