ব্যুরোক্রেসি ও বাংলাদেশ by আতাউর রহমান
ব্যুরোক্রেসি তথা আমলাতন্ত্র সম্পর্কে
বিলেতে একটা স্ট্যান্ডার্ড জোকই আছে: উচ্চপর্যায়ের জনৈক আমলা চিকিৎসকের
কাছে গেছেন ঘুমের ব্যাঘাতের অভিযোগ নিয়ে। ‘আপনার কি রাতে ঘুম ভালো হয়
না?’ চিকিৎসকের এই প্রশ্নের প্রত্যুত্তরে তিনি জানালেন, ‘না, আমার রাতের
ঘুম ঠিকই হয়, সকালের ঘুমেও কোনো সমস্যা নেই; দুপুরে লাঞ্চের পরে যে
দিবানিদ্রা দিই, সেটা একটু ডিস্টার্বড হচ্ছে।’
আর আমাদের দেশে বর্তমানে বিদ্যমান ব্যুরোক্রেসি প্রসঙ্গে আমার বিবেচনায় এই পরাবাস্তব গল্পটিকে স্ট্যান্ডার্ড জোক হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে: চিড়িয়াখানা থেকে দুটি বাঘ পালানোর পর একটি যায় উত্তরবঙ্গে, অপরটি প্রবেশ করে বাংলাদেশ সচিবালয়ে। বহুদিন পরে বাঘ দুটি চিড়িয়াখানায় ফিরে এলে তাদের মধ্যে দেখা-সাক্ষাৎ ও কথাবার্তা হচ্ছিল। উত্তরবঙ্গে যে গিয়েছিল সে বলল, ‘ওখানে খাদ্যের খুব অভাব, বন-বাদাড়ও প্রায় উজাড়; তাই ভেবে দেখলাম চিড়িয়াখানার বন্দিত্বই ভালো, অন্তত দুই বেলা পেট ভরে খেতে পারব।’ তখন সচিবালয়ের অভ্যন্তরে যে প্রবেশ করেছিল সে বলল, ‘আমি একটা সিঁড়ির নিচে লুকিয়ে ছিলাম। রোজ একজন করে কর্মচারী খেতাম, কেউই টের পেত না। কিন্তু একদিন ভুল করে বসলাম, যে চেয়ারে একজন জুনিয়র কর্মকর্তা বসতেন, সেই চেয়ারে একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বসা ছিলেন। তাঁকে আমি জুনিয়র কর্মকর্তা মনে করে খেয়ে ফেললাম। এতে প্রচণ্ড হইচই পড়ে গেল। আমি ভয় পেয়ে পালিয়ে এলাম।’
উপরন্তু জোক নিয়ে যে স্ট্যান্ডার্ড জোকটি আছে, সেটাতেও ব্যুরোক্রেসির প্রকৃত স্বরূপই পরিলক্ষিত হয়: সরকারি অফিসে মাঝারি পর্যায়ের এক কর্মকর্তা দুপুরে টিফিনের টেবিলে জোকস বলতেন এবং তাঁর অধীনস্থ সবাই সেগুলো শুনে হাসিতে ফেটে পড়তেন। একদিন সবাই হাসছেন, কিন্তু একজনকে হাসতে না দেখে তিনি জিজ্ঞেস করে বসলেন, ‘আপনি হাসছেন না কেন? আপনার কি মন খারাপ?’ ‘আমার মন খারাপ হবে কেন?’ কর্মচারীটি প্রত্যুত্তরে বললেন, ‘আমি হাসছি না এ জন্য যে আমি আর আপনার আন্ডারে কাজ করছি না, গতকাল থেকে অন্য সেকশনে বদলি হয়ে গেছি। যাঁরা হাসার তাঁরা তো ঠিকই হাসছেন।’ অর্থাৎ আগে তিনি হাসতেন বসকে খুশি করার জন্য। এখন অন্য সেকশনে বদলি হওয়ায় তাঁর আর হাসির প্রয়োজন নেই।
আমলাতন্ত্রে কোনো কর্মকাণ্ডের গতি স্তব্ধ করে দিতে হলে সর্বাগ্রে সচরাচর যেটা করা হয় সেটা হচ্ছে, একটা কমিটি করে দেওয়া। আর একদা কে যেন বলেছিল, ‘কমিটির সন্ধি-বিচ্ছেদ হচ্ছে: কাম-মিট-অ্যান্ড টি; এসো দেখা করো এবং চা খাও।’
