নিম্ন-মধ্যম আয়ে বাংলাদেশ ‘একটি বড় অর্জন’
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে ঘোষণা করেছে বিশ্বব্যাংক। বুধবার প্রকাশিত মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক জানায়, মাথাপিছু আয়ের নিরিখে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। তাদের এবারের মূল্যায়ন প্রতিবেদনে মাথাপিছু আয়ের ভিত্তিতে সূচকে বাংলাদেশ একধাপ এগিয়েছে। এ সূচকে বাংলাদেশ ছাড়া এগিয়েছে কেনিয়া, মিয়ানমার ও তাজিকিস্তান। অর্থাৎ এ ৪টি দেশসহ বর্তমানে বিশ্বে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের সংখ্যা ৫১টি। এ দেশগুলোর মানুষের মাথাপিছু বার্ষিক আয় ১ হাজার ২৪ ডলার থেকে ৪১২৫ ডলার বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এদিকে মঙ্গোলিয়া ও প্যারাগুয়ে এবার নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উঠে এসেছে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে। এসব দেশের মানুষের বার্ষিক মাথাপিছু আয় এখন ৪ হাজার ১২৬ থেকে ১২ হাজার ৭৩৫ ডলার। সব মিলিয়ে এখন বিশ্বে নিম্ন আয়ের দেশ ৩১টি, উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ ৫৩টি এবং উচ্চ আয়ের দেশ ৮০টি।
সরকার ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার যে লক্ষ্য ঠিক করেছিল, এর মধ্য দিয়ে তার উল্লেখযোগ্য একটি স্বীকৃতি মিললো বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৩১৪ ডলার।
এদিকে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশের ধারাবাহিক অগ্রগতির স্বীকৃতি হলো বাংলাদেশের অবস্থান পরিবর্তন। এ অবস্থান ধরে রাখতে হলে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার কথা বলেছেন তারা।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারে সাবেক উপদেষ্টা এ বি মীর্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। তবে দেশের মানবকল্যাণের উন্নয়নের দিক থেকে তেমন পরিবর্তন হয়নি বলে মনে করেন তিনি। তবে চ্যালেঞ্জ রয়েছে অনেক। এর মধ্যে প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হবে। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর করতে হবে। সর্বোপরি রাজনৈতিকদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে, যাতে দেশে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, নিম্ন আয়ের দেশ থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় চলে এসেছে। এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের লাভ হলো প্রতিকূলতার মধ্যেও ভাল করেছে। দেশ উন্নয়নের পথে রয়েছে। সহজে ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, এখন বিনিয়োগে ঝুঁকি কমবে। দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ বাড়বে। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটিমাত্র সূচকের কারণে এসব সম্ভব হয়েছে। কিন্তু শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানব উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তার সূচকগুলো অর্জন করতে না পারলে মধ্যম আয়ের দেশে অবস্থান নিয়ে টিকে থাকা চ্যালেঞ্জ হবে। আর এ ইস্যুগুলো ভবিষ্যতে আরও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বলে তিনি মনে করেন। তবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের যে সূচকটি এসেছে তা ধারাবাহিকতার ফসল। আর এ সূচকটি দিয়ে সামনে আগানো যাবে না।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দেশের ধারাবাহিক অর্থনৈতিক উন্নয়নেরই প্রতিফলন ও স্বীকৃতি এটি। অবশ্যই একটি বড় অর্জন। তিনি বলেন, এখন যে অর্জন, তাতে দেশ হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা এবং অবস্থান আরও সুসংহত হবে। এর ফলে আন্তর্জাতিক ঋণবাজার থেকে ঋণগ্রহণের ক্ষেত্রে একটি তুলনামূলক সুবিধাজনক অবস্থা তৈরি হবে। বাংলাদেশকে এখন কম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে গণ্য করা হবে। অন্যদিক থেকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে শর্তও কিছুটা কঠিন হতে পারে। তাই এজন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি রাখা দরকার। মধ্যম আয়ের দেশে গেলেও বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকাতেই থাকবে। এ তালিকা থেকে বেরোতে হলে তিনটি সূচক অতিক্রম করতে হবে। যেমন: অর্থনীতির নাজুকতার সূচক, মানব উন্নয়ন সূচক ও মাথাপিছু আয়ের সূচক। মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এর মধ্যে প্রথম সূচকটি আমরা অতিক্রম করলেও অন্য দুই সূচক অতিক্রম করতে পারিনি।
সরকার ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার যে লক্ষ্য ঠিক করেছিল, এর মধ্য দিয়ে তার উল্লেখযোগ্য একটি স্বীকৃতি মিললো বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৩১৪ ডলার।
এদিকে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশের ধারাবাহিক অগ্রগতির স্বীকৃতি হলো বাংলাদেশের অবস্থান পরিবর্তন। এ অবস্থান ধরে রাখতে হলে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার কথা বলেছেন তারা।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারে সাবেক উপদেষ্টা এ বি মীর্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। তবে দেশের মানবকল্যাণের উন্নয়নের দিক থেকে তেমন পরিবর্তন হয়নি বলে মনে করেন তিনি। তবে চ্যালেঞ্জ রয়েছে অনেক। এর মধ্যে প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হবে। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর করতে হবে। সর্বোপরি রাজনৈতিকদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে, যাতে দেশে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, নিম্ন আয়ের দেশ থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় চলে এসেছে। এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের লাভ হলো প্রতিকূলতার মধ্যেও ভাল করেছে। দেশ উন্নয়নের পথে রয়েছে। সহজে ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, এখন বিনিয়োগে ঝুঁকি কমবে। দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ বাড়বে। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটিমাত্র সূচকের কারণে এসব সম্ভব হয়েছে। কিন্তু শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানব উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তার সূচকগুলো অর্জন করতে না পারলে মধ্যম আয়ের দেশে অবস্থান নিয়ে টিকে থাকা চ্যালেঞ্জ হবে। আর এ ইস্যুগুলো ভবিষ্যতে আরও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বলে তিনি মনে করেন। তবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের যে সূচকটি এসেছে তা ধারাবাহিকতার ফসল। আর এ সূচকটি দিয়ে সামনে আগানো যাবে না।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দেশের ধারাবাহিক অর্থনৈতিক উন্নয়নেরই প্রতিফলন ও স্বীকৃতি এটি। অবশ্যই একটি বড় অর্জন। তিনি বলেন, এখন যে অর্জন, তাতে দেশ হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা এবং অবস্থান আরও সুসংহত হবে। এর ফলে আন্তর্জাতিক ঋণবাজার থেকে ঋণগ্রহণের ক্ষেত্রে একটি তুলনামূলক সুবিধাজনক অবস্থা তৈরি হবে। বাংলাদেশকে এখন কম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে গণ্য করা হবে। অন্যদিক থেকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে শর্তও কিছুটা কঠিন হতে পারে। তাই এজন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি রাখা দরকার। মধ্যম আয়ের দেশে গেলেও বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকাতেই থাকবে। এ তালিকা থেকে বেরোতে হলে তিনটি সূচক অতিক্রম করতে হবে। যেমন: অর্থনীতির নাজুকতার সূচক, মানব উন্নয়ন সূচক ও মাথাপিছু আয়ের সূচক। মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এর মধ্যে প্রথম সূচকটি আমরা অতিক্রম করলেও অন্য দুই সূচক অতিক্রম করতে পারিনি।
No comments