সে যা হোক। ব্যুরোক্রেসির অপর নাম সিভিল সার্ভিস। আর সিভিল সার্ভেন্টদের সম্পর্কে সেই চল্লিশের দশকে যাযাবর তাঁর দৃষ্টিপাত শীর্ষক রম্য পুস্তকে বলে গেছেন, ‘দে আর নিদার সিভিল নর সার্ভেন্ট’; অর্থাৎ তারা সুশীলও নয়, সেবকও নয়। এবং আমাদের দেশের এক ছেলে তার পিতৃপরিচয় দিতে গিয়ে যে বলে ফেলেছিল, ‘হি ইজ এ সিভিল সারপেন্ট’, অর্থাৎ তিনি ‘একজন ভদ্র সাপ’, সেটাও বোধ করি নেহাত অমূলক নয়। সর্বোপরি, আমলাতন্ত্রের নিশ্চিত লক্ষণ হচ্ছে এই যে টেলিফোনে প্রথম যে ব্যক্তি আপনাকে জবাব দেবেন, তিনি গ্রামোফোন রেকর্ডের মতো বলে দেবেন, স্যার ‘মিটিংয়ে’ আছেন, যেটা অনেক সময় তাঁর উচ্চারণ-বিভ্রাটের কারণে শোনা যাবে ‘মেটিংয়ে’ তথা সঙ্গমরত আছেন। তা ছাড়া আমলাতন্ত্রে কোনো কর্মকাণ্ডের গতি স্তব্ধ করে দিতে হলে সর্বাগ্রে সচরাচর যেটা করা হয় সেটা হচ্ছে, একটা কমিটি করে দেওয়া। আর একদা কে যেন বলেছিল, ‘কমিটির সন্ধি-বিচ্ছেদ হচ্ছে: কাম-মিট-অ্যান্ড টি; এসো দেখা করো এবং চা খাও।’
‘ল্যাম্বস টেইলস ফ্রম শেক্সপিয়ার’ খ্যাত ইংরেজ লেখক চার্লস ল্যাম্ব ছিলেন একটু তোতলা। তো তিনি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির লন্ডনস্থ অফিসে কর্মরত থাকাকালে প্রায় প্রতিদিনই অফিসে দেরি করে আসতেন আবার চলে যেতেনও সবার আগেভাগে। একদিন তাঁর বস অফিসে দেরিতে আসার জন্য তাঁকে তিরস্কার করলে তিনি আড়ষ্ট জিহ্বা নিয়ে বলে উঠেছিলেন, ‘কি-কিন্তু আ-মি যে অ-অফিস সময়ের পূ-পূর্বে চলে যা-ই, সেটা বি-বিবেচনা করবেন (Co-Consider how ea-early I go)’। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আমাদের দেশে অনেকেই ল্যাম্বের মতানুসারী। তাঁদের বক্তব্য নাকি হচ্ছে, অফিসে এক দিনে দুবার লেট হওয়া যায় না।
আর নব্বইয়ের দশকে আমি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পরিচালক পদে কর্মরত ছিলাম। সুনির্দিষ্ট শূন্য পদের বিপরীতে সমানসংখ্যক পদোন্নতির প্রস্তাব আসত। এটার ব্যত্যয় ঘটানো হলো প্রথম ১৯৯২ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকার কর্তৃক দুর্নীতির মাধ্যমে শূন্য যুগ্ম সচিব পদের প্রায় দ্বিগুণসংখ্যক প্রমোশন দিয়ে; রাতারাতি পোস্ট আপগ্রেড করেও সেটা সামাল দেওয়া গেল না। পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকার এসে সেটার সংশোধন ও বিচার করার পরিবর্তে একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করল। যেন তুমি ভুল করেছ, তাই বলে আমি ভুল করব না কেন? একই ভুলের পুনরাবৃত্তি অদ্যাবধি চলছে। ফলে যা হওয়ার তা-ই হচ্ছে—সচিবালয়ে সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব ইত্যাদি পদের সংখ্যা প্রশ্নাতীত বাড়িয়েও স্থান সংকুলান হচ্ছে না, অনেককে ওএসডি হিসেবেই রিটায়ার করতে হচ্ছে।
আর উদাহরণস্বরূপ, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব থেকে দুই দফায় প্রমোশন পেয়ে যুগ্ম সচিব হলেও অনেকের নেমপ্লেট পরিবর্তন ছাড়া আর কোনো পরিবর্তন হয়নি, এমনকি কামরা পর্যন্ত না (নিবন্ধের প্রারম্ভিক দ্বিতীয় গল্পটি স্মর্তব্য)। একটি উল্লেখযোগ্য মন্ত্রণালয়ে নাকি তিনজন অতিরিক্ত সচিবের জায়গায় নয়জন কাজ করছেন। কথায় আছে, অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট। অধিক আর বলার প্রয়োজন নেই। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আমরা কিছুতেই ব্যুরোক্রেসির বারোটা না বাজিয়ে ছাড়ব না। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন!
আতাউর রহমান: রম্য লেখক৷ ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক৷
আর আমাদের দেশে বর্তমানে বিদ্যমান ব্যুরোক্রেসি প্রসঙ্গে আমার বিবেচনায় এই পরাবাস্তব গল্পটিকে স্ট্যান্ডার্ড জোক হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে: চিড়িয়াখানা থেকে দুটি বাঘ পালানোর পর একটি যায় উত্তরবঙ্গে, অপরটি প্রবেশ করে বাংলাদেশ সচিবালয়ে। বহুদিন পরে বাঘ দুটি চিড়িয়াখানায় ফিরে এলে তাদের মধ্যে দেখা-সাক্ষাৎ ও কথাবার্তা হচ্ছিল। উত্তরবঙ্গে যে গিয়েছিল সে বলল, ‘ওখানে খাদ্যের খুব অভাব, বন-বাদাড়ও প্রায় উজাড়; তাই ভেবে দেখলাম চিড়িয়াখানার বন্দিত্বই ভালো, অন্তত দুই বেলা পেট ভরে খেতে পারব।’ তখন সচিবালয়ের অভ্যন্তরে যে প্রবেশ করেছিল সে বলল, ‘আমি একটা সিঁড়ির নিচে লুকিয়ে ছিলাম। রোজ একজন করে কর্মচারী খেতাম, কেউই টের পেত না। কিন্তু একদিন ভুল করে বসলাম, যে চেয়ারে একজন জুনিয়র কর্মকর্তা বসতেন, সেই চেয়ারে একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বসা ছিলেন। তাঁকে আমি জুনিয়র কর্মকর্তা মনে করে খেয়ে ফেললাম। এতে প্রচণ্ড হইচই পড়ে গেল। আমি ভয় পেয়ে পালিয়ে এলাম।’
উপরন্তু জোক নিয়ে যে স্ট্যান্ডার্ড জোকটি আছে, সেটাতেও ব্যুরোক্রেসির প্রকৃত স্বরূপই পরিলক্ষিত হয়: সরকারি অফিসে মাঝারি পর্যায়ের এক কর্মকর্তা দুপুরে টিফিনের টেবিলে জোকস বলতেন এবং তাঁর অধীনস্থ সবাই সেগুলো শুনে হাসিতে ফেটে পড়তেন। একদিন সবাই হাসছেন, কিন্তু একজনকে হাসতে না দেখে তিনি জিজ্ঞেস করে বসলেন, ‘আপনি হাসছেন না কেন? আপনার কি মন খারাপ?’ ‘আমার মন খারাপ হবে কেন?’ কর্মচারীটি প্রত্যুত্তরে বললেন, ‘আমি হাসছি না এ জন্য যে আমি আর আপনার আন্ডারে কাজ করছি না, গতকাল থেকে অন্য সেকশনে বদলি হয়ে গেছি। যাঁরা হাসার তাঁরা তো ঠিকই হাসছেন।’ অর্থাৎ আগে তিনি হাসতেন বসকে খুশি করার জন্য। এখন অন্য সেকশনে বদলি হওয়ায় তাঁর আর হাসির প্রয়োজন নেই।
আমলাতন্ত্রে কোনো কর্মকাণ্ডের গতি স্তব্ধ করে দিতে হলে সর্বাগ্রে সচরাচর যেটা করা হয় সেটা হচ্ছে, একটা কমিটি করে দেওয়া। আর একদা কে যেন বলেছিল, ‘কমিটির সন্ধি-বিচ্ছেদ হচ্ছে: কাম-মিট-অ্যান্ড টি; এসো দেখা করো এবং চা খাও।’
সে যা হোক। ব্যুরোক্রেসির অপর নাম সিভিল সার্ভিস। আর সিভিল সার্ভেন্টদের সম্পর্কে সেই চল্লিশের দশকে যাযাবর তাঁর দৃষ্টিপাত শীর্ষক রম্য পুস্তকে বলে গেছেন, ‘দে আর নিদার সিভিল নর সার্ভেন্ট’; অর্থাৎ তারা সুশীলও নয়, সেবকও নয়। এবং আমাদের দেশের এক ছেলে তার পিতৃপরিচয় দিতে গিয়ে যে বলে ফেলেছিল, ‘হি ইজ এ সিভিল সারপেন্ট’, অর্থাৎ তিনি ‘একজন ভদ্র সাপ’, সেটাও বোধ করি নেহাত অমূলক নয়। সর্বোপরি, আমলাতন্ত্রের নিশ্চিত লক্ষণ হচ্ছে এই যে টেলিফোনে প্রথম যে ব্যক্তি আপনাকে জবাব দেবেন, তিনি গ্রামোফোন রেকর্ডের মতো বলে দেবেন, স্যার ‘মিটিংয়ে’ আছেন, যেটা অনেক সময় তাঁর উচ্চারণ-বিভ্রাটের কারণে শোনা যাবে ‘মেটিংয়ে’ তথা সঙ্গমরত আছেন। তা ছাড়া আমলাতন্ত্রে কোনো কর্মকাণ্ডের গতি স্তব্ধ করে দিতে হলে সর্বাগ্রে সচরাচর যেটা করা হয় সেটা হচ্ছে, একটা কমিটি করে দেওয়া। আর একদা কে যেন বলেছিল, ‘কমিটির সন্ধি-বিচ্ছেদ হচ্ছে: কাম-মিট-অ্যান্ড টি; এসো দেখা করো এবং চা খাও।’
‘ল্যাম্বস টেইলস ফ্রম শেক্সপিয়ার’ খ্যাত ইংরেজ লেখক চার্লস ল্যাম্ব ছিলেন একটু তোতলা। তো তিনি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির লন্ডনস্থ অফিসে কর্মরত থাকাকালে প্রায় প্রতিদিনই অফিসে দেরি করে আসতেন আবার চলে যেতেনও সবার আগেভাগে। একদিন তাঁর বস অফিসে দেরিতে আসার জন্য তাঁকে তিরস্কার করলে তিনি আড়ষ্ট জিহ্বা নিয়ে বলে উঠেছিলেন, ‘কি-কিন্তু আ-মি যে অ-অফিস সময়ের পূ-পূর্বে চলে যা-ই, সেটা বি-বিবেচনা করবেন (Co-Consider how ea-early I go)’। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আমাদের দেশে অনেকেই ল্যাম্বের মতানুসারী। তাঁদের বক্তব্য নাকি হচ্ছে, অফিসে এক দিনে দুবার লেট হওয়া যায় না।
আর নব্বইয়ের দশকে আমি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পরিচালক পদে কর্মরত ছিলাম। সুনির্দিষ্ট শূন্য পদের বিপরীতে সমানসংখ্যক পদোন্নতির প্রস্তাব আসত। এটার ব্যত্যয় ঘটানো হলো প্রথম ১৯৯২ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকার কর্তৃক দুর্নীতির মাধ্যমে শূন্য যুগ্ম সচিব পদের প্রায় দ্বিগুণসংখ্যক প্রমোশন দিয়ে; রাতারাতি পোস্ট আপগ্রেড করেও সেটা সামাল দেওয়া গেল না। পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকার এসে সেটার সংশোধন ও বিচার করার পরিবর্তে একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করল। যেন তুমি ভুল করেছ, তাই বলে আমি ভুল করব না কেন? একই ভুলের পুনরাবৃত্তি অদ্যাবধি চলছে। ফলে যা হওয়ার তা-ই হচ্ছে—সচিবালয়ে সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব ইত্যাদি পদের সংখ্যা প্রশ্নাতীত বাড়িয়েও স্থান সংকুলান হচ্ছে না, অনেককে ওএসডি হিসেবেই রিটায়ার করতে হচ্ছে।
আর উদাহরণস্বরূপ, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব থেকে দুই দফায় প্রমোশন পেয়ে যুগ্ম সচিব হলেও অনেকের নেমপ্লেট পরিবর্তন ছাড়া আর কোনো পরিবর্তন হয়নি, এমনকি কামরা পর্যন্ত না (নিবন্ধের প্রারম্ভিক দ্বিতীয় গল্পটি স্মর্তব্য)। একটি উল্লেখযোগ্য মন্ত্রণালয়ে নাকি তিনজন অতিরিক্ত সচিবের জায়গায় নয়জন কাজ করছেন। কথায় আছে, অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট। অধিক আর বলার প্রয়োজন নেই। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আমরা কিছুতেই ব্যুরোক্রেসির বারোটা না বাজিয়ে ছাড়ব না। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন!
আতাউর রহমান: রম্য লেখক৷ ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক৷
No comments